বাংলাদেশে মানবাধিকার

সংবিধানের তৃতীয় অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশে মানবাধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে সংবিধান এবং আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের অনেক আইন সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে যাতে ২১শতকের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং মৌলিক অধিকারের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা যায়।

বাংলাদেশের পতাকা

২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে বাংলাদেশে ২,৬৯৯ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন।[] একই সময়ে ৬৭৭ জন গুমের শিকার হন এবং ১,০৪৮ জন হেফাজতে মারা যান।[] পরিসংখ্যানটি প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা অধিকার। এছাড়া, সংস্থাটির মতে, ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনাসহ ২০২৪ সালের ঘটনা যুক্ত করলে মৃতের সংখ্যা ৩,০০০ ছাড়িয়ে যাবে।[]

২০২২ সালে, ফ্রিডম হাউস বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতিকে ১০০ এর মধ্যে ৩৭ (আংশিক স্বাধীন) বলে মূল্যায়ন করে।[]

নির্যাতন

সম্পাদনা

র‌্যাব (র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান) ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাকে হেফাজতকালীন ও জিজ্ঞাসাবাদকালে নির্যাতন চালানোর বিষয়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ধরনের একটি অভিযোগ এসেছে ঢাকায় এক বৃদ্ধকে সাদা পোষাকধারী র‌্যাব সদস্যরা শারীরিকভাবে নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তিনি গুরুতরভাবে নির্যাতনের শিকার হন।[] ২৭ জুলাই, ২০০৫ তারিখে রাজশাহীর অধিবাসী দুই ভাই আজিজুর রহমান সোহেল ও আতিকুর রহমান জুয়েলকে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারপূর্বক ব্যাটন দিয়ে লাঠিপেটা ও বৈদ্যুতিক শক দিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করে।[] জানা যায় যে, তাদের এই বর্বরতার পিছনে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ঘুষের অর্থ পরিবারের কাছে দাবী করা হয়েছিল। ভাইদের উপর এতোটাই নির্যাতন করা হয়েছিল যে তাদেরকে পুলিশী হেফাজতে থেকে রাজশাহী মেডিকেল স্কুল হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।[] বাংলাদেশে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য নির্যাতন চলে মে, ২০০৭ সালে যা তাসনিম খলিল নামের এক সাংবাদিক ও ব্লগারের উপর শারীরিক নির্যাতন মামলার বিষয়ের সাথে জড়িত ছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) হেফাজতে থাকাকালে তিনি নির্যাতনের শিকার হন ও মুক্তির পর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে লিখেন।[] বাংলাদেশ থেকে চলে আসার পর সুইডেন সরকার তার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়।[]

নাগরিকত্ব এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার

সম্পাদনা

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নিপীড়ন

সম্পাদনা

বাংলাদেশ ধর্মীয় স্বাধীনতাস্বাধীনভাবে মত প্রকাশের জন্য অধিকারের জন্য প্রণীত নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তিতে আবদ্ধ। জানুয়ারি, ২০০৪ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সরকারের মিত্র দল ইসলামী ঐক্যজোট ও চরমপন্থী খতমে নবুয়াত আন্দোলন কর্তৃক আহ্‌মদীয়া সম্প্রদায়ভূক্ত মুসলমানেরা মুসলিম ‘নয়’ বলে ঘোষণা দিলেও তা এড়িয়ে যায়।[] এছাড়াও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ভয়ে সরকার কর্তৃক আহ্‌মদীয়া পাবলিকেশনকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে, সাংবিধানিক আদালত এ নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করলেও ইসলামপন্থী দলগুলো এ আইনি পদক্ষেপ মোকাবেলায় হুমকি দিচ্ছে। ঘরবাড়িতে আক্রমণ ও আহমদিয়াদের ধর্মীয় স্থাপনাসমূহ এখনো হুমকির মুখে রয়েছে। কিন্তু সরকার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কিংবা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপত্তায় পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে নিযুক্ত করেনি। অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুরাও অপহরণ, ধর্মীয় স্থাপনায় অপবিত্রতা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিতকরণসহ আক্রমণের শিকারে পরিণত হচ্ছেন বলে ক্রমাগত প্রতিবেদনে প্রকাশ পাচ্ছে।[] হিন্দুদের সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ এবং বালিকাদের ধর্ষণের প্রতিবেদন[১০] প্রকাশিত হলেও পুলিশ এ কারণে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনায় নীরব থাকছে। ধর্মীয়ভাবে আবদ্ধ পরিবেশে অবস্থানের কারণে হাজার হাজার বৌদ্ধ, হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা দেশত্যাগে বাধ্য হচ্ছেন।[১১]

অমুসলিমদের উপর নির্যাতন

সম্পাদনা

ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের ঘটনাসমূহ:

অবাঙালি

সম্পাদনা

৬ নভেম্বর, ২০১৬ তারিখে রংপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ বিরোধপূর্ণ জমি দখলের উদ্দেশ্যে উচ্ছেদ অভিযান চালায়। সেখানে বেশ কয়েকশত সাঁওতাল বসবাস করছিলেন। জোরপূর্বক দখল অভিযানে দুই সাঁওতাল নিহত হন, ২০জন আহত হন ও সাঁওতালদের বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সংবাদ চ্যানেল আল-জাজিরায় প্রচারিত এক ভিডিও চিত্রে দুই পুলিশ ও এক লোকে সাধারণ পোশাকে এক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করতে দেখা যায়। ঐ সময় বুলেটপ্রুফ পোষাক পরিহিত অবস্থায় একদল পুলিশ টহল দিচ্ছিলেন।[১২]

===সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর নির্যাতন===

বাংলাদেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ভুক্ত সংখ্যালঘু মুসলিম গোষ্ঠীগুলি প্রায়শই প্রভাবশালী সুন্নিদের দ্বারা সাম্প্রদায়িক সহিংসতার লক্ষ্যবস্তু হয়, যেমন দেশের আহমদিয়া এবং শিয়া সম্প্রদায়। ২০০৪ সালে, বাংলাদেশ সরকার আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সকল ধর্মীয় বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।[১৩] ২০১৫ সালে, একটি শিয়া আশুরা সমাবেশে বোমা হামলা হয়েছিল।[১৪]

নারী অধিকার

সম্পাদনা

জাতিসংঘের কান্ট্রি টিম বাংলাদেশে দারিদ্র্যের প্রধান কারণ হিসেবে ‘ক্ষণস্থায়ী বৈবাহিক সম্পর্ককে’ চিহ্নিত করে এবং নারীপূর্ণ গৃহে অবস্থানের বিষয়কে ‘অতি ও চরম’ দারিদ্র্যতারূপে উল্লেখ করে। বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন বলে যে, পরিবারের সদস্যরূপে উপার্জনক্ষম পুরুষ কর্তৃক পরিত্যাগ বা বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটলে মহিলারা আরও হতদরিদ্র হয়ে পড়েন।[১৫] বাংলাদেশের নারীরা সাধারণভাবে এসিড নিক্ষেপের ন্যায় মুখমণ্ডল বিকৃতি বা সামাজিক বিচ্ছিন্নতার উদ্দেশ্যে পরিচালিত অভ্যন্তরীণ সহিংসতার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন। বাংলাদেশে বৈষম্যমূলকভাবে নারীরা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ১৯৯৯-২০০৯ সময়কালে ৬৮% এসিড আক্রমণের শিকার হয়েছেন নারী/বালিকারা।[১৬]

২০১০ সালে অভ্যন্তরীণ সহিংসতা মোকাবেলার লক্ষ্যে একটি আইন প্রবর্তিত হয়। যারফলে ঘরোয়া সহিংসতা প্রতিরোধের কারণে ‘অর্থনৈতিক ক্ষতির’ সম্মুখীন হওয়াসহ কেবলমাত্র বিবাহিতদেরই বাড়ীতে বসবাসের অধিকার জন্মায়। ঐ আইনে আদালতকে ঘরোয়া সহিংসতার শিকারদেরকে সাময়িক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ক্ষমতা প্রদান করা হয়। ২০১২ সালে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বাংলাদেশ আইন কমিশন মুসলিম, হিন্দুখ্রিস্টানদের জন্য নিজস্ব আইন পুণর্গঠনের বিষয়ে দেশব্যাপী গবেষণা চালায়। মে, ২০১২ সালে হিন্দু বিবাহের ঐচ্ছিক নিবন্ধনের বিষয়ে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়। এছাড়াও আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পারিবারিক আদালতের কার্যক্রমকে আরও উন্নতি করতে সাধারণ বিচার ব্যবস্থা - বিশেষতঃ সমনজারির বিষয়ে বিবেচনা করছে।[১৭]

ধর্মীয় স্বাধীনতা

সম্পাদনা

যদিও শুরুতে বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী ভাবধারায় সংবিধান প্রণয়নে সচেষ্ট হয়েছিল, তবুও ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৮ সময়কালে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিবোধ থেকে দূরে সরে এসে ইসলামিক পদ্ধতিতে জীবনধারায় চলনের জন্য প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনে ও এর স্থলাভিষিক্ত হতে থাকে। সংবিধান ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করলেও প্রত্যেকেরই আইন, শৃঙ্খলা ও নীতিবোধ রক্ষাকল্পে নিজ নিজ ধর্মপালনের অধিকারবোধ রয়েছে।[১৮] সরকার সাধারণভাবে এটি অনুশীলনে প্রাথমিকভাবে সম্মান জানিয়ে আসছে।

মানবাধিকার রক্ষাকর্মী, সাংবাদিক ও বিরোধীদেরকে ভীতিপ্রদর্শন

সম্পাদনা

বিরোধীদের কণ্ঠস্বররোধে বাংলাদেশ ভয়ানক ঝুঁকিতে অবস্থান করছে। দলগতভাবে সরকারের কার্যক্রমের বিপক্ষে নথিবদ্ধ বা বলার চেষ্টা করার পর তাদেরকে উত্তরোত্তর ভীতিপ্রদর্শন ও আক্রমণ করা হচ্ছে। ২৭ জানুয়ারি, ২০০৫ তারিখে সাবেক অর্থমন্ত্রী ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সদস্য শাহ আবু মোহাম্মদ শামসুল কিবরিয়াকে হত্যা করা হয়।[১৯] এরপর ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতা শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড ছুঁড়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। তিনি রক্ষা পেলেও তার দলের তেইশ সদস্য নিহত হন।[২০] আওয়ামী লীগের অন্যান্য কনিষ্ঠ-জ্যেষ্ঠ সদস্যদেরকে হয়রানিভীতিপ্রদর্শনের কথাও জানা যায়।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কার্যক্রমও কর্তৃপক্ষ ও সরকারদলীয় সমর্থকদের কাছ থেকে হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে।[২১] ৮ আগস্ট, ২০০৫ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্যরা এক আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সদস্যের উপর নির্যাতনের বিষয়ে তদন্তে আসা দুই মানবাধিকার কর্মী আক্রমণের শিকার হন।[] সাংবাদিকগণও তিন বছর ধরে একই ভাগ্য নিয়ে অবস্থান করছেন। রিপোর্টার্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স নামীয় সংগঠন বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করে যেখানে বেশ বৃহৎসংখ্যক সাংবাদিককে শারীরিকভাবে আক্রমণ করাসহ মৃত্যুর হুমকি দেয়া হয়। সরকার সাংবাদিকদের রক্ষার্থে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ইসলামপন্থী দলগুলো স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদেরকে ভীতিপ্রদর্শন জোরদার করে চলেছে।[২২]

