প্রবেশদ্বার পাখি


প্রারম্ভিকা

পাখি
পাখি
পাখি
পাখি

পাখি সম্পর্কিত এ প্রবেশদ্বারে আপনাকে স্বাগত! পাখি পালক, ফাঁপা মজবুত হাড় ও ডানাবিশিষ্ট মেরুদণ্ডী দ্বিপদী প্রাণী। পৃথিবীতে প্রায় দশ হাজারেরও বেশি প্রজাতির পাখি আছে। জীবাশ্মবিজ্ঞানীদের মতে, ৬৫.৫ মিলিয়ন বছর আগের ক্রিটেশাস-প্যালিওজিন বিলুপ্তির পর পাখিরাই ডাইনোসরের একমাত্র বংশধর। জীবিত পাখিদের মধ্যে মৌ হামিংবার্ড সবচেয়ে ছোট (২ ইঞ্চি) আর উটপাখি সবচেয়ে বড় (৯ ফুট)।

পাখিদের মধ্যে কয়েকটি প্রজাতি, বিশেষত কাকটিয়ার কয়েকটি প্রজাতি, প্রাণিজগতে সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম। পাখিদের মধ্যে অনেকেই পরিযায়ী। বেশিরভাগ পাখিই সামাজিক জীব। এরা দৃষ্টিগ্রাহ্য সংকেত এবং ডাক বা শিষের মাধ্যমে একজন আরেকজনের সাথে যোগাযোগ করে। পাখিরা সাধারণত তাদের বানানো বাসাতেই ডিম পাড়ে এবং বাবা-মা তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। বেশিরভাগ পাখি বাচ্চা ফুটে বের হওয়ার পরও বেশ কিছুদিন সময় পর্যন্ত বাচ্চার প্রতিপালন করে।

খাদ্য হিসেবে এদের পাখির অপরিসীম। পোষা পাখি হিসেবে টিয়া, ময়না, তোতা, চন্দনা, বহু প্রজাতির গানের পাখি আর বাহারি পাখির বেশ কদর রয়েছে। পাখির বিষ্ঠা থেকে উৎপন্ন গুয়ানো সার হিসেবে উৎকৃষ্ট। ১৭শ শতক থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের বিভিন্ন কার্যকলাপে ১২০ থেকে ১৩০টি পাখি প্রজাতি দুনিয়া থেকে চিরতরে হারিয়ে গিয়েছে। তারও আগে আরও একশ'টির মত প্রজাতি একই ভাগ্য বরণ করেছে। মানুষের নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে বর্তমানে প্রায় বারোশ'র মত প্রজাতি বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছে।

নির্বাচিত নিবন্ধ

বড় কুবো (Centropus sinensis), কানা-কুয়া, কানাকোকা বা কুক্কাল Cuculidae (কুকুলিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Centropus (সেন্ট্রোপাস) গণের অন্তর্ভূক্ত অতি পরিচিত এক প্রজাতির পাখি। পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। বড় কুবো বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ গজালের মত নখরওয়ালা পা বিশিষ্ট চীনা পাখি (গ্রিক: kentron = গজালের মত নখ, pous = পা; লাতিন: sinensis = চীনের)। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত, প্রায় ৭৯ লক্ষ ৪০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস। বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে, আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

বড় কুবো বেশ কয়েকটি উপপ্রজাতিতে বিভক্ত। কোন কোন উপপ্রজাতিকে অনেক সময় পূর্ণাঙ্গ প্রজাতির মর্যাদা দেওয়া হয়। এরা আকারে বড়, দেখতে অনেকটা দাঁড়কাকের মত। লেজ বেশ লম্বা এবং ডানা তামাটে-বাদামি। ঘন জঙ্গল থেকে আবাদি জমি, এমনকি শহুরে বাগানেও এদের সচরাচর দেখা মেলে। ওড়ার চেয়ে হেঁটে বেড়াতে এরা বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। প্রায়ই পোকামাকড়, পাখির ডিম ও ছানার খোঁজে এদের ডালে ডালে অথবা ভূমিতে চরে বেড়াতে দেখা যায়। কুকুলিফর্মিস বর্গের অন্তর্গত হলেও জাতভাই কোকিলদের মত এরা বাসা পরজীবী নয়; অর্থাৎ অন্য পাখির বাসায় ডিম পাড়ে না। এদের গম্ভীর ডাক কোন কোন এলাকায় অপদেবতা ও অমঙ্গলের সংকেত বলে চিহ্নিত।বাকি অংশ পড়ুন...

নির্বাচিত জীবনী

আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস (৮ই জানু‍য়ারি, ১৮২৩ - ৭ই নভেম্বর, ১৯১৩) ছিলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ প্রকৃতিবিদ, অনুসন্ধিৎসু পর্যটক, ভূগোলবিদ, নৃবিজ্ঞানী এবং জীববিজ্ঞানী। তিনি সবচেয়ে বিখ্যাত স্বাধীনভাবে "প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তন" তত্ত্ব প্রণয়নের জন্য; এক্ষেত্রে তাঁকে চার্লস ডারউইনের সাথে যৌথভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ওয়ালেস বিশ্বের বেশ কিছু স্থানে প্রকৃতি পর্যবেক্ষণের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন; তার প্রথম গন্তব্য ছিল আমাজন নদীর উপত্যকা, এরপর যান মালয় দ্বীপপুঞ্জে যেখানে তিনি এমন একটি বিভাজন রেখা আবিষ্কার করেন যা ইন্দোনেশীয় দ্বীপপুঞ্জকে দুই ভাগে ভাগ করে এবং যার পূর্বের প্রাণীরা এশীয় ধরণের, আর পশ্চিমের প্রাণীরা অস্ট্রালেশীয় ধরণের। এই রেখাকে বর্তমানে ওয়ালেস রেখা বলা হয়।

ওয়ালেস একজন প্রসিদ্ধ লেখক, বৈজ্ঞানিক ও সামাজিক দুই বিষয়েই তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া তে ভ্রমণ নিয়ে তার লেখা দ্য মালয় আর্কিপেলাগো সম্ভবত উনবিংশ শতকে প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক অভিযান বিষয়ক সেরা বই। প্রকৃতির ইতিহাস বিষয়ে উৎসাহী হওয়ায় তিনি ছিলেন মানুষের দ্বারা পরিবেশের দূষণের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশকারী প্রথম বিজ্ঞানীদের একজন। ঊনবিংশ শতকে প্রাণীদের ভৌগলিক বণ্টন বিষয়ে তাকে সবচেয়ে বিজ্ঞদের একজন মনে করা হতো এবং অনেক সময় তাকে জীবভূগোলের জনক বলা হয়। বাকি অংশ পড়ুন...

আপনি জানেন কি...

কালো তিতির

  • ... কিছু কিছু পাখি দিনে ২০০০ এর চেয়ে বেশি গান গায়ে?
  • ... জানালার সঙ্গে ধাক্কা লেগে বছরে সারা বিশ্বে এক হাজারেরও বেশি পাখি মারা যায়ে?
  • ... পাখিদের মধ্যে আলবাট্রস স্রেফ ডানা মেলে রাখলেই দিনভর আকাশে ভেসে থাকতে পারে, ডানা নাড়ার প্রয়োজন পড়ে নাে?
  • ... একটি পূর্ণাঙ্গ উটপাখি এদের পাকস্থলীতে ১ কেজি পাথর খেয়ে ঘুরে বেড়াতে পারে?

...হামিংবার্ড পৃথিবীর একমাত্র পাখি যে এটি হাটতে পারেনা? ...কাক পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান পাখি?

নির্বাচিত চিত্র

বিষয়শ্রেণী

নির্দিষ্ট কোন বিষয়শ্রেণীর উপবিষয়শ্রেণীগুলো দেখতে "+" চিহ্নে ক্লিক করুন। পূর্বাবস্থায় ফেরৎ যেতে "−" চিহ্নে ক্লিক করুন।

- উইকিমিডিয়া কমন্সে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির নির্বাচিত চিত্রগুলো দেখতে পাবেন এখানে: নির্বাচিত চিত্রসমূহ

নির্বাচিত উক্তি

পর্যবেক্ষণ ছাড়া একজন পর্যটক ডানাহীনএকটা পাখির মত।

-সাদি

আপনি যা করতে পারেন

এই নিবন্ধগুলো অতিসত্ত্বর সৃষ্টি করা জরুরি। এগুলো সৃষ্টি করে আমাদের সহায়তা করতে পারেন:

পাখি
পাখি
পাখি
পাখি

সম্পর্কিত উইকিমিডিয়া


উইকিসংবাদে পাখি
উন্মুক্ত সংবাদ উৎস


উইকিউক্তিতে পাখি
উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন


উইকিসংকলনে পাখি
উন্মুক্ত পাঠাগার


উইকিবইয়ে পাখি
উন্মুক্ত পাঠ্যপুস্তক ও ম্যানুয়াল


উইকিবিশ্ববিদ্যালয়ে পাখি
উন্মুক্ত শিক্ষা মাধ্যম


উইকিমিডিয়া কমন্সে পাখি
মুক্ত মিডিয়া ভাণ্ডার


উইকিঅভিধানে পাখি
অভিধান ও সমার্থশব্দকোষ


উইকিউপাত্তে পাখি
উন্মুক্ত জ্ঞানভান্ডার


উইকিভ্রমণে পাখি
উন্মুক্ত ভ্রমণ নির্দেশিকা

সার্ভার ক্যাশ খালি করুন