প্রুশিয়া (জার্মান: ; ল্যাটিন: Borussia, Prutenia; লাটভিয়ান: Prūsija; লিথুয়ানিয়ান: Prūsija; পোলীয়: Prusy; পুরাতন প্রুশীয়: Prūsa) অতি সাম্প্রতিককালের একটি ঐতিহাসিক রাষ্ট্র যা ব্রান্ডেনবুর্গ অঞ্চলে গড়ে উঠছিল। এই অঞ্চলটি জার্মান এবং ইউরোপীয় ইতিহাসে অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করেছিলো। প্রুশিয়ার শেষ রাজধানী ছিল বার্লিন

প্রুশিয়া

Preußen (জার্মান)
Prūsija (Prussian)
১৬২৫–১৯৪৭
Prussia জাতীয় পতাকা
উপরে: প্রুশিয়ার পতাকা (1803–1892)
নিচে: সার্ভিস পতাকা (প্রুশিয়া মুক্ত রাষ্ট্র) (১৯৩৩–১৯৩৫)
বামে: প্রুশিয়ার জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
(1871–1918)
ডানে: প্রুশিয়া মুক্ত রাষ্ট্রের জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা (1933–1935)
নীতিবাক্য: Gott mit uns
Nobiscum deus
("ঈশ্বর আমাদের সাথে")
জাতীয় সঙ্গীত: 
(1830–1840)
Preußenlied
("Song of Prussia")

রাজকীয় সঙ্গীত
(1795–1918)
Heil dir im Siegerkranz
("Hail to thee in the Victor's Crown")
১৭৮৯ সালে প্রুশিয়া রাজ্য
১৭৮৯ সালে প্রুশিয়া রাজ্য
১৮৭০ সালে প্রুশিয়া রাজ্য
১৮৭০ সালে প্রুশিয়া রাজ্য
রাজধানীকোনিসবুর্গ (1525–1701)
বার্লিন (1701–1947)
প্রচলিত ভাষাজার্মান (দাপ্তরিক)
ধর্ম
Religious confessions in
the Kingdom of Prussia 1880

Majority:
64.64% United Protestant
(Lutheran, Reformed)
Minorities:
33.75% Roman Catholic
1.33% Jewish
0.19% Other Christian
0.09% Other
জাতীয়তাসূচক বিশেষণপ্রুশিয়ান
সরকারসামন্ততান্ত্রিক রাজতন্ত্র (১৫২৫–১৭০১)
নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র (১৭০১–১৮৪৮)
যুক্তরাষ্ট্রীয় সংসদীয়
অর্ধ-সাংবিধানিক রাজতন্ত্র (১৮৪৮–১৯১৮)
যুক্তরাষ্ট্রীয় অর্ধ-রাষ্ট্রপতিশাসিত
সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র (১৯১৮–১৯৩০)
একনায়কতান্ত্রিঅ রাষ্ট্রপতি শাসিত প্রজাতন্ত্র (১৯৩০–১৯৩৩)
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক একদলীয় রাষ্ট্র (১৯৩৩–১৯৪৫)
Duke1 
• ১৫২৫–১৫৬৮
প্রথম আলবার্ট (প্রথম)
• ১৬৬৮–১৭০১
তৃতীয় ফ্রেডরিখ (শেষ)
রাজা1 
• 1701–1713
প্রথম ফ্রেডরিখ (প্রথম)
• ১৮৮৮–১৯১৮
দ্বিতীয় ভিলহেল্ম (শেষ)
Prime Minister1, 2 
• ১৯১৮
ফ্রেডরিখ ইবার্ট (first)
• ১৯৩৩–১৯৪৫
হার্মান গরিং (শেষ)
ঐতিহাসিক যুগEarly modern Europe to Contemporary
১০ এপ্রিল ১৬২৫
27 August 1618
১৮ জানুয়ারি ১৭০১
৯ নভেম্বর ১৯১৮
• Abolition (de facto, loss of independence)
৩০ জানুয়ারি ১৯৩৪
২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৭
আয়তন
1907[]৩,৪৮,৭০২ বর্গকিলোমিটার (১,৩৪,৬৩৫ বর্গমাইল)
1939[]২,৯৭,০০৭ বর্গকিলোমিটার (১,১৪,৬৭৫ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা
• 1816[]
10,349,000
• 1871[]
24,689,000
• 1939[]
41,915,040
মুদ্রাReichsthaler (until 1750)
Prussian thaler (1750–1857)
Vereinsthaler (1857–1873)
German gold mark (1873–1914)
German Papiermark (1914–1923)
Reichsmark (১৯২৪–১৯৪৭)
বর্তমানে যার অংশ বেলজিয়াম
 চেক প্রজাতন্ত্র
 ডেনমার্ক
 জার্মানি
 লিথুয়ানিয়া
 নেদারল্যান্ডস
 পোল্যান্ড
 রাশিয়া
  সুইজারল্যান্ড
  • 1 The heads of state listed here are the first and last to hold each title over time. For more information, see individual Prussian state articles (links in above History section).
  • 2 The position of Ministerpräsident was introduced in 1792 when Prussia was a Kingdom; the prime ministers shown here are the heads of the Prussian republic.

