বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা
স্থানাঙ্ক: ৪৪° উত্তর ১৮° পূর্ব / ৪৪° উত্তর ১৮° পূর্ব
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা (বসনীয় ও ক্রোয়েশীয় ভাষায়: Bosna i Hercegovina, সার্বীয় ভাষায়: Босна и Херцеговина বস্না ই খ়ের্ত্সেগভ়িনা) ইউরোপ মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে বলকান উপদ্বীপে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। অতীতে এটি যুগোস্লাভিয়া প্রজাতন্ত্রের একটি অংশ ছিল। ১৯৯২ সালের মার্চ মাসে এটি স্বাধীনতা লাভ করে। এর পরপরই বসনীয় মুসলমান, ক্রোয়েশীয় ও সার্বীয় জাতির লোকদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৯৫ সালে যুদ্ধ শেষে সার্বীয়রা দেশের ৪৯% এলাকা দখলে সক্ষম হয় এবং এর নাম দেয় সার্ব প্রজাতন্ত্র। বসনীয় ও ক্রোয়েশীয়রা দেশের বাকী অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয় যার নাম বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ফেডারেশন। এই ফেডারেশন ও সার্ব প্রজাতন্ত্র একত্রে বর্তমানে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা রাষ্ট্র নামে পরিচিত। তবে বাস্তবে দেশটির বসনীয়, ক্রোয়েশীয় ও সার্বীয় জাতির লোকদের মধ্যে প্রবল বিভাজন ও বিদ্বেষ বর্তমান, যদিও এটি নিরসনের জন্য বহুবার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে।
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা Босна и Херцеговина | |
---|---|
নীতিবাক্য: none | |
সঙ্গীত: Intermeco | |
![]() | |
রাজধানী ও বৃহত্তর শহর | সারায়েভো[১] |
সরকারি ভাষা | Bosnian Croatian Serbian |
সরকার | Parliamentary democracy |
Nebojša Radmanović1 Haris Silajdžić2 Željko Komšić3 | |
• Chairman of the Council of Ministers | Nikola Špirić |
Miroslav Lajčák4 | |
Independence | |
• Formed | 29 August ১১৮৯ |
• Kingdom established | ২৬ অক্টোবর ১৩৭৭ |
1463 | |
• Independence from SFR Yugoslavia | March 1 1992 |
• Recognized | April 6 1992 |
• পানি/জল (%) | negligible |
জনসংখ্যা | |
• ২০১৭ আদমশুমারি | ৩,৮৬৫,১৮১[২] |
• ঘনত্ব | ৬৯ প্রতি বর্গকিলোমিটার (১৭৮.৭ প্রতি বর্গমাইল) |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০১৮ আনুমানিক |
• মোট | $45.858 billion[৩] |
• মাথাপিছু | $১১,৯৫০[৩] |
জিডিপি (মনোনীত) | ২০১৮ আনুমানিক |
• মোট | $১৮.৫৬ বিলিয়ন[৪] |
• মাথাপিছু | $৪,৮৩৬[৪] |
গিনি (২০১১) | 33.8[৫] মাধ্যম · 18th |
এইচডিআই (2016) | ![]() উচ্চ · 81st |
মুদ্রা | Convertible mark (BAM) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+1 (CET) |
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি) | ইউটিসি+2 (CEST) |
কলিং কোড | 387 |
ইন্টারনেট টিএলডি | .ba |
|
১৪শ শতকে রাজপুত্র শাসিত বসনিয়া দক্ষিণের ডিউক শাসিত হার্জেগোভিনার সাথে মিলে একটি ক্ষণস্থায়ী মধ্যযুগীয় রাজ্য গঠন করেছিল। তারপর ১৫ শতকে সুলতান মুহাম্মদ ফাতেহ এই বস্নিয়া কে ও উসমানীয় সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। তারপর উনিশ শতকের শেষদিকে রাশিয়ার সাথে উসমানীয় সাম্রাজ্যের যুদ্ধের ফলে দেশটি উসমানীয় সাম্রাজ্য হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং অস্ট্রিয়হাঙ্গেরি রাজ্যের অধীনে চলে যায় তারপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যুগোস্লাভিয়ার অংশ ছিল বিংশ শতাব্দীর শেষে তার স্বাধীনতা লাভ করে। বর্তমান বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা রাষ্ট্রটিও অনুরূপ উত্তর ও দক্ষিণ ভাগে বিভক্ত। দেশটির উত্তরে ও পশ্চিমে ক্রোয়েশিয়া এবং দক্ষিণে ও পূর্বে সার্বিয়া ও মন্টেনিগ্রো প্রজাতন্ত্র। আড্রিয়াটিক সাগরে ক্রোয়েশিয়ার মাঝ দিয়ে বসনিয়ার প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ তটরেখা আছে।
