পুষ্পবন্ত প্রাসাদ

পুষ্পবন্ত প্রাসাদ বা কুঞ্জবন প্রাসাদ ত্রিপুরার একটি প্রাচীন রাজকীয় প্রাসাদ। এটি ১৯১৭ সালে মহারাজা বীরেন্দ্র কিশোর মাণিক্য দ্বারা নির্মিত হয়। এটি ২০১৮ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরার রাজভবন হিসেবে ছিল, যা পরবর্তীতে স্থানান্তরিত হয়।[১] প্রাসাদটিকে বর্তমানে জাতীয় পর্যায়ের সাংস্কৃতিক জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ চলছে।[২]

পুষ্পবন্ত প্রাসাদ
মানচিত্র
বিকল্প নামকুঞ্জবন প্রাসাদ
সাধারণ তথ্য
ধরনঐতিহাসিক
স্থাপত্য রীতিরাজকীয়
শহরআগরতলা
দেশত্রিপুরা
খোলা হয়েছে১৯১৭
স্বত্বাধিকারীত্রিপুরা সরকার

ইতিহাস সম্পাদনা

পুষ্পবন্ত প্রাসাদ হল ত্রিপুরার পূর্ববর্তী রাজভবন। এটি মহারাজা বীরেন্দ্র কিশোর মাণিক্য দেববর্মণ বাহাদুর (১৯০৯ -১৯২৩) নির্মাণ করেছিলেন। তিনি উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ থেকে উত্তরে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুঞ্জবন নামক টিলার উপর এটির জন্য স্থান নির্বাচন করেন। কুঞ্জবন স্থানটিতে অবস্থিত হওয়ায় এটিকে কুঞ্জবন প্রাসাদও বলা হয়ে থাকে। প্রাসাদটি ১৯১৭ সালে নির্মিত হয়। পরে এটিকে পুষ্পবন্ত প্রাসাদ নামে নামকরণ করা হয়। এটি মোট ১.৭৬ হেক্টর জমির উপর স্থাপিত।[৩][৪]

এটি ত্রিপুরার মাণিক্য রাজাদের অতিথিশালা হিসেবেও ব্যবহৃত হত। নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাতবার ত্রিপুরা ভ্রমণ করেছিলেন, তার সাথে ত্রিপুরার রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ১৯২৬ সালে তাঁর শেষ ত্রিপুরা ভ্রমণের সময়, ঠাকুর পুষ্পবন্ত প্রাসাদে অবস্থান করেছিলেন। ১৯৪১ সালের মে মাসে, মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এখানে ঠাকুরের ৮০ তম জন্মদিন পালন করেন।[৫]

১৯৪৯ সালে ত্রিপুরা রাজ্যটি ভারতীয় ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হওয়ার পর, ৪.৩১ একরের প্রাসাদটি প্রধান কমিশনারের বাংলো হিসেবে এবং তারপরে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাজভবন হিসেবে কাজ করে। ২০১৮ সালে রাজভবনটিকে নতুন একটি ভবনে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে পার্কের দক্ষিণ দিকটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে এবং এর নামকরণ করা হয়েছে রবীন্দ্র কানন।[৪][৫]

নতুন জাদুঘর সম্পাদনা

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ২০২২ সালে ১৪ অক্টোবর, এই পুরাতন রাজকীয়, পুষ্পবন্ত প্রাসাদে ত্রিপুরার প্রথম ডিজিটাল জাদুঘরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ত্রিপুরা সরকার রাজ্যে পর্যটন বাড়াতে এই প্রকল্পের জন্য বাজেট অনুমোদন করে।[৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Tripura, Meghalaya governors sworn in"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২৯ 
  2. "Tripura's Pushpabanta Palace to be turned into museum celebrating royal history, Tagore links"The New Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৬ 
  3. "Tripura's Pushpabanta Palace To Be Turned Into A National Level Museum And Cultural Centre"। আগস্ট ২০২২। 
  4. "Tripura Palace To Become Museum Celebrating Rabindranath Tagore Links"NDTV.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৬ 
  5. NEWS, NE NOW (২০২২-০৭-৩১)। "Tripura: Pushpabanta Palace to be developed as museum"NORTHEAST NOW (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৬ 
  6. Today, North East (২০২২-০৯-২৪)। "President - Draupadi Murmu Likely To Lay Foundation Of Tripura's Digital Museum On October 14"Northeast Today (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৬