পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন
পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন।[২] পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন একটি সীমান্তবর্তী হওয়ায় অনুন্নত একটি এলাকা। এটি ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
পশ্চিম ছাতনাই | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
ডাকনাম: পশ্চিম ছাতনাই ইউপি | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | নীলফামারী জেলা |
উপজেলা | ডিমলা উপজেলা |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৬০ |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | আনোয়ারুল হক সরকার |
উচ্চতা[১] | ৫৫ মিটার (১৮০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২২,৮১৪ |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫৩৫১ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান
সম্পাদনাপশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের উত্তর ও পশ্চিমে ভারত, পূর্বে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন এবং দক্ষিণে বালাপাড়া ইউনিয়ন অবস্থিত। এ ইউনিয়নের পূর্ব পাশ দিয়ে তিস্তা নদী এবং পশ্চিম পাশ দিয়ে বাংলাদেশ - ভারত সীমান্ত দিয়ে বুড়ী তিস্তা নদী বহমান। এই ইউনিয়ন ডিমলা থেকে উত্তরে সীমান্তে।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাপশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ৪টি মৌজা/গ্রাম নিয়ে গঠিত। মৌজা সমুহ ৯টি প্রশাসনিক ওয়ার্ডে বিভক্ত।
- গ্রামসমূহ-
- পশ্চিম ছাতনাই
- ঠাকুরগঞ্জ
- মধ্য ছাতনাই
- কালীগঞ্জ
ইতিহাস
সম্পাদনাপশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন বাংলাদেশের একটি সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের পশ্চিম এবং উত্তর দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। ইউনিয়নের পশ্চিম দিকে ভারত হতে বয়ে আসা নদীটি বুড়ি তিস্তা নামধারণ করে একেবেকে বয়ে গেছে এবং ইউনিয়নের সর্বউত্তরে ভারত থেকে বের হয়ে আসা নদীটির নাম বড় তিস্তা। এই বড় তিস্তা ভারত এবং পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের জন্য সর্বগ্রাসী বড় নদী। বর্ষাকালে নদীভাঙ্গন ঘটলে এ ইউনিয়নের অনেকাংশ বন্যার দুরাবস্থায় ভুগত। এজন্য ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ প্রচেষ্টাতে যৌথবাঁধ নির্মিত হয়। উপমহাদেশীয় শাসনব্যবস্থার পরবর্তীকালে পাক-ভারত উপমহাদেশের সর্বত্র ব্যবসায়িক লেনদেন, সংস্কৃতি এবং বিভিন্ন লোকাঁচার ঘটত এ ইউনিয়নে। অর্থাৎ এ ইউনিয়নের সাথে পার্শ্ববর্তী ভারতের গভীর সম্পর্ক ছিল। তাছাড়াও সে সময় এ ইউনিয়নে হিন্দুই ছিল বেশি। হিন্দুস্থান এবং পাকিস্থানে বিভক্ত হওয়ার পর এ ইউনিয়নে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। স্বয়সম্পত্তি এবং আবাসস্থলের বিনিময়ের মাধ্যমে সে বিভেদের সমাধান করে। ফলে এ ইউনিয়নে মুসলমানদের আগমন ঘটে। পাকভারতীয় ও ব্রিটিশ শাসনামলের আগে এ ইউনিয়নে ছাতন গাছ বেশি ছিল বলে ইউনিয়নের নামকরণ করা হয়েছে ছাতনাই।
জনসংখ্যা
সম্পাদনাপশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের জনসংখ্যা উপাত্ত[৩]
- জনসংখ্যার ঘনত্বঃ ৮৪১ জন/বর্গকিলোমিটার
- মোট জনসংখ্যাঃ ২২৮১৪ জন
- পশ্চিম ছাতনাইঃ ৫২৫২ জন
- ঠাকুরগঞ্জঃ ৪৭২৬ জন
- কালিগঞ্জঃ ৭১১২ জন
- মধ্যছাতনাইঃ ৫৭২৪ জন
- নারীঃ
- পুরুষঃ
শিক্ষা
সম্পাদনাইউনিয়নে ৩টি কলেজ, ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি দাখিল মাদ্রাসা, ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহ-
- ছাতনাই উচ্চ বিদ্যালয়
- কালীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়
- উত্তর ছাতনাই কেরামতিয়া দাখিল মাদ্রাসা
- ছাতনাই মহাবিদ্যালয়
- ছাতনাই মহিলা মহাবিদ্যালয়
- জ্যোতনবীনগঞ্জ সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়
- কালীগঞ্জ ওয়াবদা চৌপথী সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়
- ঠাকুরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কালীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
অর্থনীতি
সম্পাদনাকৃষিঃ-
ভুট্টা, ধান, পাট, মরিচ
ইউনিয়নের হাট ও বাজার-
- ঠাকুরগঞ্জ
- কালীগঞ্জ
- আসাদগঞ্জ
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে তিস্তা যৌথ বাঁধ (জিরো পয়েন্ট)
- কালীগঞ্জ উত্তর সিমান্ত পাড়া
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Geographic coordinates of Dimla, Bangladesh" (ইংরেজি ভাষায়)। DATEANDTIME.INFO। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "জাতীয় তথ্য বাতায়ন"। পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন।
- ↑ http://www.bbs.gov.bd/Census2011/Rangpur/Nilphamari/Nilphamari_C01.pdf[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]