ফরাসি ভারত
ফরাসি ভারত (ফরাসি: Inde française) হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশে ফরাসিদের ঔপনিবেশিকতার দরুন দখলকৃত এলাকা। ভারতবর্ষের পুদুচেরি (বর্তমান পডুচেরি), কারাইকাল, ইয়ানায়ন (বর্তমান ইয়ানাম), মালাবার উপকূলের মাহে এবং বাংলাতে চন্দননগর এলাকা ফরাসি ভারত এলাকা নামে পরিচিতি ছিল।
এতাবলিসমঁ ফ্রঁসে দ্য লাঁদ (Établissements français de l'Inde) ফরাসি ভারত | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১৭৫৯–১৯৫৪ | |||||||||
নীতিবাক্য: স্বাধীনতা, সমতা, ভ্রাতৃত্ব | |||||||||
জাতীয় সঙ্গীত: লা মার্সেইয়েজ | |||||||||
১৭৪১-১৭৫৪ সালের ফরাসি বিস্তার | |||||||||
অবস্থা | ফরাসি উপনিবেশ | ||||||||
রাজধানী | পুদুচেরি | ||||||||
প্রচলিত ভাষা | ফরাসি, তামিল, তেলুগু, মালয়ালম, বাংলা | ||||||||
গর্ভনর জেনারেল অব ফ্রেঞ্চ ইন্ডিয়া | |||||||||
ঐতিহাসিক যুগ | সাম্রাজ্যবাদ | ||||||||
• ফরাসি পূর্ব ভারতীয় কোম্পানির বিলুপ্তকরণ | ১৭৫৯ | ||||||||
• কার্যত হস্তান্তর | ১লা নভেম্বর ১৯৫৪ | ||||||||
আয়তন | |||||||||
১৯৪৮ | ৫০৮.০৩ বর্গকিলোমিটার (১৯৬.১৫ বর্গমাইল) | ||||||||
জনসংখ্যা | |||||||||
• ১৯২৯ | 288546 | ||||||||
• ১৯৪৮ | 332045 | ||||||||
মুদ্রা | ফরাসি ভারতীয় রুপি | ||||||||
|
ইতিহাস
সম্পাদনা১৬শ শতকের শুরুতে ফরাসিরা ভারতবর্ষে আসার চেষ্টা করে। রাজা প্রথম ফ্রঁসোয়ার শাসনামলে দুটি বাণিজ্যিক জাহাজ ভারতবর্ষে আগমনের চেষ্টা করে। এরপর ১৭শ শতকে এসে ১৬০৪ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট ৪র্থ অঁরি সর্বপ্রথম ফরাসি পূর্ব ভারতীয় কোম্পানি গঠনের অনুমতি দেন। ১৬১৫ খ্রিষ্টাব্দের পর ফ্রান্স থেকে আগত দুটো জাহাজ ভারতবর্ষের সমুদ্রসীমায় নোঙর ফেলে। পরবর্তীতে একটি জাহাজ ফ্রান্সে প্রত্যাবর্তন করে। ১৬৫৮ খ্রিষ্টাব্দে পরিব্রাজক ও চিকিৎসক ফ্রঁসোয়া বের্নিয়ে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের দরবারে ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৬৪২ খ্রিষ্টাব্দে কার্দিনাল রিশলিও-র পৃষ্ঠপোষকতাতে ফরাসি পূর্ব ভারতীয় কোম্পানি বা লা কোম্পানি ফ্রঁসেজ দেজাঁদ ওরিয়ঁতাল (La compagnie française des Indes orientales) গঠিত হয়। ১৬৬৮ খ্রিষ্টাব্দে সুরাটে ফরাসি কোম্পানির প্রথম জাহাজ অবতরণ করে। ১৬৭২ খ্রিষ্টাব্দে সাধু তোমা চন্দননগর থেকে ওলন্দাজদের বিতাড়িত করেন। ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দের পলাশীর যুদ্ধে বাংলার নবাবকে ফরাসি জেনারেল দ্যুপ্রে সহায়তা করেন। যুদ্ধে নবাবের পরাজয় হলে ব্রিটিশরা বাংলাতে স্থাপিত ফরাসিদের বাণিজ্য কুঠিসমূহ দখল করে নেয়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের আগস্টে ব্রিটিশদের কাছ থেকে ভারত স্বাধীনতা লাভ করলে ফরাসি-শাসিত এলাকাসমূহে ফরাসি কতৃর্ত্ব বজায় থাকে। সুরাত, মাচিলিপত্নম, কজহিকোদে এলাকা ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে ভারতীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারত সরকার ও ফ্রান্সের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যেখানে ফরাসি শাসনাধীন এলাকাতে গণভোট আয়োজনের কথা বলা হয়, যার মাধ্যমে ঐ এলাকার অধিবাসীরা সিদ্ধান্ত নেবে তারা কাদের সাথে থাকবে। চন্দননগরের শাসন ভার ভারতীয়দের হাতে ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের ২রা মে হস্তান্তর করা হয়। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে চন্দননগর পশ্চিমবঙ্গের সাথে যুক্ত হয়। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে ১লা নভেম্বর পুদুচেরি, ইয়ানায়ন, মাহে ও কারাইকাল ভারত প্রজাতন্ত্রের কাছে হস্তান্তরিত হয়। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে ফরাসি সরকার স্বাধীন ভারতের স্বীকৃতি দিলে ভারত থেকে ফরাসি ঔপনিবেশিকতার অবসান হয়।
প্রশাসন
সম্পাদনা১৬৬৮ থেকে ১৬৯৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ভারতে নিযুক্ত ফরাসি পূর্ব ভারতীয় কোম্পানির প্রধানকে কমিশনার নামে ডাকা হত। ১৬৯৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত নিযুক্ত শাসনকর্তাকে গর্ভনর জেনারেল নামে সম্ভাষিত করা হত। ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত শাসক প্রতিনিধিকে পুনরায় কমিশনার নামে ডাকা হত।
ফরাসি শাসকগণ
সম্পাদনাকমিশনার
সম্পাদনা১৬৯৩ থেকে ১৬৯৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ওলন্দাজ চুক্তির আওতায় ফরাসি উপনিবেশগুলো শাসিত হত।
গর্ভনর জেনারেল
সম্পাদনা- ফ্রঁসোয়া মারতাঁ, ১৬৯৯-১৭০৬
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |