প্রবীণ কুমার

ভারতীয় ক্রিকেটার

প্রবীণ কুমার (উচ্চারণ; জন্ম: ২ অক্টোবর, ১৯৮৬) উত্তরপ্রদেশের মিরাট এলাকার মাতুরে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ভারতীয় ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে উত্তরপ্রদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম-পেস বোলাররূপে খেলে থাকেন।[১] এছাড়াও, নিচেরসারিতে ব্যাটিং করে দক্ষতা প্রদর্শন করছেন। সঠিক নিশানা ও উচ্চতা বজায় রেখে উভয় দিকেই বলকে সুইং প্রদানে সক্ষমতা দেখিয়েছেন তিনি।[২]

প্রবীণ কুমার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামপ্রবীণ কুমার
জন্ম (1986-10-02) ২ অক্টোবর ১৯৮৬ (বয়স ৩৭)
মাতুর, মিরাট, উত্তরপ্রদেশ, ভারত
ডাকনামমিরাটের মসিহ
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৬৮)
২০ জুন ২০১১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট১৩ আগস্ট ২০১১ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৭০)
১৮ নভেম্বর ২০০৭ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই১৮ মার্চ ২০১২ বনাম শ্রীলঙ্কা
ওডিআই শার্ট নং
টি২০আই অভিষেক
(ক্যাপ ২০)
১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টি২০আই৩০ মার্চ ২০১২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৪/০৫-বর্তমানউত্তরপ্রদেশ
২০০৮-২০১০রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর
২০১১-২০১৩কিংস এলেভেন পাঞ্জাব (#৮)
২০১৪মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (#৮৮)
২০১৫সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ (#৮৮)
২০১৬-বর্তমানগুজরাত লায়ন্স (#৫)
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৬৮ ৬৩ ১৩৪
রানের সংখ্যা ১৪৯ ২৯২ ২,০৫৫ ১,৪৩৭
ব্যাটিং গড় ১৪.৯০ ১৩.৯০ ২৩.০৮ ২০.৫২
১০০/৫০ ০/০ ০/১ ০/১১ ০/৬
সর্বোচ্চ রান ৪০ ৫৪* ৯৮ ৬৪
বল করেছে ১,৬১১ ৩,২৪২ ১৩,৭৬২ ৬,৫১৮
উইকেট ২৭ ৭৭ ২৬০ ১৭৯
বোলিং গড় ২৫.৮১ ৩৬.০২ ২৩.৬৪ ২৮.৮৯
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৭
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৫/১০৬ ৪/৩১ ৮/৬৮ ৫/৩২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– ১১/– ১২/– ২০/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

২ অক্টোবর, ১৯৮৬ তারিখে মুজাফফরনগর জেলার লাপরানা গ্রামে এক হিন্দু জাত কৃষক পরিবারে তার জন্ম। বাবা সাক্ত সিং খাইবাল পুলিশের হেড কনস্টেবল ও মা মূর্তি দেবী খাইবাল।[৩] ২০০৭ সালের এনকেপি সালভ চ্যালেঞ্জার ট্রফি প্রতিযোগিতায় ইন্ডিয়া রেডের সদস্যরূপে খেলেন ও সকলের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষমতা দেখান।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

১৮ নভেম্বর, ২০০৭ তারিখে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়পুরের সয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে ওডিআই অভিষেক ঘটে তার। এরপর ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় কমনওয়েলথ ব্যাংক সিরিজে খেলার জন্য মনোনীত হন। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াশ্রীলঙ্কাকে নিয়ে অনুষ্ঠিত ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০০৮ থেকে ২০১০ সালে ভারতের ওডিআই খেলাগুলোয় উদ্বোধনী বোলার ছিলেন। ২০১১ সালের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পান। কিন্তু, আঘাতের কারণে এস. শ্রীশান্ত তার স্থলাভিষিক্ত হন।

২০ জুন, ২০১১ তারিখে কিংস্টনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়। একই বছরে ইংল্যান্ড সফরে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে প্রথমবারের মতো পাঁচ-উইকেট দখল করেন। আঘাতের কারণে ও উদীয়মান ভুবনেশ্বর কুমারের আগমনে তাকে প্রায়শঃই আসা-যাওয়ার পালায় অবস্থান করতে হয়। এছাড়াও, মাঠ ও মাঠের বাইরে বেশ কিছু বিতর্কিত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা জানা যায়।[৩][৪]

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ সম্পাদনা

২০১০ সাল পর্যন্ত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সাথে যুক্ত ছিলেন। তন্মধ্যে, ব্যাঙ্গালোরের এম. চিনাস্বামী স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে আইপিএলের ইতিহাসের ৭ম বোলার হিসেবে হ্যাট্রিক করেছিলেন। এরপর ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কিংস ইলাভেন পাঞ্জাবের পক্ষে খেলেন। তবে, ২০১৪ সালের আইপিএলের নিলামে তিনি অবিক্রিত থেকে যান।[৪] ফলশ্রুতিতে ছয় খেলায় অংশ নেয়ার পর আঘাতপ্রাপ্ত জহির খানের পরিবর্তে মৌসুমের বাদ-বাকী সময় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পক্ষে খেলেন।[৫] তবে, ২০১৫ সালের নিলামে ২২০ লাখ ভারতীয় রূপিতে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের পক্ষে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি।

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

২০১০ সালে জাতীয় পর্যায়ের প্রমিলা শ্যুটিং তারকা সপ্না চৌধুরীর সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।[৬] বর্ণভা গ্রামে একটি খামারের মালিক তিনি। মিরাটের এনএইচ-৫৮ রোতক রোড ক্রসিংয়ে প্রবীন রেস্টুরেন্ট ও বিবাহ অনুষ্ঠানের একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।[৭] উত্তরপ্রদেশ রাজ্যসভায় নির্বাচনের পূর্বে সমাজবাদী দলে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা