বিচারপতি ভবন

সুপ্রিম কোর্ট রেসিডেন্সেস

বিচারপতি ভবন হল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় কাকরাইল অবস্থিত একটি গগনচুম্বী অট্টালিকা। এটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের জন্য নির্মিত একটি বহুতলবিশিষ্ট আবাসিক ভবন। ইমারতটি ১০১ মিটার ও ২০ তলা বিশিষ্ট। ইমারতটির নির্মাণকাজ ২০১৭ সালে সম্পন্ন হয়। এটি বাংলাদেশের অষ্টম উচ্চতম ভবন।

বিচারপতি ভবন
Map
সাধারণ তথ্য
অবস্থাসম্পন্ন
ধরনআবাসিক ভবণ
ঠিকানা৬৭,কাকরাইল
শহরঢাকা
দেশবাংলাদেশ
নির্মাণকাজের আরম্ভ২০১১
নির্মাণকাজের সমাপ্তি২০১৭
স্বত্বাধিকারীগণপূর্ত অধিদপ্তর
কারিগরী বিবরণ
তলার সংখ্যা২০

ইতিহাস সম্পাদনা

ভবনটি ১ দশমিক ৫ একর জমির উপর ঢাকার কাকরাইল এলাকায় ২০ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়। ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ১৭৪ কোটি টাকা।[১] সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসনের সূত্র অনুযায়ী এই ভবনের ভিত্তি ৩০ তলা।[২] এই ভবনে ৭৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে,‌‌ যেগুলোর আকার সাড়ে ৩ হাজার বর্গ ফুট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের মে মাসে ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ১৫ এপ্রিল ২০১৭ সালে ভবনটি উদ্বোধন করেন।[২] বিচারপতিদের আবাসিক ভবনের নির্মাণ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় ২০১২ সালের ৬ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটির (একনেক)। ২০১৩ সালে এই ভবণের নির্মাণ কাজ শুরু হয় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ. বি. এম. খায়রুল হকের সময়ে।

নির্মাণ সম্পাদনা

প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের সময় ভবনের নির্মাণ কাজ থমকে ছিলো। প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দায়িত্ব পাওয়ার পর ভবনে সেবার মান উন্নয়নসহ নানা উদ্যোগ নেয়। এরই অংশ হিসেবে ভবনটির পুরোদমে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। দেড় একর জমিতে ৩০ তলা ভিত্তির ওপর ২০ তলা এ ভবনের নির্মাণ কাজ চলে। ২০১২ সালে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জুন মাসে সুপ্রিম কোর্টের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি ভবনে এসটিপি স্থাপনের কারণে প্রকল্পের মেয়াদ ডিসেম্বর এবং প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যায়। উদ্বোধন করা হয় ২০১৭ সালের এপ্রিল। গণপূর্ত অধিদফতর সরকারি অর্থায়নে ভবণটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গণপূর্তের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে ভবনটি প্রকল্পটির পরিচালক হিসেবে ছিলেন। ভবনটি নির্মাণ কাজ করেন ‘দ্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড’।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "বিচারপতিদের আবাসনে ২০ তলা ভবন"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১৯ 
  2. আহমেদ, সাঈদ। "সমস্যায় জর্জরিত বিচারপতি ভবন"DailyInqilabOnline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১৯