বাংলাদেশী সাংবাদিক ও বাংলাদেশী ট্যাবলয়েড উইকলি ব্লিটজের সম্পাদক সালাহ উদ্দিন শোয়েব চৌধুরীকে[২৩][২৪] ইসলামী চরমপন্থীদের উত্থান বিষয়ে নিবন্ধ লেখা ও ইসরায়েলকে স্বীকৃতিদানের বিষয়ে সরকারের কাছে আবেদন করলে তাকে সতর্ক করার পর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। তেল আভিভে হিব্রু রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনে উপস্থিতির চেষ্টা চালালে তাকে জানুয়ারি, ২০০৪ সাল থেকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, বিশ্বাসঘাতকতা, ব্লাসফেমি ও গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। নভেম্বর, ২০০৩ সালে ইসরায়েল ভ্রমণের চেষ্টা চালানোয় তিনি পাসপোর্ট অধ্যাদেশ লঙ্ঘন করেছেন। এ অধ্যাদেশে বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এমন দেশে ভ্রমণে নাগরিকদেরকে নিরস্ত রাখা হয়। ইসরায়েলের পক্ষে গোয়েন্দাগিরির বিষয়ে স্বীকারোক্তি আদায়ে তাকে পেটানোসহ ১০দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরবর্তী ১৭ মাস তিনি নির্জন কারাবাসে ছিলেন ও তার চোখের ছানির জন্য চিকিৎসা সেবা নিতে অস্বীকৃতি জানান। মার্কিন কংগ্রেস মুখপত্র মার্ক কির্কের হস্তক্ষেপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূতের কাছে মতবিনিময়ের পর চৌধুরীকে জামিনে মুক্তি দেয়া হলেও তার উপর আনীত অভিযোগ বহাল থাকে।[২৫] ২০০৭ সালে মার্কিন পররাষ্ট্রবিষয়ক হাউজ কমিটি কর্তৃক হাউজের ৬৪ অধ্যাদেশ বলে বাংলাদেশ সরকারকে চৌধুরীর উপর আনীত সকল অভিযোগ থেকে মুক্তিদানের বিষয়ে জানানো হয়।[২৬]

২০১০ সাল থেকে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কমপক্ষে ২৯৮ ব্যক্তি যার অধিকাংশই বিরোধী দলীয় নেতা ও কর্মী বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গুম হয়।[২৭][২৮][২৯] একটি অভ্যন্তরীণ মানবাধিকার সংগঠনের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৮২ ব্যক্তি নিখোঁজ হন।[৩০] নিখোঁজের পর কমপক্ষে ৩৯ জনকে মৃত অবস্থায় দেখা গেলেও বাদ-বাকীদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।[২৯] ২৫ জুন, ২০১০ তারিখে বিরোধীদলীয় নেতা চৌধুরী আলমকে রাষ্ট্রীয় পুলিশ গ্রেফতার হন ও তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।[৩১] তার নিখোঁজের বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরবর্তীতে অস্বীকার করে।[৩২] ১৭ এপ্রিল, ২০১২ তারিখে প্রধান বিরোধীদল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আরেক প্রথিতযশা নেতা ইলিয়াস আলী অজ্ঞাত সশস্ত্র ব্যক্তিদের হাতে নিখোঁজ হন। এ ঘটনাটি গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে গুরুত্ব পায়। ২০১৪ সালের বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে কমপক্ষে ১৯জন বিরোধীদলীয় ব্যক্তিকে নিরাপত্তা বাহিনী ধরে নিয়ে যায়।[৩৩] এ ধরনের গুমের ঘটনায় অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন - উভয় পক্ষ থেকেই নিন্দাজ্ঞাপন করা হয়। সরকারের কাছে দাবী জানানো স্বত্ত্বেও এজাতীয় গুম ও এজাতীয় মামলার তদন্তে উদ্যোগ গ্রহণে নিস্পৃহতা লক্ষ্য করা যায়।[৩৩][৩৪][৩৫]

সাম্প্রতিক দুর্নীতি

সম্পাদনা

২০১৩ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের "দুর্নীতি অনুধাবন সূচীতে বাংলাদেশ ১০০ এর মধ্যে ২৮ টি অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ১০০ জন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অর্জন করেছে এবং ১৮০ টি দেশের মধ্যে ১৪ তম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০১০ সালে তারা ১৬ রান করেছে এবং ২০১৫ সালে তারা ২৫ রান করেছে.[৩৬]

দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৪ সালে বাংলাদেশে কিছু দুর্নীতি থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তবে তা অকার্যকর ছিল। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ক্ষমতা হারিয়ে যাওয়ার পরে ২০০৮ অবধি দারিদ্র্য প্রশাসনের কারণে বাংলাদেশে দুর্নীতি আরও অব্যাহত ছিল যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার উপস্থিত কিছু সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিয়েছিল।.[৩৭] ২০১৮ সালে ঘুষের আকারে হাসপাতাল ল্যাবরেটরি এবং ফার্মাসিতে দুর্নীতি পাওয়া যায়। ২০১৮ সালে অনুমান করা হয় যে ১০,৬৮৮ টি কে ঘুষের মাধ্যমে চিকিৎসা হয়েছে। ৬৬% এরও বেশি বাড়ি পরিসেবা শিল্পগুলিতে দুর্নীতির শিকার হয়েছে বলে দাবি করেছে। আইন প্রয়োগকারীদেরও দুর্নীতি পাওয়া যায়, যেখানে ৭২% এরও বেশি বাড়ি আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির শিকার হয়েছে বলে দাবি করেছে। যারা দুর্নীতির শিকার হয়েছেন তারা দেখতে পান যে সর্বাধিক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা আইন প্রয়োগকারী এবং পাসপোর্ট অফিসগুলিতে ছিলেন, আপনার দাবিগুলি প্রক্রিয়া করার জন্য ঘুষের প্রয়োজন ছিল। ঘুষের পাশাপাশি দুর্নীতিও তদবিরের আকারে, গ্যাস শিল্পে, শিক্ষা, জল সরবরাহ, বিদ্যুৎ শিল্পে এবং অন্যান্য অনেক বড় শিল্পে বিদ্যমান। ঘুষ হলো একটি অন্তর্নিহিত সমস্যাগুলি একসাথে যুক্ত করে.[৩৮] দাস শ্রমও বাংলাদেশে প্রচলিত যেখানে ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি লোক শ্রমের জন্য বাধ্য হয়ে সরাসরি জোর করে শ্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে। দাসদের মধ্যে ৮৫% পুরুষ এবং ১৫% মহিলা, বাংলাদেশকে বিশ্বের দাস গণনা বিবেচনায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে কেবল ভারত, চীন এবং পাকিস্তান শীর্ষে রয়েছে। বেশিরভাগ পুরুষ শ্রম শিল্প যেমন কৃষিকাজ,,[৩৯] যখন অনেক মহিলা এবং যুবতী মেয়েরা পতিতালয়ে দাসত্ব করে। ঘুষের সাথে যুক্ত হয়ে পতিতালয় মালিকরা তাদের শিশুদের কমপক্ষে ১৮ বছর বয়সী, বাংলাদেশে যৌনকর্মী হিসাবে কাজ করার আইনী বয়স হওয়ার বিষয়ে তাদের বোঝাতে পুলিশকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পতিতালয়ের মালিকরা বেশিরভাগ লাভ রাখায় এই মহিলারা এবং মেয়েরা খুব অল্প অর্থ উপার্জন করে.[৪০] বাংলাদেশের ১০% এরও কম যৌনকর্মী তাদের নিজের ইচ্ছায় মাঠে নেমেছে তাদের বেশিরভাগই বিক্রি বা বাধ্য হয়ে দাসত্বের শিকার হয়েছে,তাদের মুক্ত হওয়ার আগে তাদের মালিকদের ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছিল।[৪১]

বাক স্বাধীনতা

সম্পাদনা

অনুচ্ছেদ ৩৯ এ নিখরচায় বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।[৪২] নব্বইয়ের দশক এবং একবিংশ শতাব্দীর দেড় দশকের সময়কালে বাংলাদেশের মিডিয়া ইতিহাসের অন্য সময়ের চেয়ে বেশি স্বাধীনতা ভোগ করেছিল। তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একটি বয়কট নির্বাচন জিতেছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। ক্ষমতাসীন দলটি দেশের দুটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র ডেইলি স্টার এবং প্রথম আলোকে অসংখ্য মামলা মোকদ্দমা দিয়ে টার্গেট করেছে এবং ব্যবসায়ে বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে উৎসাহিত করেছে তাদের। বিরোধী পক্ষের সমর্থক সাংবাদিকদের মাহমুদুর রহমান এবং শফিক রহমানকে আটক করা হয়েছিল। নূরুল কবির নতুন যুগের সম্পাদক, ব্যক্তিগত জীবনের হুমকির মুখোমুখি হয়েছেন।[৪৩] [[মাহফুজ আনাম ডেইলি স্টার এর সম্পাদক ২০১৬ সাল থেকে ৮৩ টি মামলা মোকদ্দমা করেছেন.[৪৪] সীমান্ত ছাড়াই রিপোর্টার্স তার প্রেসের স্বাধীনতা সূচকে ১৮০ টি দেশের মধ্যে ১৪৬ তম স্থানে রেখেছেন।.[৪৫]

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর মতে, স্বাধীন মিডিয়া আউটলেট এবং সাংবাদিকরা সরকারের তীব্র চাপে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পরিবার বা আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা প্রকাশ করার জন্য বেশিরভাগ সাংবাদিক নির্বিচারে ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হন। সাংবাদিকরা সরকারী কর্মকর্তা বা সুরক্ষা সংস্থাগুলির হুমকির পরিমাণ বাড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন। মত প্রকাশের অধিকারকে ব্যাপকভাবে সীমাবদ্ধ করতে সরকার বিভিন্ন দমনমূলক আইন ব্যবহার করে চলেছে। এটি ক্রমবর্ধমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ব্যবহার করেছে যা নির্বিচারে অনলাইন এক্সপ্রেশনকে সীমাবদ্ধ করে। মানবাধিকার অধিকার সংস্থা এই আইনের অধীনে গ্রেপ্তারের পরিমাণ বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে। সাংবাদিক কর্মী এবং অন্যান্যদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল.শিক্ষার্থী দিলীপ রায়কে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করার জন্য আটক করা হলেও পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়.সংসদ বৈদেশিক অনুদান স্বেচ্ছাসেবী ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ আইন গৃহীত করে যা এনজিওগুলির কাজের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছিল এবং সংবিধান বা সাংবিধানিক সংস্থার বিরুদ্ধে অনৈতিক বা অবমাননাকর মন্তব্য করার জন্য তাদেরকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার হুমকি দিয়েছে.মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার অপরাধ আইনে ডিজিটাল সুরক্ষা আইনের বিজ্ঞাপন সহ বাকী স্বাধীনতার হুমকিসহ আরও কয়েকটি বিল সংসদে প্রস্তাব করা হয়েছিল।[৪৬]

বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের উপর হামলা তদন্তে সরকারও ধীর গতিতে ছিল।

২০২০ সালের ২০ জুন একটি ফেসবুক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমালোচনা করার জন্য একটি ১৫ বছরের শিশুকে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তার করেছিল.শিশুটিকে ডিজিটাল সুরক্ষা আইন এর আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল. তাকে কিশোর আটক কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছিল. হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশ সরকারকে সমালোচনা করার জন্য লোকদের গ্রেপ্তার না করার এবং ক্ষুদ্র অপরাধের কারণে কিশোর আটক সুবিধা ও কারাগারে বন্দী সমস্ত শিশুদের মুক্তি না দেওয়ার জন্য তাদের পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়ার আহ্বান জানান।[৪৭] বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সুরক্ষা আইনের অপব্যবহারের মধ্যে সাংবাদিক,কর্মী এবং সরকারের সমালোচকদের চিরতরে আটক করছে.ক্ষমতাশীল দলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগের মন্তব্য পোস্ট করার জন্য লোকজনকে আটক করা হচ্ছে.হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সরকারের সমালোচনা করার জন্য ডিজিটাল সুরক্ষা আইন ডিএসএ অধীনে আটক বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিল।[৪৮]

সংসদে বিনামূল্যে ভোট

সম্পাদনা
 
Parliament is not allowed to have free votes due to Article 70

অনুচ্ছেদ ৭০ এ বাংলাদেশের সংবিধান গণতন্ত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাধা হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে.নিবন্ধটি সংসদে বিনামূল্যে ভোটে সীমাবদ্ধ করে এর অর্থ সংসদ সদস্য এমপি এর কোনও ভোটাধিকার নেই.নিবন্ধ অনুসারে সংসদ সদস্যরা তাদের দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে তারা আসন হারাবেন. সমালোচকরা যুক্তি দেখিয়েছেন যে সংসদে খালি বক্তব্যকে পদদলিত করে।.[৪৯] ফলস্বরূপ সংসদকে একটি রাবার স্ট্যাম্প এবং একটি খোঁড়া হাঁস হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

নির্বাচন

সম্পাদনা

২০১১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সংসদটি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত করেছিল, যা সাধারণ নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ জামিনদার হিসাবে কাজ করার উদ্দেশ্যে ছিল. বিরোধী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ধরে রেখেছেন যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, বিশেষত আওয়ামী লীগ নির্বাচনের সময় সংবিধান সংশোধন করার পরে ওয়েস্টমিনস্টার এর বিপরীতে নিয়ম.[৫০]

২০১৫ সালে ভোটার ও গণমাধ্যমের ভোট কারচুপি এবং ভয় দেখানোর অভিযোগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিভ্রান্ত হয়েছিল। [৫১] বিরোধী দলগুলি নির্বাচনের সময়কালে একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবি করেছে। এর জবাবে সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করার সময় তার রাজনৈতিক কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করার প্রস্তাব করেছে.[৫২]

জরুরী ক্ষমতা

সম্পাদনা

সংবিধানের IXA অংশটি একটি জরুরি অবস্থা সম্পর্কিত। দ্বিতীয় সংশোধনীতে জরুরি ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছিল।[৫৩] ১৯৭৩,১৯৯০ এবং ২০০৭ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনটি জরুরি সময়কাল ঘোষণা করা হয়েছে,১৪১ বি এবং অনুচ্ছেদ ১৪১ সি জরুরি অবস্থার সময় মৌলিক অধিকার স্থগিতের অনুমতি দেয়।[৫৪][৫৫] নিবন্ধগুলি তীব্র সমালোচিত হয়েছে। ২০০৬,২০০৭ এবং ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশী রাজনৈতিক সঙ্কটে যখন জরুরি নিয়মের একটি ঘোষণাপত্র দেখেছিল, তখন নতুন যুগ একটি সম্পাদকীয়তে ঘোষণা করে বলেছিলেন তার ভুলগুলি পূর্বাবস্থায় নেওয়ার জন্য জরুরি অবস্থার পরে জনগণ আবারও বলেছে যে রাষ্ট্রপতি তাদের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার স্থগিত করে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন।মানুষিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য নাগরিকরা দোষী নন এবং তাই তত্ত্বাবধায়কের ব্যর্থতার জন্য শাস্তি দেওয়া উচিত নয় সরকার এবং রাজনৈতিক দলসমূহ সুতরাং,রাষ্ট্রপতির উচিত অবিলম্বে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধার করা।"[৫৬]

মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি

সম্পাদনা

মূল নিবন্ধ: বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ড

বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা আইনী দণ্ড।[৫৭] ২০১৫ সালে দেশে তিনটি ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে এবং ৫ জুলাই ২০১৬ সালে হয়েছে। [৫৮]

এটি তাত্ত্বিকভাবে ১৬ বছরের বেশি বয়সের যে কোনও ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যেতে পারে,তবে বাস্তবে ১৮ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় না.[৫৮]

