বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) হলো বাংলাদেশের একটি স্বাধীন কমিশন, যা বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ এবং টেলিযোগাযোগ সেবা নিয়ন্ত্রণের নিমিত্তে কাজ করে থাকে। বিটিআরসি বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত বিষয়াবলী যেমন, সেলুলার নেটওয়ার্ক, পিএসটিএন, কৃত্রিম উপগ্রহ এবং ক্যাবল ইত্যাদির রক্ষণাবেক্ষন, উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বিটিআরসি-এর বর্তমান চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ (১১ ডিসেম্বর ২০২৩-)।[১] যেকোনো গ্রাহক ১০০ নাম্বারে কল করে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে পারেন ।

নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি
সরকারি সংস্থা রূপরেখা
গঠিত৩১ জানুয়ারি ২০০২ (2002-01-31)
সদর দপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
ওয়েবসাইটwww.btrc.gov.bd
আগারগাঁওে অবস্থিত সদরদপ্তর।

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন বোর্ড অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন বোর্ড গঠিত হয়। অধ্যাদেশটি পরে ১৯৯৫ সালে সংশোধন করা হয়।

সাশ্রয়ী মূল্যে টেলিযোগাযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা এবং ২০১০ সাল নাগাদ দেশের প্রতি ১০০'শ জন বাসিন্দার অন্তত ১০ জনকে টেলিযোগাযোগ সেবার অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে ২০০২ সালের ৩১ জানুয়ারি বিটিআরসি যাত্রা শুরু করে। এটি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন, ২০০১ (২০০১ সনের ১৮ নং আইন) দ্বারা গঠিত হয়। আইনটি ২০১০ সালে টেলিযোগাযোগ আইন (সংশোধন) বিলের মাধ্যমে হালনাগাদ করা হয়। বিটিআরসি টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট-সংশ্লিস্ট সব সেবাদাতাকে লাইসেন্স প্রদান করে থাকে।[২]

উল্লেখযোগ্য কাজ সম্পাদনা

বঙ্গবন্ধু-১ বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ প্রকল্প। এর ভর ১,৩০০ কেজি (২,৯০০ পাউন্ড) এবং ক্ষমতা ১,৬০০ ওয়াট। এটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়িত হয়। যার উৎক্ষেপনের খরচ ৩ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা নিজেদের তহবিল থেকে এবং বাকি ১ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে ঋণ হিসাবে নেওয়া হয়। এক্সিম ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্র, এইচএসবিসি ফ্রান্স, জাপান ব্যাংক অব ইন্টারন্যাশনাল, সিডব্লিউজি গালফ ইন্টারন্যাশনাল অব ইউকে এবং চায়ন গ্রেটওয়াল ইন্ড্রাস্ট্রি করপোরেশন এ প্রকল্পে ঋণ দিয়েছে। ডিপিপিতে এ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল জুন ২০১৬। এর জন্য কাজ করেছে মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র (স্পারসো) ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন।

বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে মুঠোফোনের গ্রাহক সংখ্যা ১৯ কোটি ৮১ হাজার ও ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার।[৩]

চিত্রশালা সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা