পাইকিয়াসোথি সারাভানামুত্তু
পাইকিয়াসোথি সারাভানামুত্তু (তামিল: பாக்கியசோதி சரவணமுத்து; জন্ম: ২৬ অক্টোবর, ১৮৯২ - মৃত্যু: ২৮ মে, ১৯৫০) সিলনের বিশিষ্ট সরকারি চাকুরে ছিলেন। এছাড়াও ক্রীড়া প্রশাসক হিসেবে বেশ ভূমিকা রাখেন পি. সারা নামে পরিচিত সারাভানামুত্তু।
পাইকিয়াসোথি সারাভানামুত্তু | |
---|---|
பாக்கியசோதி சரவணமுத்து | |
জন্ম | ২৬ অক্টোবর ১৮৯২ |
মৃত্যু | ২৮ মে ১৯৫০ | (বয়স ৫৭)
মাতৃশিক্ষায়তন | লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | সরকারি চাকুরে |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনা২৬ অক্টোবর, ১৮৯২ তারিখে সারাভানামুত্তুর জন্ম।[১] সিলনের কলম্বো এলাকায় ভেথার্নিয়াম সারাভানামুত্তু নামক এক চিকিৎসকের সন্তান তিনি।[১] তার মায়ের পরিবার উত্তর সিলনের ভাদ্দুকোড্ডাই থেকে এসেছে।[২] পিতামহ ভেথার্নিয়াম উত্তর সিলনের ছোট্ট শহর চুন্নাকাম শহরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।[৩]
সারাভানামুত্তুর আরও পাঁচ ভাই ছিল। তারা হচ্ছেন রত্নাসোথি, নানাসোথি, থার্মাসোথি, মানিকাসোথি ও সপ্তরত্নাজ্যোতি।[১] মাউন্ট লাভিনিয়ার এস. টমাস কলেজে অধ্যয়ন করেন। সেখানে ভিক্টোরিয়া স্বর্ণপদকসহ অনেকগুলো পুরস্কার লাভ করেন।[১][২] বিদ্যালয়ের অ্যাথলেটিক্স, ক্রিকেট ও ফুটবল দলেরও সদস্য ছিলেন তিনি।[২] বিদ্যালয় জীবন শেষ করে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ডিগ্রী লাভ করেন।[১][২] এছাড়াও সংক্ষিপ্তকালের জন্য কলম্বোর রয়্যাল কলেজে অধ্যয়ন করেন।[২] এরপর ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে যোগদানের উদ্দেশ্যে ১৯১৫ সালে কেমব্রিজের ফিটজউইলিয়াম কলেজে যোগ দেন। কিন্তু পারিবারিক কারণে কোর্স শেষ করার পূর্বেই তাকে ফিরে আসতে হয়।[২][৩]
কর্মজীবন
সম্পাদনা১৯৪৬ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন ও রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।[২] ১৯৪৭ সালে সংসদীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দক্ষিণ কলম্বোয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কিন্তু নির্বাচিত হতে ব্যর্থ হন।[৪]
সারাভানামুত্তু তামিল ইউনিয়ন ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাবের উন্নয়ন যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন যা তাকে স্মরণীয় করে রেখেছে।[১] ১৯৪৮ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।[৫] ক্লাবের নতুন মাঠ কলম্বো ওভাল নির্মাণেও বেশ সহায়তা করেন। ১৯৭৭ সালে তার সম্মানে এ মাঠের নাম পরিবর্তন করে পাইকিয়াসোথি সারাভানামুত্তু স্টেডিয়াম রাখা হয়।[১][২][৩] ১৯৪৯ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত আন্তঃ ক্লাব ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হিসেবে পি. সারা ট্রফির প্রচলন ঘটানো হয়।[১] ১৯৩৭ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত সিলন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ছিলেন ও সিলন ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রথম সভাপতি ছিলেন তিনি।[২][৩]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাপুত্তালামের ক্রাউন প্রক্টর মুত্তুসুমারু’র কন্যা সিবিল থাঙ্গামের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।[১] বাস্কি ও চান্দ্রি নামের দুই পুত্র ও শকুন্তলা নাম্নী এক কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল।[১] তন্মধ্যে, পাইকিয়াসোথি নামে বাস্কি’র পুত্র সেন্টার ফর পলিসি অল্টারনেটিভসের প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন।[২] ২৮ মে, ১৯৫০ তারিখে তার দেহাবসান ঘটে।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ Arumugam, S. (১৯৯৭)। Dictionary of Biography of the Tamils of Ceylon। পৃষ্ঠা 181।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট "He gave of his best, but died a disillusioned man"। The Sunday Times (Sri Lanka)। ২৮ মে ২০০০।
- ↑ ক খ গ ঘ Billimoria, Marc (১৩ আগস্ট ২০০৪)। "The Saravanamuttu Prize at S. Thomas' College"। Daily News (Sri Lanka)।
- ↑ "Result of Parliamentary General Election 1947" (পিডিএফ)। Department of Elections, Sri Lanka। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "Presidents"। Tamil Union Cricket and Athletic Club। ২০১৭-০১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-২০।