লেটকা খিচুড়ি হচ্ছে একপ্রকারের নরম খিচুড়ি যা বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় খাবার। সিলেটি রন্ধনশৈলীতে এটি একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে স্থান পেয়েছে।[১] ঘরোয়া আয়োজনে লেটকা খিচুড়ি এবং অতিথি আপ্যায়নে আখনী পোলাও সিলেটের একটি ঐতিহ্য।[২] লেটকা খিচুড়ির দুই ধরনের: সাদা লেটকা খিচুড়ি (জাউ) এবং হলুদ পাতলা খিচুড়ি।

উপকরণ সম্পাদনা

চাল, ডাল, মাংস, পেঁয়াজ, আদা, অল্প পরিমাণ তেল বা ঘি, মেথি এবং লবণ[৩][৪]

রন্ধন প্রণালী সম্পাদনা

রান্নার আগে চাল (তুলশীমালা চাল, কালিজিরা চাল, চিনিগুড়া চাল ইত্যাদি) ও ডাল ভালভাবে ধুয়ে আধাঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হয়। তারপর একটি পাত্রে পানিসহ চাল, ডাল, সামান্য পিঁয়াজকুঁচি এবং বাকি উপকরণ দিয়ে চুলায় বসাতে হয়। অতঃপর কয়েকটা তেজপাতা দিতে হয়। পানি ফুটতে শুরু করলে আগুনের আঁচ কমিয়ে ঢাকনা কিছুটা সরিয়ে ফাকা করে রাখতে হয়। তারপর কিছুক্ষণ পরপর নেড়েচেড়ে আবার ঢাকনাটা দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। যত বেশি নাড়াচাড়া করা হবে, চাল ততো বেশি ভেঙে যাবে এবং খিচুড়ি আরো মজাদার হয়ে উঠবে। শেষে অন্য একটি কড়াইয়ে তেল বা ঘি দিয়ে অবশিষ্ট পেঁয়াজ ভেজে খিচুড়ির উপর ঢেলে ভালভাবে মিশিয়ে আগুন বন্ধ করে দিতে হয়।[৪]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সিলেটের ঐতিহ্য আখনি ও পাতলা খিচুড়ি"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ১২ জুন ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ 
  2. "আখনি খিচুড়ি ও 'ফুরির বাড়ি ইফতারি' সিলেটের ঐতিহ্য"ভোরের কাগজ। ২ জুন ২০১৮। ১৮ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ 
  3. "ইফতারের প্রশান্তি পাতলা খিচুড়িতে!"সমকাল। ৪ জুন ২০১৭। ১৮ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ 
  4. "সিলেটি নরম খিচুড়ি"pranerbangla.com। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা