পরমহংস মণ্ডলী একটি গোপন সামাজিক-ধর্মীয় সংগঠন, যা ১৮৪৯ সালে বোম্বেতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ১৮৪৪ সালে সুরাটে প্রতিষ্টিত মানব ধর্ম সভার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। দুর্গারাম মেহতাজি, দাডোবা পান্ডুরং এবং তার বন্ধুদের একটি দল মিলে সংগঠনটি শুরু করেছিলেন। দাডোবা পান্ডুরং মানবধর্ম সভা ত্যাগ করার পর এই সংগঠনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ১৮৪৮ সালে মানব ধর্ম সভার জন্য ধর্ম বিবেচন এবং পরমহংস মণ্ডলীর জন্য "পরমহংসিক ব্রাহ্ম্যধর্ম"-এ তার নীতির রূপরেখা দেন।[১][২] এটি একটি গোপন সমাজ হিসাবে কর্মকান্ড চালাতো এবং বিশ্বাস করা হয় যে ১৮৬০ সালে এর অস্তিত্ব প্রকাশিত হওয়ার ফলে সংগঠনটির বিলুপ্তি ত্বরান্বিত করেছিল।[২]

এটি ১৮৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মহারাষ্ট্রের প্রথম সামাজিক-ধর্মীয় সংগঠন। এই মন্ডলীর প্রতিষ্ঠাতারা একেশ্বরে বিশ্বাস করতেন। তারা মূলত জাতপাতের নিয়ম ভাঙতে আগ্রহী ছিলেন। তাদের সভায় নিম্নবর্ণের লোকদের রান্না করা খাবার সদস্যরা গ্রহণ করত। মন্ডলী নারী শিক্ষা এবং বিধবা পুনর্বিবাহেরও পক্ষে ছিল।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Socio religious reform movements in India,(ইংরেজি ভাষায়) কেনেথ ডাব্লিউ জোন্স ও গরডন জনসন, পৃষ্ঠা নং ১৩৯-১৪০, আইএসবিএন ০-৫২১-২৪৯৮৬-৪
  2. From Plassey to Partition (ইংরেজি ভাষায়); শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়,পৃষ্ঠা ১৫৩, আইএসবিএন ৮১-২৫০-২৫৯৬-০
  3. ও'হানলন, রোজালিন্ড (২০০২-০৮-২২)। Caste, Conflict and Ideology: Mahatma Jotirao Phule and Low Caste Protest in Nineteenth-Century Western India (ইংরেজি ভাষায়)। ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। আইএসবিএন 978-0-521-52308-0। ২০২২-০৮-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০৩