"প্রুশিয়া" শব্দটি পুরাতন প্রুশীয় ভাষা থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে যার সাথে লিথুয়ানিয়া এবং লাটভিয়া সহ অন্যান্য বাল্টিক রাষ্ট্রের জনগোষ্ঠীর মেলবন্ধন ছিল। পরবর্তীতে প্রুশিয়া টিউটোনিক নাইটদের দ্বারা অধিকৃত হয় এবং আরও পরে একসময় জার্মানকরণের মাধ্যমে আধুনিক জার্মানির অন্তর্ভুক্ত হয়। অষ্টাদশ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীতে প্রুশিয়া ইউরোপের একটি বৃহৎ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। তখন এই সাম্রাজ্যের রাজা ছিলেন দ্বিতীয় ফ্রেডরিখ (১৭৪০ - ১৭৮৬)। ঊনবিংশ শতাব্দীতে চ্যান্সেলর অটো ফন বিসমার্ক সমগ্র জার্মান জাতি অধ্যুষিত অঞ্চলকে এক করার কথা বলেন এবং এর মাধ্যমে সংকুচিত জার্মানি গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এই সংকুচিত জার্মানি থেকে অস্ট্রীয় সাম্রাজ্যকে বাদ দেয়া হয়।

প্রুশীয় সম্রাজ্য জার্মানির উত্তরাংশকে রাজনীতি, অর্থনীতি, জনসংখ্যা ইত্যাদি সব দিক দিয়েই ব্যাপকভাবে প্রভাবান্বিত করেছিল। ১৮৬৭ সালে যখন উত্তর জার্মান কনফেডারেশন গঠিত হয় তখন প্রুশিয়াই ছিল এর মূল শক্তি। এই কনফেডারেশনটিই ১৮৭১ সালে জার্মান সম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয় যার অপর নাম ছিল Deutsches Reich

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিতে হোহেনজোলেন রাজত্বের অবসান হলে পর ১৯১৯ সালে প্রুশিয়া ভাইমার প্রজাতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৩৪ সালে নাৎসিদের মাধ্যমে প্রুশিয়া দেশটি বিলুপ্ত হয় এবং ১৯৪৫ সালে মিত্রশক্তি দ্বারা আবারও দেশ হিসেবে এর স্বকীয়তা কেড়ে নেয়া হয়। তখন থেকেই প্রুশিয়া একটি সংস্কৃতি হিসেবে টিকে আছে। বর্তমানকালেও প্রুশিয়ান গুণ নামে একটি নৈতিক শব্দ প্রচলিত আছে যার অর্থ সঠিক সংগঠন, আত্মত্যাগ, আইনের শাসন, আনুগত্য, নির্ভরশীলতা, সংযম, বিনয় এবং অধ্যবসায়।

প্রতীকসমূহ

সম্পাদনা

জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য

সম্পাদনা

আদি ইতিহাস

সম্পাদনা

প্রুশিয় সাম্রাজ্য

সম্পাদনা

নেপোলিয়ানের যুদ্ধ

সম্পাদনা

একত্রিকরণের যুদ্ধ

সম্পাদনা

স্ক্লেসভিগ যুদ্ধ

সম্পাদনা

অস্ট্রো-প্রুশিয় যুদ্ধ

সম্পাদনা

ফ্রাঙ্কো-প্রুশিয় যুদ্ধ

সম্পাদনা

জার্মান সাম্রাজ্য

সম্পাদনা

প্রুশিয়ার বিলুপ্তি

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Population of Germany"tacitus.nu 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা