প্রথম আদিল (আরবি: العادل‎‎, পুরোনাম মালিকুল আদিল সাইফউদ্দীন আবু বকর আহমাদ ইবনে নাজমউদ্দীন আইয়ুব, আরবি: الملك العادل سيف الدين أبو بكر بن أيوب‎‎; ১১৪৫- ৩১শে আগস্ট ১২১৮) ছিলেন মিশর ও সিরিয়ার চতুর্থ সুলতান এবং সালাহউদ্দিনের ভাই, যিনি মিশরের সালতানাত এবং আইয়ুবীয় রাজবংশ উভয়ই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আদিল ক্রুসেডারদের কাছে সাফাদিন নামে পরিচিত ছিলেন (তাঁর লকব বা সম্মানসূচক উপাধি সাইফউদ্দিন থেকে বিকৃত, যার অর্থ "ধর্মের তলোয়ার")। এই নামে তিনি এখনও পশ্চিমা বিশ্বে পরিচিত। তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাধর, কার্যকর প্রশাসক এবং সংগঠক।[১] আদিল সালাহউদ্দিনের বড় বড় অভিযানগুলোতে সামরিক ও বেসামরিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রথমদিকে তিনি যুদ্ধমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সালাহউদ্দিনের ন্যায় তিনিও একজন দক্ষ জেনারেল এবং যুদ্ধকৌশলে অভিজ্ঞ ছিলেন। কায়রোর প্রায় লুপ্ত ফাতিমীয় খিলাফতকে মিশরের আইয়ুবী সালতানাতে পরিণত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

সাইফুদ্দীন আবু বকর
মালিকুল আদিল
Ayyubid al Adil 1201 Damascus.jpg
মিশরের সুলতান
রাজত্ব১২০০ – আগস্ট ১২১৮
পূর্বসূরিমানসুর নাসিরুদ্দীন মুহাম্মাদ
উত্তরসূরিপ্রথম কামিল
জন্মজুন ১১৪৫
মৃত্যু৩১ আগস্ট ১২১৮(1218-08-31) (বয়স ৭৩)
বংশধরমালিকুল কামিল
দায়ফা খাতুন
মুয়াযযাম ঈসা
আওহাদ আইয়ুব
মুযাফফর গাজী
আশরাফ মুসা
সালিহ ইসমাইল
পূর্ণ নাম
মালিকুল আদিল সাইফউদ্দীন আবু বকর আহমাদ ইবনে নাজমউদ্দীন আইয়ুব
পিতানাজমুদ্দিন আইয়ুব
ধর্মইসলাম

প্রাথমিক জীবনসম্পাদনা

আদিল ছিলেন নাজমুদ্দিন আইয়ুবের ছেলে। আদিল ছিলেন কুর্দি[২][৩] আইয়ুবীয় পরিবারের সদস্য। তিনি আইয়ুবীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা সালাহউদ্দিনের ছোট ভাই। তিনি ১১৪৫ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে খুব সম্ভব দামেস্কে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নুরউদ্দিন জেনগির বাহিনীতে উল্লেখযোগ্য হিসেবে প্রমাণিত হন তার চাচা শিরকুহের মিশরে তৃতীয় ও শেষ অভিযানের সময়ে (১১৬৮-১১৬৯ খ্রিস্টাব্দে)। ১১৭৪ খ্রিস্টাব্দে নুরউদ্দিনের মৃত্যুর পর আদিল তার ভাই সালাহউদ্দিনের অধীনে মিশর শাসন করেন। ১১৭৫ থেকে ১১৮৩ খ্রিস্টাব্দে সিরিয়ায় ক্রুসেডার বিরুদ্ধে তার ভাইয়ের যুদ্ধের জন্য প্রচার করে সেখানকার অনেক সম্পদ জমা করেন। এরপর ১১৮৩ থেকে ১১৮৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি আলেপ্পোর গভর্নর ছিলেন। তৃতীয় ক্রুসেডের সময় ১১৮৬ থেকে ১১৯২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মিশর প্রশাসনে নিযুক্ত থাকেন। তিনি ১১৯২ থেকে ১১৯৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত উত্তর প্রদেশের গভর্নর ছিলেন। এই ধারায় সালাহউদ্দিনের মৃত্যুর পরও ১১৯৩ খ্রিস্টাব্দের মার্চে সালাহউদ্দিনের পক্ষে মসুলের ইযযুদ্দিনের বিদ্রোহ দমন করেন। সালাহউদ্দিনের মৃত্যুর সময়ে তিনি দামেস্কের গভর্নর ছিলেন।

১১৯০ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের সম্রাট রিচার্ড প্রথম আদিলকে প্রথমে তার ছোট বোন জোয়ানের ব্যাপারে এবং পরে ভাইঝি ফেয়ার মেইড অব ব্রিটানি নামে প্রসিদ্ধ ইলিয়েনরের ব্যাপারে প্রস্তাব দেন। কিন্তু তার উভয় প্রস্তাব বিফলে যায়। কারণ, আদিল খ্রিস্টধর্মের ব্যাপারে কোনো আগ্রহই দেখাননি।[৪][৫]

সালাউদ্দিনের উত্তরাধিকারের জন্য সংগ্রামসম্পাদনা

সালাহউদ্দিনের মৃত্যুর পর শাসক আইয়ুবীয় পরিবারের মূল প্রশ্নটি ছিল, সালাহউদ্দিনের নিজের ছেলেদের কাছেই ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকবে নাকি এর বিভিন্ন শাখার মধ্যে আরও ব্যাপকভাবে বণ্টন করা হবে। নাকি কেবল আদিলের হাতেই কেন্দ্রীভূত হবে। সালাহউদ্দিন মৃত্যুর আগে তার পুত্র আফযাল আলীর প্রতি আনুগত্যের শপথ নিতে বাধ্য করেছিলেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর তার অন্য পুত্ররা আফযালের আধিপত্য স্বীকার করেনি।[৬] আদিল প্রথমদিকে আফযাল আর তার ভাই আজিজের মধ্যে নিজেকে সৎ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত রেখেছিলেন। যাতে অনাহূত একটি বিবাদ সৃষ্টি না হয়।[৬] তবে শেষপর্যন্ত আদিল বুঝতে পারেন যে, আফযাল শাসনের জন্য যোগ্য ব্যক্তি নন। তিনি আজিজ উসমানকে সমর্থন করেন ও আফযালকে নির্বাসনে যেতে বাধ্য করেন।[৭] ১১৯৮ খ্রিস্টাব্দে ঘোড়সওয়ারীর দুর্ঘটনায় আজিজ উসমানের মৃত্যু রাজবংশীয় লড়াইয়ের দরজা আবারও খুলে দেয়। আজিজ উসমানের বারো বছর বয়সী উত্তরাধিকারের রাজপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার জন্য আফযালকে মিশরে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ১১৯৯ খ্রিস্টাব্দে আফযাল আলেপ্পোর গভর্নর তার ভাই যাহিরের সাথে মিত্রতা করেন। তিনিও আদিলের বিরোধী ছিলেন। তারা উভয়ে তাদের চাচাকে দামেস্ক হতে বিতাড়িত করার লক্ষ্যে দামেস্কে অবরোধ করেন।[৭] আদিল দক্ষতার সাথে তার ভ্রাতুষ্পুত্রদের সাথে রাজনৈতিক খেলা খেলেছিলেন এবং একে অপরের বিরুদ্ধে খেলিয়েছিলেন। তাদের উভয়কে একে অপরের প্রতি বীতশ্রদ্ধ করেন। এরমধ্যে এসব ঝগড়া চলাকালীনই ১১৯৯ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বরে আদিলের পুত্র কামিল আরো সৈন্যসামন্ত নিয়ে দামেস্কে পৌঁছেন। তার আগমন এই অবরোধকে সমাপ্ত করে। আফযাল মিশরে পশ্চাদপসরণ করেন, কিন্তু তার চাচা তাকে অনুসরণ করেন। বিলবিসে তার সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেন। আফযাল কায়রোতে পালিয়ে যান। সেখানে পৌঁছে যেকোনো শর্তে আদিলের কাছে শান্তির আবেদন করেন। তাকে সামোসাতা ও মায়াফারাকিন শহরের নিয়ন্ত্রণের ওয়াদা করা হয়েছিল। ১৭ই ফেব্রুয়ারি ১২০০ খ্রিস্টাব্দে আদিল নিজেকে সুলতান দাবি করেন। আদিলের আরেকজন পুত্র আওহাদ মায়াফারাকিন আফযালকে দিতে অস্বীকার করে। আফযাল আরেকবার যাহিরের সাথে মিত্রতা করে দুইভাই মিলে দামেস্ক অবরোধ করেন। কিন্তু আবারও তাদের মতানৈক্য দেখা দেয় আর আফযাল শেষপর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেন। আদিল সামোসাতা, সারুজসহ আরো কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ আফযালকে প্রদান করেন। যাহিরও ১২০২ খ্রিস্টাব্দের বসন্তে তার চাচার আধিপত্য স্বীকার করে নিয়েছিলেন। আর এভাবেই আদিল সফলভাবে পুরো আইয়ুবীয় রাজত্বে নিজের কর্তৃত্ব প্রয়োগ করেন।[৮]

শাসনসম্পাদনা

তার সফলতার পর তিনি নিজেকে সুলতান ঘোষণা করেন। তিনি প্রায় দুই দশক (১২০০-১২১৭ খ্রিস্টাব্দ) পর্যন্ত মিশর ও সিরিয়ায় শাসন করেন। তিনি শাসনে স্থিরতা আনতে ক্রুসেডার রাষ্ট্রসমূহের সাথে বাণিজ্য ও সুসম্পর্কের প্রচেষ্টা চালান। অবশ্য তার রাজত্বের বেশিরভাগ সময়ে মিশরের কার্যকরী শাসক ছিলেন তার সন্তান কামিল।[৯]

আদিলের শাসনামল সাধারণত সম্প্রসারণের চেয়ে একত্রীকরণের ছিল। ক্ষমতা সুসংহত করার সময়ে তার বয়স ষাটের কাছাকাছি। এরপূর্বে প্রায় দুই দশক ধরে তিনি যুদ্ধে কাটিয়েছিলেন। তার প্রথম চিন্তা ছিল কোষাগার নিয়ে। তার ভাইয়ের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা, ক্রুসেডারদের সাথে লড়াই আর আইয়ুবীয়দের আন্তঃকোন্দলের কারণ কোষাগার এতদিনে প্রায় শূন্য হয়ে পড়েছিল। আদিল মুদ্রা এবং কর উভয় ক্ষেত্রেই সংস্কার করেন।[৯] তার পদক্ষেপগুলোর কার্যকারিতার ক্ষেত্রে ১২০০ খ্রিস্টাব্দের (৫৯৭ হিজরী) ভূমিকম্প এবং ১১৯৯ থেকে ১২০২ খ্রিস্টাব্দ (৫৯৫-৫৯৮ হিজরী) পর্যন্ত নীলনদের নিম্ন প্লাবন থেকে মিশরকে তুলনামূলক দ্রুত পুনরুদ্ধারের বিষয়টি বিচার করা যেতে পারে। নীলনদের নিম্ন প্লাবনের জন্য খরা এবং দুর্ভিক্ষ হতে পারত। কিন্তু তিনি তার সৈন্যদেরকে জমিতে কাজ করার জন্য পাঠানো সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এভাবে আদিল অব্যাহত সামাজিক-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করেছিলেন।[৯]

আদিলের শাসনামলে দ্বিতীয় প্রধান চিন্তা ছিল নতুন ক্রুসেডের যুদ্ধ এড়ানো। এলক্ষ্যে তিনি ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন করেন। তিনি ভেবেছিলেন যে, ভূমধ্যসাগরের ব্যবসায়ী শহরগুলোতে শান্তিপূর্ণ বাণিজ্যে অংশীদারত্ব থাকলে ব্যবসায়ীরা একটি নতুন ক্রুসেডকে সমর্থন করতে কম আগ্রহী হবে। কিন্তু তিনি এক্ষেত্রে পুরোপুরি সফল হননি। ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে (৬০০ হিজরী) রশিদে এবং ১২১১ খ্রিস্টাব্দে (৬০৭ হিজরী) দমইয়াতে ফ্র্যাঙ্কিশ নৌবাহিনী অভিযান পরিচালনা করেছিল।[৯]

আদিলের তৃতীয় উদ্বেগ ছিল আইয়ুবীয় অঞ্চলগুলোতে কোনো বলপ্রয়োগ ছাড়া আধিপত্য বজায় রাখা নিয়ে। এক্ষেত্রে আদিল একজন দক্ষ কূটনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রমাণিত হন। ১২০১ খ্রিস্টাব্দের পরে কোনো ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে তিনি সক্ষম হন। বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল, ১২১২ খ্রিস্টাব্দে আলেপ্পোর সালাহউদ্দিনের তৃতীয় ছেলে যাহির গাজীর সাথে তার মেয়ে দায়ফা খাতুনের বিয়ে দেয়া। এরফলে, পরিবারের দুই শাখার মধ্যে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে।[১০] আদিল পুরো অঞ্চল জুড়ে পুনর্গঠনের একটি মৌলিক কর্মসূচীও হাতে নিয়েছিলেন। দামেস্কের বিশাল দূর্গ ছিল এই কর্মসূচীর ক্ষেত্রে তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর একটি।

আদিলের অঞ্চলভিত্তিক চিন্তা আইয়ুবীয়দের শাসনের মূল কেন্দ্র থেকে দূরে দক্ষিণ আনাতোলিয়া আর উত্তর ইরাক পর্যন্ত প্রসারিত ছিল। তিনি সময়ের সাথেসাথে মসুল আর সিনজার ছাড়াও অতীত জেনগি রাজবংশের অধীনস্থ বেশিরভাগ অংশ নিজ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। এর পাশাপাশি লেক ভ্যানের আশেপাশের অঞ্চলগুলোকে তার ক্ষমতার অধীনে নিয়ে আসেন। তিনি ১২০৭ খ্রিস্টাব্দে আখলাত বিজয় করেন এবং আখলাত শাহদের শাসনের অবসান ঘটান।

মৃত্যু এবং উত্তরাধিকারসম্পাদনা

আদিলের অন্যতম একটি মৌলিক বৈদেশিক নীতি ছিল, যেকোনো ভাবে নতুন ক্রুসেড এড়ানো। কিন্তু ১২১৭ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বরে (জুমাদাস সানি, ৬১২ হিজরী) আক্কায় একটি নতুন ক্রুসেডার সেনাবাহিনী অবতরণ করে। আদিল এই আক্রমণের জন্য সম্পূর্ণরূপে অপ্রস্তুত ছিলেন। এছাড়া তার বয়স ৭২ হয়ে গিয়েছিল। এতকিছুর পরও তিনি তাদের মোকাবেলা করার জন্য তিনি তার সেনাবাহিনীকে দ্রুত ফিলিস্তিনে নিয়ে যান। তার ফিলিস্তিনের অভিযানগুলো উল্লেখযোগ্য সফলতা আনতে পারেনি। ১২১৮ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে (জুমাদাল উলা, ৬১৫ হিজরী) তিনি দুঃসংবাদ পান যে, আরেকটি ক্রুসেডার বাহিনী মিশরে অবতরণ করেছে এবং দমইয়াত আক্রমণ করেছে।[১১] এর মধ্যেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং দমইয়াতের দিকে যাওয়ার সময়ে মারা যান। তার পুত্র কামিল তার স্থলাভিষিক্ত হন।

আদিলের শাসন পরবর্তী বহু বছরের জন্য আইয়ুবীয় সালতানাতের আকৃতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তমূলক ছিল। তার মৃত্যুর পরও তার বংশধরের মধ্যে মিশরের ক্ষমতা আর সালতানাতের আকাঙ্ক্ষা থেকে যায়। তার বংশধররাও আইয়ুবীয় সালতানাতের কেন্দ্র থেকে দূর হওয়া সত্ত্বেও উত্তর-পূর্বের মাইয়াফারিকিনের গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছিল। অন্যদিকে সালাহউদ্দিনের বংশধররা আলেপ্পো ধরে রেখেছিল। আদিলের অন্য ভাই নুরুদ্দীন শাহানশাহের বংশধর বালবেক আর হামায় নিয়ন্ত্রণ করছিল। আদিলের চাচা শিরকুহের বংশধরদের হাতে হিমস ছিল। দামেস্ক পরিবারের বিভিন্ন শাখার প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। আইয়ুবীয় শাসনের পতন হওয়ার আগে এখানে বহুবার ক্ষমতাবদল ঘটেছিল।[১২]

পরিবারসম্পাদনা

প্রথম আদিলের ১৬টি ছেলে ও বেশ কয়েকটি মেয়ে ছিল। কুর্দি ইতিহাসবিদ আবুল ফিদা (যিনি হামার আইয়ুবীয় আমির ছিলেন) তার লেখায় বেঁচে থাকা আইয়ুবীয় সন্তানদের উল্লেখ করেছিলেন। সেই হিসেবে-

  • মালিকুল কামিল
  • মালিকুল আশরাফ মুসা
  • দায়ফা খাতুন
  • আওহাদ আইয়ুব
  • মুয়াযযাম ঈসা
  • মুজাফফর গাজী
  • সাফিয়া সিত্ত খাতুন
  • মুফাদ্দাল কুতুবুদ্দীন আহমদ
  • হাফিজ নূরউদ্দিন আরসলানশাহ
  • আজিজ ইমাদুদ্দিন উসমান
  • সালিহ ইমাদুদ্দিন ইসমাঈল
  • মালেকা আদলিয়া খাতুন
  • আমজাদ হাসান
  • মুকিদ মাহমুদ
  • ফকিজ ইব্রাহিম
  • কাহির ইসহাক
  • মাওদুদ খলিল
  • তাকিয়াদ্দিন আব্বাস
  • মোজাফফর শাবুদ্দিন গাজী
  • আওহাদ নাজমুদ্দীন আইয়ুব
  • জাহরা
  • গাজিয়া
  • মালেক