মৃত্যুদণ্ড,খুন,রাষ্ট্রদ্রোহী মাদকদ্রব্য রাখার বা পাচার সম্পর্কিত অপরাধ, মানুষের পাচার সম্পর্কিত অপরাধ, সামরিক অপরাধ, ইত্যাদির মতো অপরাধের শাস্তি হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে,ধর্ষণ, হাইজ্যাকিং প্লেন, নাশকতা বা সন্ত্রাসবাদ.[৫৯] এটি ঝুলানো এবং ফায়ারিং স্কোয়াড দ্বারা বাহিত হয় কর্তৃপক্ষ সাধারণত কেবল ঝুলন্ত ব্যবহার করে।[৫৮]

মৃত্যুদণ্ড বাতিল করার বিষয়ে দ্বিতীয় ঐচ্ছিক প্রটোকল টু ইন্টারন্যাশনাল কন্টেন্ট অফ সিভিল অ্যান্ড পলিটিকাল রাইটস তে কোনও রাষ্ট্রপক্ষ নয়।

বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী রাজনীতিবিদ আনিসুল হক সরকারের পক্ষে একটি আইন প্রস্তাব করেছিলেন যার অধীনে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তদের উপর সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হবে.এই সিদ্ধান্ত অনলাইনে প্রচারিত এক মহিলার ভিডিওতে প্রকাশ্যে একদল পুরুষ তাকে যৌন নিপীড়নের ভিডিও প্রকাশের ভিডিওর জনসমক্ষে ক্ষোভের পরে। পরে দেখা গিয়েছিল যে ওই কিশোরীকে একই পুরুষরা বারবার গণধর্ষণ করেছিল.[৬০]

মহিলাদের অবস্থা

সম্পাদনা

আরও দেখুন:বাংলাদেশের মহিলা

বাংলাদেশে দলটি জাতিসংঘের দেশে বৈবাহিক অস্থিতিশীলতা দারিদ্র্যের মূল কারণ এবং মহিলা-নেতৃত্বাধীন পরিবারের মধ্যে অতি এবং চরম দারিদ্র্যের কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন বলেছে যে বিসর্জন আইনী পরিবারত্যাগ বা বিবাহবিচ্ছেদের কারণে একজন পুরুষ উপার্জনশীল পরিবারের সদস্যকে হারানোর পরে নারীরা দরিদ্র হওয়ার ক্ষেত্রে বেশি সংবেদনশীল.[৬১] বাংলাদেশের মহিলারা বিশেষত এক ধরনের ঘরোয়া সহিংসতা নামে পরিচিত যেখানে ঘনীভূত অ্যাসিডটি একজন ব্যক্তির সাধারণত মুখের দিকে চরম নষ্ট হওয়ার লক্ষ্যে নিক্ষিপ্ত হয় বাংলাদেশে নারীরা বৈষম্যহীনভাবে লক্ষ্যবস্তু: এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৯৯৯ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত অ্যাসিড আক্রমণ ১৮% বেঁচে ছিলেন নারী.[১৬]

২০১০ সালে ঘরোয়া সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি আইন চালু করা হয়েছিল, যা অর্থনৈতিক ক্ষতি ঘটা করে ঘরোয়া সহিংসতা হিসাবে কাজ করে এবং বৈবাহিক বাড়িতে বসবাসের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়। আইনটি আদালতকে ঘরোয়া সহিংসতায় বেঁচে থাকাদের অস্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষমতাও দেয়। ২০১২ সালে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বাংলাদেশের আইন কমিশন মুসলিম, হিন্দু এবং খ্রিস্টান ব্যক্তিগত আইনগুলির সংস্কারের জন্য দেশব্যাপী গবেষণা সম্পন্ন করে। ২০১২ সালের মে মাসে মন্ত্রিসভা হিন্দু বিবাহের নিবন্ধীকরণের জন্য একটি বিল অনুমোদন করে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় দেওয়ানী আদালতের পদ্ধতিতে বিশেষত পারিবারিক আদালতের দক্ষতা উন্নত করার জন্য সমন জারির বিষয়েও বিবেচনা করছে.[৬২]

বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার খুব বেশি সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের বিবাহ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কিন্তু ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সালে একটি আইন পাস করা হয়েছিল যা ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিশেষ পরিস্থিতিতে যেমন দুর্ঘটনাজনিত বা অবৈধ গর্ভাবস্থায় বিবাহ করার অনুমতি দেয়। তাদের বাবা-মা এবং আদালতের অনুমতি নিয়ে।[৬৩]

এলজিবিটি অধিকার

সম্পাদনা

প্রধান:বাংলাদেশে এলজিবিটি অধিকার ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ এশিয়া হিজড়াকে তৃতীয় লিঙ্গ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে.[৬৪]

বাংলাদেশে ব্রিটিশ রাজ-যুগের দণ্ডবিধি কার্যকর রয়েছে। কোডটির ৩৭৭ ধারা সমকামিতাকে অপরাধী করে তোলে। ২০১৬ সালে সন্ত্রাসবাদী দলগুলি বাংলাদেশের প্রথম এলজিবিটিকিউ ম্যাগাজিন সম্পাদক জুলহাজ মান্নান এবং তার সহযোগী তনয় মজুমদার হত্যার দায় স্বীকার করেছে.[৬৫]

শরণার্থী

সম্পাদনা

২০০৮ সালে ঢাকা হাইকোর্ট রাষ্ট্রহীন আটকে পড়া পাকিস্তানি সম্প্রদায়ের নাগরিকত্ব প্রদান করে.[৬৬]