সারায়েভো বসনিয়ার রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।
নামের উৎপত্তিসম্পাদনা
বসনিয়ার প্রথম সংরক্ষিত সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত উল্লেখ হ'ল De Administrando Imperio তে, যা দশম শতাব্দীর মাঝামাঝিতে বাইজেন্টাইন সম্রাট কনস্ট্যান্টাইন সপ্তম (৯৪৮থেকে ৯৫২এর মধ্যে) রচিত একটি পলিটিকো-ভৌগলিক বই যাতে "বোসোনা" (Βοσώνα) এর "ছোট জমি" (গ্রীক ভাষায় χωρίον) উল্লেখ পাওয়া যায়।[৭]
ইতিহাসসম্পাদনা
১৯৯৫ সালের গণহত্যাসম্পাদনা
যুগোশ্লাভিয়া ভেঙে যাওয়ার পর সার্বরা ১৯৯৫ সালের জুন মাসে সেব্রেনিচা শহরটি দখল করে নেয়। জাতিসংঘের ৮১৯ নম্বর প্রস্তাবে অনুযায়ী সেব্রেনিচা শহরটি নিরাপদ অঞ্চল বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
কিন্তু সার্বরা জাতিসংঘের ডাচ শান্তিরক্ষীদের কোনো বাধা ছাড়াই শহরটি দখল করে সেখানে আশ্রয় নেয়া হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ হত্যা করে এবং হাজার হাজার নারীকে ধর্ষণ করে। রাতকো মিলাদিচের নেতৃত্বাধীন বর্বর সার্ব বাহিনী এই গণহত্যা চালায়।[৮]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই ইউরোপে সংঘটিত সবচেয়ে বড় গণহত্যা ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযান। ডাচ শান্তিরক্ষীদের নিস্ক্রিয়তার মুখে ও গ্রিক সেচ্ছাসেবী বাহিনীর সহায়তায় সার্বরা এই গণহত্যা চালায়। ১৯৯৫ সালে বসনিয়ান সার্ব বাহিনীর হাতে এই হত্যাযজ্ঞের শিকার হন শিশুসহ ৮,৩৭২ জন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
রাজনীতিসম্পাদনা
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। সরকারপ্রধান হলেন বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার মন্ত্রিপরিষদ। রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের উপর ন্যস্ত। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সরকার এবং আইনসভা উভয়ের উপর ন্যস্ত। বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভা হতে স্বাধীন।
প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহসম্পাদনা
ভূগোলসম্পাদনা
অর্থনীতিসম্পাদনা
জনসংখ্যাসম্পাদনা
সংস্কৃতিসম্পাদনা
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
- ↑ "Constitution of Bosnia and Herzegovina" (PDF)। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "People and Society"। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৮।
- ↑ ক খ "Report for Selected Countries and Subjects"।
- ↑ ক খ "Bosnia and Herzegovina"। International Monetary Fund। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Distribution of family income – Gini index"। The World Factbook। TWB। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "Human Development Report 2017"। United Nations। ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ Constantine VIIPorphyrogenitus (১৯৯৩)। De Administrando Imperio (Moravcsik, Gyula সংস্করণ)। Washington D.C.: Dumbarton Oaks Center for Byzantine Studies। পৃষ্ঠা 153–55।
- ↑ "বসনিয় যুদ্ধে অস্ত্র হিসাবে মুসলিম নারীদের ভয়াবহ গণধর্ষণের ইতিহাস"। BBC News বাংলা। ২০১৭-০৬-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১৫।