বাংলা কুকুর জিব

মাছের প্রজাতি

বাংলা কুকুর জীব (বৈজ্ঞানিক নাম: Cynoglossus cynoglossus)[৩] (ইংরেজি: Bengal tongue sole) হচ্ছে Cynoglossidae পরিবারের Cynoglossus গণের একটি স্বাদুপানির মাছ[৪]

বাংলা কুকুর জিব
Cynoglossus cynoglossus
Bengal tonguesole, Cynoglossus cynoglossus
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Chordata
শ্রেণী: Actinopterygii
বর্গ: Pleuronectiformes
পরিবার: Cynoglossidae
গণ: Cynoglossus
প্রজাতি: C. cynoglossus
দ্বিপদী নাম
Cynoglossus cynoglossus
(F. Hamilton, 1822)
প্রতিশব্দ

Cynoglossus deltae Jenkins, 1910[১]
Cynoglossus semifasciatus (non Day, 1877)[২]
Cynoglossus buchanani Day, 1870[২]
Cynoglossus hamiltonii Günther, 1862[২]
Plagusia bengalensis Bleeker, 1853[২]
Cynoglossus sumatranus (Bleeker, 1853)[২]
Cynoglossus sumatrensis (Bleeker, 1853)[২]
Cynoglossus bengalensis (Bleeker, 1853)[২]
Arelia sumatrensis (Bleeker, 1853)[২]
Plagusia sumatrana Bleeker, 1853[২]
Cynoglossus oxyrhynchus (Bleeker, 1851)[২]
Cynoglossus oxyrhynchos (Bleeker, 1851)[২]
Arelia oxyrhynchos (Bleeker, 1851)[২]
Plagusia oxyrhynchos Bleeker, 1851[২]
Plagusia cynoglossus (Hamilton, 1822)[২]
Icania cynoglossa (Hamilton, 1822)[২]
Achirus cynoglossus Hamilton, 1822[২]

বর্ণনা সম্পাদনা

দেহ লম্বা, সরু, পেছনের অংশ ক্রমান্বয়ে সরু। তুণ্ড স্থূল ভোঁতা। চোখ দুটি দেহের বাম পার্শ্বে থাকে। উপরের চোখ নিচের চোখের চেয়ে সামনে থাকে। নাসারন্ধ্র দুটি একটি সাধারণ অপরটি নালাকার। নাসারন্ধ্র চোখ দুটি মাঝখানে কিন্তু নালাকার নাসারন্ধ্র নিচের চোখের সম্মুখে অবস্থিত।[৫]

স্বভাব এবং আবাসস্থল সম্পাদনা

এরা মহাদেশীয় তাকের অভ্যন্তরে কাদা ও বালুময় তলদেশে থাকে। প্রায় নদী, মোহনায়, স্বাদু ও ঈষৎ লোনা পানিতে এদের অভিপ্রায়ন ঘটে। তলদেশীয় চ্যাপ্টা মাছ। এই প্রজাতির মাছ তাদের সম্পূর্ণ দেহ মাটির নিচে বালি বা নরম কাদায় লুকিয়ে রেখে শিকারির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করে। অধিকাংশ সময় তলদেশের অমেরুদণ্ডী প্রাণী ও ছোট মাছকে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে।[৫]

বিস্তৃতি সম্পাদনা

ইন্দো-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর, সিয়াম উপসাগর, আরব সাগর, মালয় দ্বীপপুঞ্জ, মালাক্কা প্রবাহ অঞ্চলে পাওয়া যায়। এছাড়া শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া এর সাগর, চীনের দক্ষিণাংশে, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন এবং মায়ানমার পশ্চিমাংশ পাওয়া যায়।[৫]

অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পাদনা

বাংলাদেশের বাজারে এ মাছ বাণিজ্যিকভাবে চাহিদা কম। মাঝে মাঝে মাছ ধরার সময় অন্যান্য মাছের সাথে এ মাছ ধরা পড়ে। মোহনাতে এ মাছ বটম ট্রল বা সীল নেট দিয়ে ধরা হয়।[৫]

বাস্তুতান্ত্রিক ভুমিকা সম্পাদনা

এ প্রজাতির মাছ তলদেশে গলিত বা পচা খাবার খায়। এভাবে জলজ পরিবেশ পরিষ্কার রাখে।[৫]

বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ সম্পাদনা

আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি এখনও হুমকির সম্মুখীন নয়।[৫]

মন্তব্য সম্পাদনা

৩০ সেমি এর কম দৈর্ঘ্যের হয়। এ মাছ বাণিজ্যিকভাবে চাহিদা কম, কিন্তু কিছু কিছু প্রজাতি মাছ খাওয়ার জন্য ধরা হয়। বিশেষ করে জাপানে।[৫]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Bisby F.A., Roskov Y.R., Orrell T.M., Nicolson D., Paglinawan L.E., Bailly N., Kirk P.M., Bourgoin T., Baillargeon G., Ouvrard D. (red.) (2011)। "Species 2000 & ITIS Catalogue of Life: 2011 Annual Checklist."। Species 2000: Reading, UK.। ১৮ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 24 september 2012  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. Menon, A.G.K. (1977) A systematic monograph of the tongue soles of the genus Cynoglossus Hamilton-Buchanan (Pisces: Cynoglossidae)., Smithson. Contrib. Zool. (238):1-129.
  3. Menon, A.G.K. and S. Monkolprasit (1974) Cynoglossidae., In W. Fischer and P.J.P. Whitehead (eds.) FAO species identification sheets for fishery purposes. Eastern Indian Ocean (fishing area 57) and Western Central Pacific (fishing area 71). Rome, FAO. Vol. II, pag. var.
  4. FishBase. Froese R. & Pauly D. (eds), 2011-06-14
  5. নাহিদ সুলতানা, এম এ মোহসীন (অক্টোবর ২০০৯)। "স্বাদুপানির মাছ"। আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ; আহমাদ, মোনাওয়ার। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ২৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২৯১–২৯২। আইএসবিএন 984-30000-0286-0 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)