মায়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রক্ষিত দরিদ্র জীবনযাপনের জন্য বাংলাদেশের সমালোচনা করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও সরকার বঙ্গোপসাগরের প্রত্যন্ত দ্বীপে শরণার্থী শিবির স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করার পর আন্তর্জাতিকভাবে হৈ চৈ পড়ে যায়.[৬৭] ২০১৬ সাল পর্যন্ত আনুমানিক ২২,০০০ নিবন্ধিত শরণার্থী এবং অনিবন্ধিত শরণার্থী ছিলেন ১০০,০০০।২০১৬ এবং ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্য ক্র্যাকডাউন করার পরে মিয়ানমার থেকে ৬৫,০০০ শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে.[৬৮]

বাংলাদেশ ১৯৫১ সালে শরণার্থীদের মর্যাদার সাথে সম্পর্কিত স্বাক্ষর করেনি।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "দেড় দশকে বিচারবহির্ভূত হত্যা ২,৬৯৯ ও গুম হন ৬৭৭ জন"Bonik Barta (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২৪ 
  2. BonikBarta। "দেড় দশকে বিচারবহির্ভূত হত্যা ২,৬৯৯ ও গুম হন ৬৭৭ জন"দেড় দশকে বিচারবহির্ভূত হত্যা ২,৬৯৯ ও গুম হন ৬৭৭ জন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২৪ 
  3. "Bangladesh: Freedom in the World 2022 Country Report"Freedom House 
  4. "Torture In Bangladesh 1971-2004" (পিডিএফ)REDRESS (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  5. "World Report 2006" (পিডিএফ)Human Rights Watch (ইংরেজি ভাষায়)। 
  6. BANGLADESH: Brutal torture of two young men by the Boalia police in Rajsahi. Ahrchk.net.
  7. Human Rights Watch (ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। The Torture of Tasneem Khalil: How the Bangladesh Military Abuses Its Power under the State of Emergency (ইংরেজি ভাষায়)। 20 (Volume 20, No. 1(C) সংস্করণ)। New York: Human Rights Watch। ২৪ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৩ 
  8. Öhlén, Mats (১২ সেপ্টেম্বর ২০১০)। "Bangladesh – Sweden – The World"Stockholm News (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৩ 
  9. "Bangladesh: Events of 2005"Human Rights Watch (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৫ 
  10. "Bangladesh: Attacks on members of the Hindu minority" (পিডিএফ)Amnesty International (ইংরেজি ভাষায়)। 
  11. Attacks on Hindu Minorities in Bangladesh ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে. Hrdc.net.
  12. "Cops set fire to Santal houses: Al-Jazeera"New Age | The Outspoken Daily (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-১২ 
  13. "আহমদিয়া বই নিষিদ্ধ"দ্য ডেইলি স্টার। ২০১৯-০৮-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯ 
  14. হুসাইন, এস.এ. (২০১৬)। "অসহনশীল বাংলাদেশ? কীভাবে এবং কেন"। সোসাইটি অ্যান্ড কালচার ইন সাউথ এশিয়া (২): ২৮৬–২৯১। ডিওআই:10.1177/2393861716641578 
  15. "Women's Rights in Bangladesh" (পিডিএফ)Online Women in Politics (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০২। ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১২ 
  16. Avon Foundation for Women. Combating Acid Violence in Bangladesh, India, and Cambodia: A Report by the Avon Global Center for Women and Justice at Cornell Law School, The Committee on International Human Rights of the New York City Bar Association, the Cornell Law School International Human Rights Clinic, and the Virtue Foundation. (2011): 1–64.
  17. "Will I Get My Dues ... Before I Die?"Human rights watch (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১২ 
  18. "The Constitution of the People's Republic of Bangladesh: Article 2A: The state religion"Legislative and Parliamentary Affairs Division, Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs (ইংরেজি ভাষায়)। 
  19. "SAMS Kibria's first death anniversary today"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ জানুয়ারি ২০০৬। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  20. Shaon, Ashif Islam; Tipu, Md Sanaul Islam (২১ আগস্ট ২০১৪)। "Hasina escaped 4 assassination attempts in 25 years"ঢাকা ট্রিবিউন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৫ 
  21. "Bangladesh: Human rights defenders under attack" (পিডিএফ)Amnesty International (ইংরেজি ভাষায়)। 
  22. Reporters sans frontières – Bangladesh – Annual report 2005 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে. Reports Without Borders.
  23. "About us"Weekly Blitz (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  24. "Office of controversial magazine Weekly Blitz bombed"Centre for Independent Journalism (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ জুলাই ২০০৬। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  25. Darkness in Dhaka – A gadfly Bangladeshi journalist runs for his life by Bret Stephens, The Wall Street Journal, 15 October 2006
  26. HOUSE RESOLUTION 64 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে. (PDF).
  27. "International Week of the Disappeared" (পিডিএফ)Statement on the International Week of the Disappeared (ইংরেজি ভাষায়)। Odhikar। ২৫ মে ২০১৫। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  28. David Bergman (২০ অক্টো ২০১৪)। "'Forced disappearances' surge in Bangladesh"Al Jazeera (ইংরেজি ভাষায়)। Al Jazeera Media Network। 
  29. Hussain, Maaz। "Enforced Disappearances Rise in Bangladesh"VOA (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-১২ 
  30. "ASK Documentation: Forced Disappearances" (পিডিএফ)Incidents of Enforced Disappearances Between January and 30 September 2014 (ইংরেজি ভাষায়)। Ain o Salish Kendra। ১৩ অক্টোবর ২০১৪। 
  31. "DCC councillor Chowdhury Alam arrested"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ জুন ২০১০। ৭ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  32. "How Alam was abducted: Driver's account"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ জুলাই ২০১০। ৮ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  33. "ENFORCED DISAPPEARANCE: Families call for return of 19 youths"New Age (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ ডিসেম্বর ২০১৫। ১৬ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  34. "Bangladesh: Investigate Case of Enforced Disappearance" (ইংরেজি ভাষায়)। New York: Human Rights Watch। ১৭ মার্চ ২০১৫। 