আরো দেখুনসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. From Saladin to the Mongols: The Ayyubids of Damascus, 1193–1260 by R. Stephen Humphreys, SUNY Press 1977, p. 155
  2. হুমফ্রেস, আর. এস. "আইয়ুবীয়", এনসাইক্লোপিডিয়া ইরানিকা; "আইয়ুবীয়রা (আরবীতে, বনু আইয়ুব), একটি কুর্দীয় পরিবার; যারা ষষ্ঠ হিজরী শতকের মাঝামাঝি সময়ে প্রথমে জেনগি সৈন্যবাহিনীর সদস্য হিসেবে সিরিয়ায় উল্লেখযোগ্য হয়।"
  3. মাযাহেরি, মাসুদ হাবিবি; গোলামি, রহিম. "আইয়ুবীয়", এনসাইক্লোপিডিয়া ইসলামিকা; "আইয়ুবীয়, একটি কুর্দীয় মূলধারার রাজবংশ; যা মিশর, সিরিয়া, জাযিরা এবং ইয়েমেন ষষ্ঠ-সপ্তম হিজরী শতকে শাসন করেছে।"
  4. "অ্যা বিট অব হিস্টোরি ওয়েবসাইট"www.abitofhistory.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৬ 
  5. দ্য অ্যাঙ্গেভিন অ্যাম্পায়ার
  6. রুনসিম্যান, স্টিভেন (১৯৫৪)। এ হিস্ট্রি অফ দ্য ক্রুসেডস, ভলিউম ৩: দ্য কিংডম অফ একরে অ্যান্ড দ্য লেটার ক্রুসেডস। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৭৯। 
  7. রুনসিম্যান, স্টিভেন (১৯৫১)। এ হিস্ট্রি অফ দ্য ক্রুসেডস, ভলিউম ৩: দ্য কিংডম অফ একর অ্যান্ড দ্য লেটার ক্রুসেডস। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৮১। 
  8. ফ্রম সালাদিন টু দ্য মঙ্গোলস: দ্য আইয়ুবিদস অব ডেমাস্কাস, ১১৯৩-১২৬৯; লেখক: আর স্টিফেন হুমফ্রেস, পৃষ্ঠা: ১১১-১২২
  9. Petry, Carl F., সম্পাদক (১৯৯৮)। The Cambridge History of Egypt, Volume 1: Islamic Egypt, 640–1517। Cambridge: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 221। আইএসবিএন 0-521-47137-0 
  10. ফ্রম সালাদিন টু দ্য মঙ্গোলস: দ্য আইয়ুবিদস অব ডেমাস্কাস, ১১৯৩-১২৬৯; লেখক: আর স্টিফেন হুমফ্রেস, পৃষ্ঠা: ১৫৫
  11. ফ্রম সালাদিন টু দ্য মঙ্গোলস: দ্য আইয়ুবিদস অব ডেমাস্কাস, ১১৯৩-১২৬৯; লেখক: আর স্টিফেন হুমফ্রেস, পৃষ্ঠা: ১৬০
  12. লেন-পুল, স্টেনলি, দ্য মোহামেডান ডায়নেস্টিজ, কনস্ট্যাবল, লন্ডন, ১৮৯৪, পৃষ্ঠা: ৭৭
  • নিকল, ডেভিড (২০০৮)। দ্য সেকেন্ড ক্রুসেড। অসপ্রে পাবলিশিং। 
প্রথম আদিল
জন্ম: জুন ১১৪৫ মৃত্যু: আগস্ট ১২১৮
শাসনতান্ত্রিক খেতাব
পূর্বসূরী
আফযাল বিন সালাহউদ্দিন
দামেস্কের আমির
১১৯৬ – আগস্ট ১২১৮
উত্তরসূরী
মুয়াযযাম ঈসা
পূর্বসূরী
মানসুর নাসিরুদ্দীন মুহাম্মাদ
মিশরের সুলতান
১২০০ – আগস্ট ১২১৮
উত্তরসূরী
কামিল