বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট (সংক্ষেপে: বিজেএইচএম) হলো বাংলাদেশ ভিত্তিক একটি অরাজনৈতিক, সামাজিক হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন। এটি বাংলাদেশের ছোট-বড় ২৩টি হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের জোট, যা ২০০৬ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়।[২] বিজেএইচএমের মূল লক্ষ্য হিসেবে হিন্দু সমাজকে সুসংহত করা এবং হিন্দুধর্মের রক্ষা ও সেবা করা এবং বাংলাদেশের হিন্দু সমাজের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার আদায় করাকে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।[৩][৪] জোটের বর্তমান সভাপতি ড. প্রভাস চন্দ্র রায় ও নির্বাহী মহাসচিব এবং মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে।[১][৫]
![]() হিন্দু মহাজোটের লোগো | |
গঠিত | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ |
---|---|
ধরন | সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠন |
আইনি অবস্থা | সক্রিয় |
উদ্দেশ্য | হিন্দু সমাজকে সুসংহত করা, হিন্দুধর্ম রক্ষা ও সেবা করা |
সদরদপ্তর | ঢাকা, বাংলাদেশ |
সভাপতি | ড. প্রভাস চন্দ্র রায় [১] |
মহাসচিব | পলাশ কান্তি দে [১] |
পটভূমি
সম্পাদনাজোটটি বাংলাদেশের ২৩টি ছোট-বড় হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের মহাজোট। এই ২৩টি সংগঠনের সাথে বিভিন্ন জেলার অনেকেই জড়িত রয়েছেন। ২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জোটটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের ৫৭টি জেলায় হিন্দু মহাজোটের পাশাপাশি এর অঙ্গ সংগঠন যুব মহাজোট ও ছাত্র মহাজোট রয়েছে।
সাত দফা দাবি
সম্পাদনা২০১৩ সালের ৩০ আগস্ট সংগঠনটি তিন দফা দাবি জানায়।[৬] পরবর্তীতে এই তিন দফাসহ ২০২১ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরে মোট সাত দফা দাবি জানানো হয়।[৭][৮] যার মধ্যে সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, নিজস্ব পৃথক আসন,[৯] হিন্দু উত্তরাধিকার আইন পুনর্গঠন, হিন্দুদের পূজায় সরকারী ছুটি ঘোষণার মত বিষয় রয়েছে।
২০২১ সালে সংগঠনটি প্রতিটি উপজেলায় মডেল মন্দির নির্মাণের দাবি জানায়।[১০]
সহযোগী সংগঠন
সম্পাদনা- বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোট
- বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট
- বাংলাদেশ হিন্দু মহিলা মহাজোট
- বাংলাদেশ হিন্দু স্বেচ্ছাসেবক মহাজোট
বিতর্ক
সম্পাদনাসংগঠনটির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিভিন্ন উসকানি, ভারতীয় ভাষায় ব্যানার, বক্তব্য শেষে ভারত মাতা কি জয় স্লোগান, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হিন্দু সদস্যদের সংখ্যা নিয়ে নানা সময়ে বিতর্ক সৃষ্টির অভিযোগ আছে।[১১] বর্তমানে হিন্দু উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী যদি কারও পুত্র সন্তান থাকে, তাহলে কন্যা সন্তানরা তাদের উত্তরাধিকার সম্পত্তি পায় না। তবে পুত্র না থাকলে পুত্র রয়েছে এমন কন্যারা মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির অংশ পেয়ে থাকে। এই হিন্দু আইন পরিবর্তন করতে চাওয়ার কারণে এই সংগঠনটি মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনকে হিন্দুধর্ম ও সমাজবিরোধী আখ্যা দেয়।[১২][১৩][১৪]
এছাড়া এই সংগঠনের বিরুদ্ধে ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম ও "হিন্দু আইন প্রণয়নে নাগরিক উদ্যোগ" নিয়েও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ আছে।[১৫][১৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করার দাবি হিন্দু মহাজোটের"। banglanews24.com। ২০২৪-০২-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-০৪।
- ↑ "বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের জন্মাষ্টমী পালন"। www.jugantor.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২০।
- ↑ "বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট"। প্রিয়.কম। ২০২১-০১-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২০।
- ↑ "মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোন দল বা শক্তির সাথেকোন সম্পর্ক না থাকার দাবি করছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট"। দৈনিক জনকন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২০।
- ↑ ডেস্ক, কালবেলা। "সংখ্যালঘু নির্যাতনের শ্বেতপত্র প্রকাশের অনুরোধ হিন্দু মহাজোটের | কালবেলা"। কালবেলা | বাংলা নিউজ পেপার। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৩।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "সরকারের কাছে হিন্দু মহাজোটের তিন দফা দাবি"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১৪।
- ↑ জনকণ্ঠ, দৈনিক। "মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠাসহ ৭ দফা দাবি জাতীয় হিন্দু মহাজোটের"। দৈনিক জনকণ্ঠ || Daily Janakantha (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১৪।
- ↑ "সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দাবি হিন্দু মহাজোটের"। যায়যায়দিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১৪।
- ↑ "সংসদে ৬০ আসনসহ আলাদা মন্ত্রণালয় চায় হিন্দু মহাজোট"। somoynews.tv। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২০।
- ↑ "প্রতিটি উপজেলায় মডেল মন্দির নির্মাণের দাবি হিন্দু মহাজোটের"। জাগো নিউজ। জাগো নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০২১।
- ↑ পথিক, সত্যান্বেষী (১৩ নভেম্বর ২০১৬)। "হিন্দু মহাজোটকে নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে"। dhakatimes24.com। dhakatimes24.com। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০২১।
- ↑ "খসড়া হিন্দু আইনে সম্পত্তিতে সমান অধিকার পাবে নারী-পুরুষ"। banglatribune.com/669758/। banglatribune.com/669758/। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০২১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "সম্পত্তিতে নারীর অধিকারের বিপক্ষে জাতীয় হিন্দু মহাজোট"। সময় টিভি। ২২ আগষ্ট ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২৪।
- ↑ "পারিবারিক আইন সংস্কার না করার দাবি হিন্দু মহাজোটের"। দৈনিক যুগান্তর। ২৭ মে ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২৪।
- ↑ "হিন্দু মহাজোট ভুল তথ্য দেওয়ায় হিন্দু আইন প্রণয়নে নাগরিক উদ্যোগের প্রতিবাদ"। thedailystar.net। দ্য ডেইল স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সংবাদ সম্মেলনে ভুল তথ্যের প্রতিবাদ"। banglatribune.com। banglatribune.com/। ২৫ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০২১।