বগুড়া জিলা স্কুল
বগুড়া জিলা স্কুল ব্রিটিশ শাসনাধীন তদানীন্তন বগুড়া জেলায় ১৮৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১] স্কুলটি বগুড়া জেলার সবচেয়ে পুরাতন বিদ্যাপীঠ এবং দেশের মধ্যে একটি অত্যন্ত সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে তৃতীয় শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। স্কুলটি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠার ১৫০ বছর উদ্যাপন করে।
বগুড়া জিলা স্কুল | |
---|---|
![]() | |
অবস্থান | |
![]() | |
তথ্য | |
ধরন | সরকারি |
নীতিবাক্য | শিক্ষার উদ্দেশ্য মনুষ্যত্ব অর্জন |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮৫৩ |
বিদ্যালয় কোড | ১১৯১৭৬ |
প্রধান শিক্ষক | শ্যামপদ মুস্তফী |
শ্রেণী | ৩-১০ |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ২০০০ |
শিক্ষায়তন | ৩ একর |
ওয়েবসাইট | bogurazillaschool |
ইতিহাসসম্পাদনা
বগুড়া জিলা স্কুল ১৮৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাবু ভাগাবতি চরন ঘোষ ছিলেন স্কুলের প্রথম প্রধান শিক্ষক। প্রতিষ্ঠার পর প্রথমে ইংরেজি মাধ্যমে ব্যক্তিমালিকানাধীন ভাবে শিক্ষাদান শুরু হলেও অল্পসময়ের ব্যবধানে তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর জনাব রাসেল এবং সহকারী কালেক্টর বাবু এস, মুখার্জির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্কুলটি সরকারি ব্যবস্থাপনাধীন হয়। বাবু ভগবতী চরণের সময়কালে স্কুলে মাত্র চার জন শিক্ষক ছিলেন। বাবু ভগবতীর পরে এ,সি মুখার্জি ১৮৫৯ সালে প্রধান শিক্ষক হন। তার সময়কালে দুই জন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় বিভাগ এবং ১৮৬২ সালে একজন শিক্ষার্থী বৃত্তি সহ প্রথম বিভাগে পাশ করেন। ১৮৭৩ সালে স্কুলটিতে ছয় জন শিক্ষক, একজন পণ্ডিত এবং একজন মৌলভী ছিলেন। ১৮৬১ সালে স্কুলে সর্বমোট ৮৫ জন শিক্ষার্থী ছিল এর পর ১৯০৮ সালে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৬৩ জনে যার মধ্যে ২১৮ জন হিন্দু এবং ১৪৫ জন মুসলিম।স্কুলটিতে বর্তমানে ৫৫ জন শিক্ষক এবং প্রায় ২০০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিজ্ঞান চর্চার জন্য রয়েছে বগুড়া জিলা স্কুল বিজ্ঞান ক্লাব সহ সুবিশাল পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানাগার।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীসম্পাদনা
বগুড়া জিলা স্কুলে বাংলাদেশের অনেক কৃতী ব্যক্তি পড়াশোনা করেছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন:
- হুমায়ূন আহমেদ, জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক, হিমু চরিত্রের স্রষ্টা
- ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, জনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীকার ও শিক্ষাবিদ
- আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, খ্যাতিমান বাংলা ঔপন্যাসিক ও সাহিত্যিক
- মুশফিকুর রহিম, জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়
- গাজীউল হক, ভাষাসৈনিক, সাহিত্যিক, গীতিকার
- সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ, বিচারপতি
- কিউ. এ. এম. এ. রহিম, সার্কের সাবেক মহাসচিব
ভর্তিসম্পাদনা
স্কুলটির ভর্তি প্রক্রিয়া খুবই প্রতিযোগিতা মূলক। প্রতি বছর তৃতীয় শ্রেণিতে ২৪০ টি আসনের বিপরীতে প্রায় ৩,০০০-৪,০০০ ছাত্র ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে।
চিত্রশালাসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ এ স্ট্যাটিস্টিকাল অ্যাকাউন্ট অফ বেঙ্গল: জলপাইগুড়ি, উইলিয়াম উইলসন হান্টার, ১৮৭৬, পৃষ্ঠা, ১৮১