পুণ্য দত্ত
পুণ্য দত্ত (২১ জুন ১৯২৪ – ১২ নভেম্বর ২০১৬) ছিলেন একজন ভারতীয় ক্রিকেটার। তিনি বাংলা এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন।[১] [২] ১৯৪৪-৪৫ থেকে ১৯৫৫-৫৬ পর্যন্ত বিস্তৃত প্রথম-শ্রেণীর ক্যারিয়ারে, দত্ত সর্বোচ্চ ১৪৩ রানের সাথে ১,৪৫৯ রান করেছিলেন। ব্যাট হাতে তার গড় ২৯.৭৭, ৪টি সেঞ্চুরি ও ৫টি অর্ধশতক এবং ১২টি ক্যাচ ধরেছিলেন। তিনি ৩৭.০৯ এ ৪১ উইকেট দখল করেছিলেন এবং তার সেরা ইনিংস পরিসংখ্যান ছিল ৫২ রানে ৫ উইকেট।
ব্যক্তিগত তথ্য | |
---|---|
পূর্ণ নাম | পুণ্যব্রত দত্ত |
জন্ম | সিলেট, আসাম প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত | ২১ জুন ১৯২৪
মৃত্যু | ১২ নভেম্বর ২০১৬ কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত | (বয়স ৯২)
ডাকনাম | বাদল দা |
ব্যাটিংয়ের ধরন | বাম-হাতি |
বোলিংয়ের ধরন | বাঁ-হাতি মাঝারি |
ভূমিকা | অলরাউন্ডার |
ঘরোয়া দলের তথ্য | |
বছর | দল |
১৯৪৪/৪৫–১৯৫৫/৫৬ | বাংলা |
১৯৪৭ | কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় |
উৎস: Cricinfo, ২৭ মার্চ ২০১৬ |
১৯৪৪-৪৫ সালে ইডেন গার্ডেনে ইউনাইটেড প্রভিন্সের বিরুদ্ধে কোচবিহারের মহারাজার নেতৃত্বে বাংলার হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয় দত্ত। [৩] কলকাতার আসুতোষ কলেজে পড়ার পর তিনি কেমব্রিজের ট্রিনিটি হলে যান । তার নতুন বছরের শেষে তিনি ১৯৪৭ সালে ১৩টি প্রথম-শ্রেণীর ম্যাচে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন, ২২.৮৫ এ ৩২০ রান করেন এবং ৪০.৬৮ এ ২৯ উইকেট নেন এবং তার ব্লু জয় করেন। [৪] ভারতে ফিরে তিনি বাংলার প্রতিনিধিত্ব অব্যাহত রাখেন, ১৯৫২-৫৩ সালে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে ১৪১ রান করেন।[৫]
বাংলায় ক্রিকেটে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দত্ত ২০০৪ সালে কার্তিক বোস লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পান। তিনি ২০০৮-০৯ থেকে ২০১২-১৩ পর্যন্ত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল -এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি কলকাতা ক্রিকেট ও ফুটবল ক্লাবের সভাপতিও ছিলেন।[৬]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "Punya Datta"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "The Home of CricketArchive"।
- ↑ "Bengal v United Provinces 1944-45"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ Wisden 1948, pp. 570-71.
- ↑ "Bengal v Holkar 1952-53"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ "The CAB"। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৬।
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে পুণ্য দত্ত (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে পুণ্য দত্ত (ইংরেজি)