  35. "Editorial: The disappearance of Chowdhury Alam"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ জুলাই ২০১০। ৮ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  36. Transparency.org (ইংরেজি ভাষায়) https://www.transparency.org/en/news/corruption-perceptions-index-2017। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২০  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  37. ঢাকা ট্রিবিউন। ২০১৮-০৫-১৮ curruption dayamanic in bangladesh https://www.dhakatribune.com/opinion/op-ed/2018/05/18/the curruption dayamanic in bangladesh |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৯  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  38. দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৮-৩১ https://www.thedailystar.net/news/city/corruption-in-bangladesh-law-enforcement-agencies-most-corrupt-tib-1626589। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৯  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  39. দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৮-১০ https://www.thedailystar.net/world/south-asia/bangladesh/infographics-bangladesh-10th-most-modern-slave-served-country-global-slavery-index-2016-big-data-1446466। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৯  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  40. the Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৭-০৬ http://www.theguardian.com/global-development/2019/jul/06/living-hell-of-bangladesh-brothels-sex-trafficking। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৯  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  41. (Asadul Islam and Russell Smyth, “Economics of Sex Work in Bangladesh” in Scott Cunningham and Manisha Shah, The Oxford Handbook of the Economics of Prostitution (New York and Oxford: Oxford University Press, 2016) chapter 10 pp. 210-228.)
  42. bdlaws.minlaw.gov.bd http://bdlaws.minlaw.gov.bd/sections_detail.php?id=367&sections_id=24587  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  43. দ্য ডেইলি স্টার। ৩ মার্চ ২০১০ http://www.thedailystar.net/news-detail-128505  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  44. Safi, Michael (১৮ মে ২০১৭)। The Guardian https://www.theguardian.com/world/2017/may/18/it-all-depends-on-how-i-behave-press-freedom-under-threat-in-bangladesh  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  45. The daily Star। ২৭ এপ্রিল ২০১৭ http://www.thedailystar.net/backpage/media-never-under-so-much-threat-1397038  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  46. www.amnesty.org https://www.amnesty.org/en/countries/asia-and-the-pacific/bangladesh/report-bangladesh/  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  47. Human Rights Watch https://www.hrw.org/news/2020/06/26/bangladesh-arrests-teenage-child-criticizing-prime-minister। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২০  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  48. "Bangladesh: Repeal Abusive Law Used in Crackdown on Critics"Human Rights Watch। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২০ 
  49. ঢাকা ট্রিবিউন https://web.archive.org/web/20170626135948/http://archive.dhakatribune.com/juris/2014/feb/20/article-70-contradiction-spirit-constitution। ২০১৭-০৬-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-০৪  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  50. "BNP welcomes EC roadmap but stresses poll-time neutral govt"The Independent। Dhaka। 
  51. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; dhakatribune1 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  52. দ্য ডেইলি স্টার (Op-ed)। ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ http://www.thedailystar.net/op-ed/politics/quest-acceptable-polls-time-goverment-1344961  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  53. দ্য ডেইলি স্টার (Op-ed)। ৪ নভেম্বর ২০১৬ http://www.thedailystar.net/op-ed/politics/constitution-day-the-cost-ignoring-the-constitution-1309039  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  54. bdlaws.minlaw.gov.bd http://bdlaws.minlaw.gov.bd/sections_detail.php?id=367&sections_id=24704  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  55. "141C. Suspension of enforcement of fundamental rights during emergencies"bdlaws.minlaw.gov.bd 
  56. "Press concern at Bangladesh emergency"BBC News 
  57. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। Amnesty.org। ২০১৪-০৩-১৫। ২০১৪-০২-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১১-২২  অজানা প্যারামিটার |2= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  58. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"The Death Penalty Worldwide database। Center for International Human Rights, Northwestern University School of Law। ১ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৩  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  59. । Handsoffcain.info http://www.handsoffcain.info/bancadati/schedastato.php?idstato=17000495। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১১-২২  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  60. Reuters https://www.reuters.com/article/bangladesh-rape-protests-idUSKBN26V0AP। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০২০  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  61. Online Women in Politics (পিডিএফ)। ২০০২ https://web.archive.org/web/20111216022655/http://www.onlinewomeninpolitics.org/womensit/bd-w-sit.pdf। ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১২  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  62. "Will I Get My Dues ... Before I Die?"Human rights watch। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১২ 
  63. Human Rights Watch https://www.hrw.org/world-report/2018/country-chapters/bangladesh  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  64. Blaustein, Jonathan। Lens Blog https://lens.blogs.nytimes.com/2015/03/18/bangladeshs-third-gender/  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  65. Eliott C. McLaughlin; Don Melvin; Tiffany Ap। CNN http://www.cnn.com/2016/04/25/asia/bangladesh-u-s-embassy-worker-killed/index.html  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  66. "বাংলাদেশ: রাজ্যহীন বিহারী শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান করল হাইকোর্ট- Global Legal Monitor"www.loc.gov। ২ জুন ২০০৮। 
  67. Rahman, Shaikh Azizur (২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। The Guardian https://www.theguardian.com/global-development/2017/feb/02/bangladesh-government-plan-move-rohingya-remote-island-human-catastrophe  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  68. The Independent। London। ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ https://www.independent.co.uk/news/world/asia/burma-rohingya-muslim-refugees-bangladesh-aung-san-suu-kyi-a7554756.html  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা