তেজপাতা
উদ্ভিদের প্রজাতি
তেজপাতা (বাংলা উচ্চারণ: [তেজ পাতা] () এক প্রকারের উদ্ভিদ, যার পাতা )মসলা হিসাবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নামঃ Cinnamomum tamala। এই গাছটি মূলত ভারত,নেপাল,ভুটান ও চীনের।[২] গাছটি ২০ মি (৬৬ ফু) মিটারের বেশি লম্বা হতে পারে।[৩]
তেজপাতা | |
---|---|
dried Indian bay leaves | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন: | Magnoliids |
বর্গ: | Laurales |
পরিবার: | Lauraceae |
গণ: | Cinnamomum |
প্রজাতি: | C. tamala |
দ্বিপদী নাম | |
Cinnamomum tamala (Buch.-Ham.) T.Nees & C.H.Eberm. | |
প্রতিশব্দ[১] | |
|
সুগন্ধিতে ভূমিকা রাখে
সম্পাদনাগুনাগুণ
সম্পাদনা- তেজপাতা অরুচি দূর করে।
- মাড়ির ক্ষত দূর করে।
- এর বাকল থেকে যে সুগন্ধি তেল পাওয়া যায় তা সাবান উৎপাদনে কাজে লাগে।
- ঘামাচি সারায় তেজপাতা ব্যবহার হয়।
- মাথা ব্যাথা ও মাইগ্রেনের ব্যাথা সারাতে তেজপাতার এসেন্সিয়াল ওয়েল ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও শরীরে বিভিন্ন ব্যথা বা ফুলে যাওয়া উপশম করতে এই তেলটি বেশ উপকারী।
- কিডনির বিভিন্ন প্রদাহ রুখতে তেজপাতা পানিতে সিদ্ধ করে খেলে উপকার মিলবে। যাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা আছে তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী।
সৌন্দর্যবর্ধক গুণাবলী
সম্পাদনা- তেজ পাতার উদ্ভিজ্জ উপাদান ত্বকে বলিরেখা সৃষ্টির জন্য দায়ী 'ফ্রি র্যা ডিকেল' নিষ্ক্রিয় করে। ঘরের সহজেই 'অ্যান্টি এজিং সলিউশন' বানাতে চাইলে তেজপাতা ভিজানো ফুটন্ত পানি বাষ্প মুখে লাগানো যেতে পারে।
- বিলাসপুর এবং সুগন্ধিযুক্ত গোসলের জন্য মোটা অংকের টাকা খরচ করার প্রয়োজন নেই। বরং এক টুকরা পরিষ্কার কাপড়ে গুঁড়া তেজপাতা কুসুম গরম পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রেখে এই পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের দুর্গন্ধ কমানো যায়।
- তেজপাতা সিদ্ধ করুন। ঠান্ডা হলে তা দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক ফর্সা করার পাশাপাশি এই মিশ্রণ ব্রন শুকাতেও সহায়ক। উজ্জ্বল দাঁত পেতে সপ্তাহে কয়েকবার দাঁতে তেজপাতা ঘষা যেতে পারে।
- তেজপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে চুল ধুলে খুশকি কমে। চুল পড়া বন্ধ করতেও কার্যকর। চুল কমে যাওয়ার স্থানগুলোতে তেজপাতার এসেন্সিয়াল অয়েল মাখতে পারেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "The Plant List: A Working List of all Plant Species"। ৫ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "USDA GRIN Taxonomy"। ১৯ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ Xi-wen Li, Jie Li & Henk van der Werff। "Cinnamomum tamala"। Flora of China। Missouri Botanical Garden, St. Louis, MO & Harvard University Herbaria, Cambridge, MA। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৩।
- ↑ ক খ Ahmed, Aftab; Choudhary, M. Iqbal; Farooq, Afgan; Demirci, Betül; Demirci, Fatih; Can Başer, K. Hüsnü; ও অন্যান্য (২০০০)। "Essential oil constituents of the spice Cinnamomum tamala (Ham.) Nees & Eberm."। Flavour and Fragrance Journal। 15 (6): 388–390। ডিওআই:10.1002/1099-1026(200011/12)15:6<388::AID-FFJ928>3.0.CO;2-F। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০০৯।
- ↑ Dighe, V. V.; Gursale, A. A.; Sane, R. T.; Menon, S.; Patel, P. H.; ও অন্যান্য (২০০৫)। "Quantitative Determination of Eugenol from Cinnamomum tamala Nees and Eberm. Leaf Powder and Polyherbal Formulation Using Reverse Phase Liquid Chromatography"। Chromatographia। 61 (9 - 10): 443–446। ডিওআই:10.1365/s10337-005-0527-6। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০০৯।
- ↑ Rao, Chandana Venkateswara; Vijayakumar, M; Sairam, K; Kumar, V; ও অন্যান্য (২০০৮)। "Antidiarrhoeal activity of the standardised extract of Cinnamomum tamala in experimental rats"। Journal of Natural Medicines। 62 (4): 396–402। ডিওআই:10.1007/s11418-008-0258-8। পিএমআইডি 18493839। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০০৯।