পাইলগাঁও ইউনিয়ন
পাইলগাঁও ইউনিয়ন বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার অন্তর্গত জগন্নাথপুর উপজেলার একটি প্রশাসনিক একক।[১] এটি জগন্নাথপুর উপজেলার সদর হতে ৭ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত।
পাইলগাওঁ ইউনিয়ন | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
পাইলগাওঁ ইউনিয়ন পরিষদ | |
বাংলাদেশে পাইলগাঁও ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪১′২৬.৯৯৯″ উত্তর ৯১°৩৩′৫০.০০০″ পূর্ব / ২৪.৬৯০৮৩৩০৬° উত্তর ৯১.৫৬৩৮৮৮৮৯° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা | সুনামগঞ্জ জেলা |
উপজেলা | জগন্নাথপুর উপজেলা |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | মখলুছ মিয়া |
আয়তন | |
• মোট | ৪২.০৩ বর্গকিমি (১৬.২৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ৩০,১১৭ |
• জনঘনত্ব | ৭২০/বর্গকিমি (১,৯০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৩৪.২% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫৮ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৯০ ৪৭ ৫৭ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ইতিহাস
সম্পাদনাইউনিয়ন পরিষদ বা ইউনিয়ন হল বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলের সর্বনিম্ন প্রশাসনিক ইউনিট । গ্রাম চৌকিদারি আইনের ১৮৭০ এর অধীনে ১৮৭০ সালে কিছু পল্লী সংস্থা গঠনের উদ্যোগ নেয়া হলে ইউনিয়নের সৃষ্টি। তারই ধারাবাহিকতায় গ্রামাঞ্চলে আইনের পাহারা টহল ব্যবস্থা চালু করায় বিভিন্ন অঞ্চলের প্রাচিন গ্রামাদির নামের ভিত্তিতেই ইউনিয়ন নাম রাখা হয় । [২] বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৫৬২টি ইউনিয়ন আছে।[৩] প্রখ্যাত ঐতিহাসিক অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি পাইল গাও এর জমিদার বংশের 'রসময় বা রাসমোহন চৌধুরী' হতে প্রাপ্ত সূত্রে লিখেছেন যে; পাইলগাওয়ে বহু পূর্ব কালে পাল বংশীয় লোক বসবাস করত। বাংলার ঐতিহ্যধারী পাল গোত্রিয় লোকবসতির এই স্থান একসময় পাল গাও নামে পরিচিত হত । পরবর্তিকালে পালদের মধ্য হতে হুলাসরামের পুত্র দশসনা বন্দোবস্তের সময় কিসমত আতোয়াজানের ১ থেকে ৪ নং তালুকের যতাক্রমে বন্দোবস্ত গ্রহণ করে তালুকদার নাম ধারণ করে এবং এখানে বিখ্যাত জমিদারি প্রতিষ্টিত হয় । সেই থেকে এ স্থানই শাসন ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হলে পাল গাও পাইলগাও-এ রূপান্তর হয় । ১৮৭০ সালে পল্লী সংস্থা গঠনে এই অঞ্চলে স্থাপিত আইনি ইউনিটের নামকরণও গ্রামের নামানুসারে করা হয় পাইলগাও ইউনিয়ন । [৪]।
অবস্থান ও সীমানা
সম্পাদনাপাইলগাওঁ ইউনিয়ন পরিষদটি জগন্নাথপুর উপজেলা সদর হতে ৭কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত। এর উওর দিকে জগন্নথাপুর উপজেলার যথাক্রমে রানীগঞ্জ ইউ.পি. সৈয়দপুর ইউ.পি ও পূর্ব দিকে আশারকান্দি ইউ.পি এবং নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন এবং দীঘল বাক ইউনিয়ন এবং পশ্চিমে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন অবস্থিত।[১] এই ইউনিয়নের দক্ষিণ ও পূর্ব দক্ষিণের অনেকগুলো গ্রামের পাশ দিয়ে বহে চলেছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কুশিয়ারা নদী । ইউনিয়নের অবস্থান ঐতিহ্যবাহী নদী উত্তর দক্ষিণ পারজুড়ে রয়েছে ।
জনপ্রতিনিধি
সম্পাদনাক্রমিক নং | নাম | পদবী |
---|---|---|
আলহাজ্ব মখলুছ মিয়া | চেয়ারম্যান | |
১নং ওয়ার্ড | মোঃ শাহান আহমদ | সদস্য |
২নং ওয়ার্ড | মোঃ আলাউর রহমান | সদস্য |
৩নং ওয়ার্ড | মোঃ আবু-বকর | সদস্য |
৪নং ওয়ার্ড | মো: আলী হোসেন | সদস্য |
৫নং ওয়ার্ড | মোঃ কানন মিয়া | সদস্য |
৬নং ওয়ার্ড | মোঃ আলী আকবর খাঁন | সদস্য |
৭নং ওয়ার্ড | মোঃ আবুল হোসেন | সদস্য |
৮নং ওয়ার্ড | মোঃ আলেক উদ্দিন | সদস্য |
৯নং ওয়ার্ড | মোঃ দুরুদ মিয়া | সদস্য |
মহিলা সদস্য | ||
১,২,৩ নং ওয়ার্ড | মোছাঃ রুসনা আক্তার | সদস্য |
৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড | মোছাঃ সরিফুল বেগম | সদস্য |
৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড | মোছাঃ ছালেহা বেগম সদস্য | সদস্য |
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- জমিদার বাড়ী
অর্থনীতি
সম্পাদনাভাষা সংস্কৃতি
সম্পাদনাউল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "pailgaonup.sunamganj.gov.bd"। ১২ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২১।
- ↑ Khan, Dr. Mohammad Ibrahim। "Functioning of Local Government (Union Parishad): Legal and Practical Constraints" (পিডিএফ)। Democracywatch। ১৭ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "বাংলাদেশ | জাতীয় তথ্য বাতায়ন | গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার"।
- ↑ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত উত্তরাংশ, তৃতীয় ভাগ, পঞ্চম খণ্ড, দ্বিতীয় অধ্যায়, অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি; প্রকাশক: মোস্তফা সেলিম; উৎস প্রকাশন, ২০০৪, প্রবন্ধ -পাইল গাও'র জমিদার বংশ