বাংলাদেশে গুম হওয়া বলতে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদে কোন ব্যক্তির নিখোঁজ হওয়াকে বুঝানো হয়।[১] ঢাকা ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের তথ্য মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ২০০৯ হতে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ৪০২ জন মানুষ গুম হয়েছেন।[২] বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ এইসব ঘটনার জন্য জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার রক্ষাকারী সংস্থা, যেমন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সরকারকে নিন্দা জানিয়েছে।[৩][৪] এইসব ঘটনার অধিকাংশের জন্য বাংলাদেশের একটি আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) কে দায়ী করা হলেও, র‍্যাব এইসব অভিযোগ কখনও স্বীকার করেনি।[৫] ভুক্তভোগীরা পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে এলেও আওয়ামী লীগ সরকার গুম হবার পেছনে তাদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে।

২০১৩ সালে গুম হওয়া এক ছেলের ছবি হাতে এক মা (ছবি ভিওএ )

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮২ জন গুম হয়।[৪] ভুক্তভোগীদের অধিকাংশই ছিল বিরোধী দলের নেতাকর্মী। গুম হওয়ার পরে, নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৪৯ জন মারা গেছেন এবং অন্যরা নিখোঁজ রয়েছেন।[৬][৭] বিতর্কিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৪'র আগে কমপক্ষে ২০ জন বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীকে নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা তুলে নেয়।[৮][৯] ২০১৬ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ৮৯ জন লোক নিখোঁজ হয়েছে।[১০]

২০১৬ সালে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনরা সরকারকে তাদের প্রিয়জনের হদিস বের করে দিতে মায়ের ডাক নামে একটি মঞ্চ গঠন করে।[১১][১২]

পটভূমি সম্পাদনা

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে বাংলাদেশে গুমের প্রথম ঘটনাগুলো ঘটে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের অনেক সদস্য, সেনা অফিসার এবং অন্যান্য বিরোধী দলীয় সদস্যদের, শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বারা গঠিত একটি অভিজাত আধা সামরিক বাহিনী জাতীয় রক্ষীবাহিনী তুলে নিয়ে যায়।[১৩] বর্তমানে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন গঠনের মাধ্যমে এমন ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক ৪০২ জন ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন।[২][৬][১৪][১৫][১৬][১৭][১৮]

২০০৯ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে। বিরোধী দলের সদস্যরা ক্ষমতাসীন দলের লোকজনদের মাধ্যমে আক্রমনের শিকার হয়। এতে বেশ কয়েকজন বিরোধী দলীয় সদস্য নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়। [১৯][২০][২১] সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সশস্ত্র সংঘাত ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। [২২] বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রায়শই আক্রমণ করা হত।[২৩] ২০১০ সাল থেকে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাসমূহের দ্বারা বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের তুলে নেয়ার বিষয়টি দেশে তীব্রতর হতে শুরু করে।

প্রাক-নির্বাচনী সময়কাল, ২০১৩ সম্পাদনা

২০১৩ সালের বেশিরভাগ সময়জুড়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং তাদের জোট, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট ও অবরোধ পালন করে। নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ইইউ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কমনওয়েলথ ঘোষণা করে যে তারা পর্যবেক্ষক প্রেরণ করবে না। [২৪][২৫][২৬] ২০১৪ সালের বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনের আগে, বিরোধী দলটির ২০ জন ব্যক্তিকে নিরাপত্তা বাহিনী তুলে নিয়ে যায়।[৮][৯][২৭][২৮] ২০১৬ সাল পর্যন্ত, তারা নিখোঁজ রয়েছেন।

২০১৪ থেকে জুলাই ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৪৪ জন ব্যক্তি গুমের শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৪০ জন ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, ৬৬ জনকে সরকারি হেফাজতে গ্রেপ্তার অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে ২০৩ জন এখনও গুম রয়েছেন। যারা দীর্ঘদিন গুম থাকার পর ফিরে আসেন, তারা গুমের ব্যাপারে মৌন অবলম্বন করেন।[২৯]

উল্লেখযোগ্য ঘটনাসমূহ সম্পাদনা

এম ইলিয়াস আলী সম্পাদনা

২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল, প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বিশিষ্ট নেতা ইলিয়াস আলি মধ্যরাতে ঢাকা হতে তার ড্রাইভারসহ নিখোঁজ হন।[৩০][৩১][৩২] তার নিজস্ব গাড়িটি ঢাকায় তার বাড়ির কাছে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরবর্তীতে, নিখোঁজের প্রতিবাদে ধর্মঘট ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করায় তার দলের পাঁচ জন নিহত হন এবং অনেকে আহত হন। ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার লাভ করে।

আমিনুল ইসলাম সম্পাদনা

আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সদস্য এবং বাংলাদেশ সেন্টার অফ ওয়ার্কার সলিডারিটির একজন সংগঠক ছিলেন। [৩৩] ৫ এপ্রিল ২০১২ সালে, ঢাকার অদূরে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। এর আগের দিন তিনি নিখোঁজ ছিলেন। [৩৪] তার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া যায়। তার গুম ও হত্যা অনেক আন্তর্জাতিক সমালোচনার জন্ম দেয়।

আমান আজমি, মীর আহমদ ও হুম্মাম চৌধুরী সম্পাদনা

২০১৬ সালের আগস্ট মাসে, তিন বিরোধীদলীয় নেতার সন্তানদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যায়। তারা ছিলেন গোলাম আযমের পুত্র, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আজমি, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুত্র, হুম্মাম কাদের চৌধুরী এবং মীর কাসেম আলীর পুত্র, মীর আহমেদ বিন কাসেম।[৩৫] আমান আজমিকে তার বাসা থেকে পরিবারের সদস্যদের সামনেই তুলে নেয়া হয়েছিল। তিনটি ক্ষেত্রেই একাধিক সাক্ষী থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাদের গুম হবার ব্যাপারে সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে।[৩৬] জাতিসংঘ এই তিন ব্যক্তির অপহরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং শেখ হাসিনার সরকারকে দেশে ক্রমবর্ধমান গুমের ঘটনা তদন্ত করার আহ্বান জানায়। হুম্মাম কাদের চৌধুরী ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ঘরে ফিরে আসেন এবং বলেন যে কারা তাকে গ্রেফতার করেছিল তা তিনি "মনে করতে পারছেন না"।[৩৭] এখন পর্যন্ত আমান আজমি ও মীর আহমদের কোন হদিস পাওয়া যায়নি।

সুখরঞ্জন বলি সম্পাদনা

অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায়, ৫ নভেম্বর ২০১২ সালে সুপ্রীম কোর্টের গেট থেকে সুখরঞ্জন বলিকে সাদা পোষাকের পুলিশ অপহরণ করেছিল। পরবর্তীতে তাকে কলকাতার দমদম কারাগারে পাওয়া যায়।[৩৮]

অন্যান্য ঘটনাসমূহ সম্পাদনা

আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সম্পাদনা

২৭ নভেম্বর ২০১৩ সালে, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম হিরু এবং বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির পারভেজ লাকসাম থেকে কুমিল্লা যাওয়ার সময় অপহরণের শিকার হন। নারায়ণগঞ্জ সাত খুন মামলার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী, র‌্যাব ১১'র প্রাক্তন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল (বরখাস্ত) তারেক সাইদ এই মামলার প্রধান আসামি। র‌্যাব -১১ এর বিরুদ্ধে ২৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন সাবুর সামনে দুইটি গাড়ি জ্বালিয়ে ইকবাল মাহমুদ জুয়েলকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। র‌্যাব -১১ এর বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা ফয়েজ আহমেদকে ২ তলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। র‌্যাব -১১ এর বিরুদ্ধে ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সালে হাই-এস মাইক্রোবাসে ব্যবসায়ী তাজুল ইসলামকে অপহরণ করার অভিযোগও রয়েছে। অপহরণের ১৩ দিন পর, তাজুলের মৃতদেহ মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব-১১ এবং তারেক সাইদকে ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সাল থেকে নিখোঁজ ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনকে অপহরণের মামলায় অভিযুক্ত আসামি করা হয়েছে। [৩৯][৪০][৪১]

সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পাদনা

সরকারী প্রতিক্রিয়া সম্পাদনা

সমালোচনা সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Enforced disappearance"New Age | The Outspoken Daily (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  2. Safi, Michael (২৫ নভেম্বর ২০১৭)। "Bangladesh PM claims 'forced disappearances take place in UK and US'"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  3. Rowlatt, Justin (১৩ অক্টোবর ২০১৬)। "Fears over Bangladesh's 'disappeared'"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  4. "ASK DOCUMENTATION: Forced Disappearances" (পিডিএফ)Incidents of Enforced Disappearances Between January and 30 September 2014। Ain o Salish Kendra। ১৩ অক্টোবর ২০১৪। 
  5. Khan, Aina। "Without a trace: Enforced disappearances in Bangladesh"। Al Jazeera। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  6. Maaz Hussain (১ নভেম্বর ২০১৬)। "Enforced Disappearances Rise in Bangladesh"Voice of America। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  7. Anbarasan, Ethirajan (২১ এপ্রিল ২০১২)। "'Enforced disappearances' haunt Bangladesh"BBC News 
  8. "Cases of 'enforced Disappearances': Families want loved ones returned"The Daily Star। ৫ ডিসেম্বর ২০১৬। 
  9. "ENFORCED DISAPPEARANCE: Families call for return of 19 youths"New Age। ৫ ডিসেম্বর ২০১৫। 
  10. "Human Rights Day"The Daily Star। ১১ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  11. "Sentenced to torment"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  12. ""Mayer Daak" formed a human chain - Back Page"The Daily Observer। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  13. Mascarenhas, Anthony (১৯৮৬)। BANGLADESH - A Legacy of Blood। Hodder & Stoughton। পৃষ্ঠা 113। আইএসবিএন 0-340-39420-X 
  14. Editorial (৩০ আগস্ট ২০১৭)। "Enforced disappearances"The Daily Star 
  15. "Bangladesh: End Disappearances and Secret Detentions"। Human Rights Watch। ৬ জুলাই ২০১৭। 
  16. "300 victims of enforced disappearance in Bangladesh since 2009: AHRC"New Age। ৭ নভেম্বর ২০১৬। 
  17. "International Week of the Disappeared" (পিডিএফ)Statement on the International Week of the DisappearedOdhikar। ২৫ মে ২০১৫। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  18. David Bergman (২০ অক্টোবর ২০১৪)। "'Forced disappearances' surge in Bangladesh"। Al Jazeera। 
  19. "Reluctance of law enforcers leads to increase in crimes"The Daily Star। ১৭ জানুয়ারি ২০০৯। ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২০ 
  20. "Killing spate scales up sense of insecurity"The Daily Star। ১৪ জুন ২০০৯। ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২০ 
  21. "Editorial: Regrettable post-election incidents"। ৪ জানুয়ারি ২০০৯। ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২০ 
  22. "Editorial: Once again, it is the BCL"The Daily Star। ১৩ মার্চ ২০১০। ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২০ 
  23. "2009 Human Rights Report: Bangladesh"US Department of State। ১১ মার্চ ২০১০। 
  24. "Election monitors to boycott Bangladesh polls"। Al Jazeera। 
  25. Alam, Julhas (৫ জানুয়ারি ২০১৪)। "Violence, low turnout mar elections in Bangladesh"The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৪ 
  26. Barry, Ellen (৬ জানুয়ারি ২০১৪)। "Low Turnout in Bangladesh Elections Amid Boycott and Violence"The New York Times 
  27. "Democracy in the Crossfire: Opposition Violence and Government Abuses in the 2014 Pre- and Post-Election Period in Bangladesh" (পিডিএফ)Human Rights Watch। এপ্রিল ২০১৪। আইএসবিএন 978-1-62313-1272 
  28. "Abduction and disappearance: Making the State accountable"The Daily Star। ৭ মে ২০১৪। 
  29. "Missing RAB officer returns after 1.5 years"Dhaka Tribune। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০২০ 
  30. "Ilias Ali, driver go missing"The Daily Star। ১৯ এপ্রিল ২০১২। ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২০ 
  31. "Ilyas Ali, Bangladesh Politician, Kidnapping Sparks Bangladesh Crisis"HuffPost। ৯ মে ২০১২। 
  32. "Strike turns violent in Bangladeshi town of Sylhet"BBC NewsBBC। ২৩ এপ্রিল ২০১২। 
  33. Vikas Bajaj, Julfikar Ali Manik (৯ এপ্রিল ২০১২)। "Killing of Bangladeshi Labor Organizer Signals an Escalation in Violence"The New York Times। New York। 
  34. Yardley, Jim (৯ সেপ্টেম্বর ২০১২)। "Fighting for Bangladesh Labor, and Ending Up in Pauper's Grave"The New York Times 
  35. David Bergman (২৯ আগস্ট ২০১৬)। "Concern over missing sons of Bangladeshi politicians"। Al Jazeera। 
  36. David Bergman (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "UN demands Dhaka action on enforced disappearances"। Al Jazeera। 
  37. "Hummam Quader cannot remember anything about abduction"Dhaka Tribune। ৩ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৯ 
  38. "HC gives 2 weeks to submit Bali's whereabouts | Dhaka Tribune"archive.dhakatribune.com। ৯ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  39. "তারেক সাঈদের বিরুদ্ধে গুমের বহু অভিযোগ"প্রথম আলো। ২৩ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ 
  40. jugantor.com। "তারেক সাঈদের নেতৃত্বে আরও ১১ গুম | জাতীয় | Jugantor"jugantor.com। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ 
  41. "The Daily eSamakal"esamakal.net। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