বইঙ্গা
বইঙ্গা শব্দের অর্থ বাঙালি। পালি ভাষা বঙ্গিয়া (বঙ্গ+ইয়া=বঙ্গিয়া) হতে বইঙ্গা বা ভইঙ্গা শব্দের উদ্ভব।[১] এটি অসমীয়া, চাকমা ও চাটগাঁইয়া জাতিগোষ্ঠীর উচ্চারিত একটি জাতিবাচক আঞ্চলিক শব্দ। যা পদ হিসেবে বিশেষ্য।[২][৩][৪]
ব্যবহার সম্পাদনা
আসামে রাজ্যে, নিম্ন ব্রহ্মপুত্র ও বরাক উপত্যকা অঞ্চলে বাঙ্গালিদের বসবাস। রাজ্যে বসবাস করা বাঙালিদের মূলত বইঙ্গা বা বঙ্গাল ডাকা হয়।[৫][৬]
- চাটগাঁইয়া জাতি
ফেনী নদীর উত্তরের জনগোষ্ঠী কিংবা যারা চাটগাঁইয়া সংস্কৃতি, এতিহ্য ও চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলতে পারে না তেমন লোকদের বইঙ্গা বলা হয়।[৭] চট্টগ্রাম শহরেও বইঙ্গা শব্দটি একই অর্থে ব্যবহার করা হয়।[৮] চট্টগ্রাম অঞ্চলে, বইঙ্গা শব্দটি এসেছে আরাকান রাজ্যের স্থানীয় বৌদ্ধ আরকানী (রাখাইন জাতি) থেকে।[৩] তৎকালীন সময়ে আরাকানের স্থানীয়রা, আরাকান রাজ্যের উত্তরে ভুলুয়া(নোয়াখালী) হতে শুরু করে বাংলাভাষী এলাকা বিশেষ করে প্রতিবেশী বঙ্গ অঞ্চলের স্থানীয়দের বইঙ্গা ডাকার প্রচলন ছিলো।[৯][১০][১১][১২]
চাকমা নৃ-গোষ্ঠীরা বইঙ্গা শব্দ বেশি ব্যবহার করে। যার অর্থ যাযাবর।[১৩] যারা বিভিন্ন জায়গা ঘুরে একটি স্থানে তিতু হয়ে যায়, তাদেরকে বইঙ্গা বলে।[৪]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ মহাস্থবির, শান্তিরক্ষিত (২০০৮)। পালি বাংলা অভিধান [(বৌদ্ধ পালি ভাষা হতে বাংলা ভাষায় অনূদিত অভিধান বই)]। ঢাকা: বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট।
- ↑ "PEOPLE - Assam Online Portal"। web.archive.org। ২০১২-০৮-৩১। ২০১৮-০৭-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৮।
- ↑ ক খ "বৈঙ্গা বা বইঙ্গা শব্দের অর্থ – Dr. Mohammed Amin"। draminbd.com। ২০২৪-০২-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৮।
- ↑ ক খ চাকমা কর্ম্মি, মাধবচন্দ্র (১৯৪০)। রাজনামা (১৯৯৭ সংস্করণ)। আগরতলা, ত্রিপুরা: উপজাতি গবেষণা কেন্দ্র। পৃষ্ঠা ৮৭।
- ↑ Chowdhury, Iftekhar Ahmed (২০১৮-০৯-০৭)। "Sylhetis, Assamese, 'Bongal Kheda', and the rolling thunder in the east"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৮।
- ↑ Albert Gait, Edward (১৯০৬)। A History of Assam। Gyan Publishing House। আইএসবিএন 9788121217835।
- ↑ R. H. Sneyd, Hutchinson (১৯০৬)। An Account Of The Chittagong Hill Tracts। The Bengal Secretariat Book Depot, Kolkata।
- ↑ "দক্ষিণ চট্টগ্রামের ভাষা"। ভোরের কাগজ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৮।
- ↑ Anthur, P. Pheyre. (১৯৬৭)। History of Burma, Including Burma Proper, Pegu, Taungu, Tenasserim and Arakan : From the Earliest time to the End of the First war with British India.। London।
- ↑ Roy, Sumit (২০২২-১০-২১)। "চট্টগ্রামের আদি বা প্রাক-মুসলিম ইতিহাস"। বিবর্তনপথ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৮।
- ↑ "আলাপন ব্লগ | চট্টগ্রাম - নোয়াখালী শব্দ যুদ্ধ"। আলাপন ব্লগ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৮।
- ↑ Robinson, M; Shaw, L.A (১৯৮০)। The Coins and Bank notes of Burma। Manchester, England। পৃষ্ঠা 45–48।
- ↑ Lewin, T. H (১৯৬৯)। Hill Tricts of Chittagong and the Dwellers Therein। Bengal Printing Company Limited, Calcutta। পৃষ্ঠা 62–75।