প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ হল বাংলাদেশী লেখক আরিফ আজাদ রচিত একটি ইসলাম বিষয়ক ধারাবাহিক গ্রন্থ।[১][২] এটি সাজিদ নামক চরিত্রের ভাষ্যে ইসলামী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে সাজানো ছোটগল্পের সমাহার। এতে লেখক ইসলাম বিরোধী প্রশ্নগুলোকে ইসলামী তথ্য, যুক্তি, দর্শন, বিজ্ঞান এবং বাস্তবতার মাধ্যমে ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন এবং সেখান থেকে প্রতিপক্ষের যুক্তি তর্কের দূর্বলতা প্রমাণের প্রয়াস রেখেছেন।[৩][৪] ২০১৭ ও ২০১৯ সালে ধারাবাহিকটির ২টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। [৫][৬] বইগুলি নিয়ে বিতর্ক হলেও গ্রন্থ দুটি সে বছরের বইমেলায় সেরা বিক্রিত বইয়ের তালিকায় স্থান করে নেয়।[১]
![]() "প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ১" বইয়ের প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ | |
লেখক | আরিফ আজাদ |
---|---|
প্রচ্ছদ শিল্পী | কাজী যুবাইর মাহমুদ |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
বিষয় | ইসলামি আদর্শ ও মতবাদ |
ধরন | ছোটগল্প |
প্রকাশিত | প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ (৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭) প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ (১৫ ফেব্রিয়ারি ২০১৯) |
প্রকাশক | গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স সমকালীন প্রকাশনী |
মিডিয়া ধরন | ছাপা (হার্ডকভার) |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ১৭৬ |
আইএসবিএন | ৯৭৮-৯৮৪-৯২৯৫৯-০-৭ |
পরবর্তী বই | বেলা ফুরাবার আগে |
চরিত্র পরিচয় ও সারসংক্ষেপসম্পাদনা
গল্পের মূল চরিত্রের নাম ‘সাজিদ’। বইটিতে পার্শ্বচরিত্র হিসেবে আছেন লেখক নিজে। লেখক সাজিদের বন্ধু, রুমমেট। সাজিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞানের ছাত্র। বইয়ের প্রথম গল্পে ‘সাজিদ’ কে একজন সংশয়বাদীরূপে দেখা যায়। সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব-অনস্তিত্ব নিয়ে ব্যাপক যুক্তি-তর্কের শেষ পর্যায়ে সাজিদকে তার স্রষ্টায় ও ইসলামে বিশ্বাস পুনঃরায় ফিরে পেতে দেখা যায়। এরপর বিশ্বাসী সাজিদ একের পর এক গল্পে বিভিন্ন কৌতুহলী মানুষের কাছে তার ইসলামী বিশ্বাসকে তুলে ধরে।
সে তার তথ্য ও যুক্তির মাধ্যমে ইসলাম ও স্রষ্টা নিয়ে সংশয়ে থাকা ব্যক্তিদের সংশয় দূর করার প্রয়াস চালায়। সাজিদ কখনো নিজের শিক্ষক মফিজুর রহমানকে বুঝিয়ে আসে কেন ‘তাকদির’ তথা ‘ভাগ্য’ ইস্যুতে স্রষ্টা বিতর্কিত নন। সাজিদ যুক্তির নিক্তিতে প্রমাণ দেখায় কেন স্রষ্টা মানুষের ভালো কাজের বেলায় প্রশংসা পেলেও মন্দ কাজের বেলায় দায়বদ্ধ নন। সাজিদের বড় ভাই তুল্য বিপ্লব দা'র কাছে সে প্রমাণ করে আসে কিভাবে বিজ্ঞানের আধুনিক পরিভাষা ‘কোয়ান্টাম’ মেকানিক্স কোনভাবেই স্রষ্টাকে খারিজ করে দিতে পারেনা। সে আরো প্রমাণ দেখায় যে কেন স্রষ্টা দয়ালু হবার পরেও জাহান্নামের মতো ভয়ানক জিনিস তৈরি করেছেন। নীলু দা নামের আরেক চরিত্র, যিনিও বিপ্লব দা’র মতো সাজিদের কাছে বড় ভাইয়ের মতোই সমাদৃত, তার কাছে প্রমাণ দেখায় যে কোনভাবেই কোরআনের কোন আয়াত ‘সন্ত্রাসবাদী’ নয়। এভাবে বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাজিদকে ইসলাম ধর্মের উত্তমতা, সঠিকতা ও প্রামাণ্যতা তুলে ধরার বিষয়ে একজন অভিজ্ঞ বক্তা, যুক্তিবাদী এবং বাস্তববাদী হিসেবে দেখা যায়।
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-১সম্পাদনা
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-১ গ্রন্থটি এই সিরিজের ১ম বই। বইটি প্রকাশ করা হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারির অমর একুশে গ্রন্থমেলায়।[৫] বইটির মোড়ক উন্মোচন হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারির ০৯ তারিখ। বইটি প্রকাশ করে গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স। প্রকাশের অল্পদিনের মধ্যে বইটি সেরা বিক্রয়ের তালিকায় চলে আসে।
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২সম্পাদনা
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২ বইটি লেখকের লেখা ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত বই "প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-১" এর দ্বিতীয় কিস্তি। বইটি ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সমকালীন প্রকাশনী থেকে বের হয়। এটি ২০১৯ সালের একুশে বইমেলায় সেরা বিক্রিত ছিল এবং বইটির প্রকাশ ২০১৯ বইমেলায় কয়েক দফায় সরকারি নির্দেশে বন্ধ করার পর আবার পুনরায় তা প্রকাশের অনুমতি দেওয়া হয়।[৭][৮][৯][৬][১০]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ "আরিফ আজাদের বই নিয়ে আসিফ নজরুলের যেসব প্রশ্ন"। যুগান্তর। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "What are people reading now?"। ঢাকা ট্রিবিউন। ৫ মার্চ ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ ইকরাম, মোঃ (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। "গ্রন্থমেলায় বহুল আলোচিত বই 'প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২'"। দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "খুলনার বইমেলায় ভাষাপ্রেমীদের উপচেপড়া ভিড়"। বাংলানিউজ২৪.কম। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ ক খ jugantor.com। "অনলাইনে বেড়েছে বই বিক্রি | প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ"। jugantor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-১৮।
- ↑ ক খ ইকরাম, মোঃ (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। "এবারের গ্রন্থমেলায় সেরা ১০ বই"। দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "একুশে বইমেলায় ইসলাম নিয়ে লেখা প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২ বইয়ের বিক্রি বন্ধ"। বিবিসি বাংলা। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "গ্রন্থমেলাতে আলোচনার শীর্ষে প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২"। দৈনিক ইনকিলাব। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "'প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২' বিক্রিতে বাধা দেয়ার অভিযোগ"। দৈনিক যুগান্তর। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "বিক্রি বন্ধ 'প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২'"। somoynews.tv। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০২০।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |