বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল।[১]
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট | |
---|---|
চেয়ারম্যান | এম.এ মতিন |
মহাসচিব | স.উ.ম আবদুস সামাদ |
প্রতিষ্ঠা | ২১ ডিসেম্বর, ১৯৯০ |
সদর দপ্তর | ২০৭, ড্রীম আবুল হোসেন টাওয়ার (তৃতীয় তলা), ফকিরাপুল(প্রথম লেইন), বক্স কালভার্ট রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।[১] |
ছাত্র শাখা | বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা (ছাত্র) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীকাফেলা (ছাত্রী) |
ভাবাদর্শ | সুন্নি মতাদর্শ |
আন্তর্জাতিক অধিভুক্তি | না |
জাতীয় সংসদের আসন | ০ / ৩০০ |
নির্বাচনী প্রতীক | |
দলীয় পতাকা | |
ওয়েবসাইট | |
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট | |
বাংলাদেশের রাজনীতি রাজনৈতিক দল নির্বাচন |
প্রতিষ্ঠা
সম্পাদনাবাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ২১ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, কোরআন-সুন্নাহর আলোকে বাংলাদেশে সুন্নী মতাদর্শ ভিত্তিক ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের লক্ষ্য।
- চেয়ারম্যান
প্রতিষ্ঠাকালীন (প্রথম) চেয়ারম্যান ছিলেন আল্লামা হাফেয মুহাম্মদ আব্দুল জলিল।
- মহাসচিব
লোগো
সম্পাদনালোগোর উপরিভাগে আরবি অক্ষরে “ক্বাদ জা—আকুম মিনাল্লা-হি নূর”-এ আয়াতাংশটি এবং নিম্নাংশে লেখা আছে ‘বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট’।গোলাকৃতির লোগোর মাঝখানে বাংলাদেশের মানচিত্র এবং দলীয় নির্বাচনী প্রতীক মোমবাতি খচিত আছে।[৪]
পতাকা
সম্পাদনাপতাকার সাইজ ৩:২ অনুপাতে।পতাকার রং এক চতুর্থাংশ সবুজ আড়াআড়িভাবে এবং তিন চতুর্থাংশ কালো লম্বালম্বীভাবে। আর কালো অংশের উপর সাদা অক্ষরে কালেমায়ে তাইয়্যেবা খচিত থাকবে।[৫]
নির্বাচনী প্রতীক
সম্পাদনাজোট
সম্পাদনাদলটি ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটে জোটের শরীক ছিল।[৭][৮] বর্তমানে দলটি কোনো জোটে নেই।
অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনসমূহ
সম্পাদনা- ছাত্র সংগঠনঃ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা
- ছাত্রী সংগঠনঃ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী কাফেলা
- যুব সংগঠনঃ বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা
- মহিলা সংগঠনঃ বাংলাদেশ ইসলামী মহিলা ফ্রন্ট
- শ্রমিক সংগঠনঃ বাংলাদেশ ইসলামী শ্রমিক ফ্রন্ট
- শিশু-কিশোর সংগঠনঃ ফুটন্ত ফুলের আসর
- সমাজ সেবাধর্মী সংগঠনঃ আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন
- মাতৃ সংগঠন: আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত বাংলাদেশ
প্রেসিডিয়াম সদস্যের মৃত্যু
সম্পাদনা২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট, আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে গৃহ আক্রমণ করার পর হত্যা করা হয় যিনি ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন।[৯] ২০১৪ সালের আগস্টে ইসলামী ছাত্রসেনা প্রধান মুহাম্মদ নুরুল হক চিশতী এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন যে সারা বাংলাদেশে অর্ধদিবস ধর্মঘট পালিত হবে এবং ফারুকীর হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানানো হবে।[১০][১১]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন"। নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ। ৪ মে ২০১৬। ৩১ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "স্বাধীনতা বিরোধী অপতৎপরতা রোধে ইসলামী শক্তির উত্থান জরুরি:বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব স. উ . ম আব্দুস সামাদ"। সুপ্রভাত। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব স উ ম আব্দুস সামাদ"। দৈনিক পূর্বদেশ। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ গঠনতন্ত্র:মনোগ্রাম। পৃষ্ঠা ৮।
- ↑ গঠনতন্ত্র:পতাকা। পৃষ্ঠা ৮-৯।
- ↑ গঠনতন্ত্র:প্রতীক। পৃষ্ঠা ৮।
- ↑ "এরশাদের নেতৃত্বে 'ইসলামী মূল্যবোধের' নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ"। bangla.bdnews24.com। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৮।
- ↑ "লালদীঘিতে পাঁচ লাখ জনসমাগমের টার্গেট ইসলামী ফ্রন্টের"। মানবকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Islami Front leader slaughtered at Dhaka home"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-০৪।
- ↑ "Chhatra Sena calls strike for Sunday"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-০১।
- ↑ "Islami Chhatra Sena to enforce hartal on Sunday"। www.dhakatribune.com। ২০১৬-০৩-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-০১।