পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া
পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআই (PFI) হল ভারতের একটি ইসলামি রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠন।[৫][১] এটি ভারতে ক্রমবর্ধমান মুসলিমবিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলির প্রতিক্রিয়ায় ২০০৬ সালে গঠিত হয়।[৫] ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (UAPA) অধীনে সংগঠনটিকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।[৬] [৭]
নীতিবাক্য | নয়া কারওয়ান: নয়া হিন্দুস্তান |
---|---|
পূর্বসূরী | ন্যাশনাল ডেভলমেন্ট ফ্রন্ট |
গঠিত | ২২ নভেম্বর ২০০৬ |
এর একত্রীকরণ | কর্ণাটাকা ফোরাম ফর ডিগনিটি, মানিথা নীথি পসারই |
ধরন | ইসলামি রাজনীতি ও সমাজ সেবামূলক সংগঠন[১][২] |
উদ্দেশ্য | মুসলিম রাজনৈতিক সংহতি[৩] হিন্দুত্ববাদের প্রতিক্রিয়ায়[৪] |
সদরদপ্তর | নয়া দিল্লি |
যে অঞ্চলে | ভারত |
চেয়ারম্যান | ও. এম. এ. আব্দুস সালাম |
ভাইস চেয়ারম্যান | ই. এম. আব্দুর রহমান |
জেনারেল সেক্রেটারি | আনিস আহমেদ |
ওয়েবসাইট | www |
মন্তব্য | ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ |
২০০৬ সালে সংগঠনটি কর্ণাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি (KFD) ও ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট (NDF)- এর একীভূতকরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[৫][৮] এটি নিজেকে "ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি নব্য-সামাজিক আন্দোলন" হিসেবে বর্ণনা করে। [৯] সংগঠনটি মুসলিম সংরক্ষণের পক্ষেও কথা বলে।[১০] ২০১২ সালে এটি নিরপরাধ নাগরিকদের আটক করার জন্য UAPA আইনের কথিত ব্যবহারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ পরিচালনা করে।[১১] [১২]
পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে বিজেপি শাসিত ভারতের সরকার প্রায়ই দেশবিরোধী ও বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ আনে। ২০১২ সালে কেরালা সরকার দাবি করে যে, এটি নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিমি), ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের একটি সহযোগী সংগঠনের পুনরুত্থান।[১৩][১৪][১৫] তবে সংগঠনটি সর্বদা নিজেকে ভারতীয় সংবিধান মতে অধিকার আদায়ে আন্দোলনকারী একটি সংগঠন হিসেবে বর্ণনা করে।
পিএফআই প্রায়ই কেরালা ও কর্ণাটকের কিছু অংশে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সাথে সহিংস সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।[১৬] এর বিরোধীরা অভিযোগ করে যে, পপুলার ফ্রন্টের তালেবান ও আল-কায়েদার মতো জিহাদি সংগঠনগুলির সাথে [১৭] সম্পর্ক রয়েছে। তবে সংগঠনটি এমন অভিযোগ সর্বদা প্রত্যাখ্যান করে। [৮] সমাজের বিভিন্ন বিভাগকে পূরণ করার জন্য ন্যাশনাল উইমেনস ফ্রন্ট (NWF) ও ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (CFI) ছাড়াও সংগঠনটির বিভিন্ন শাখা রয়েছে। [১৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Emmerich 2019।
- ↑ Santhosh ও Paleri 2021, p. 574: "Contrary to its claims of being non-religious in character, the PFI is often found to deploy radical Islamic identity for grassroot mobilization and has been accused of engaging in a series of violent incidents with specific religious motifs."।
- ↑ Santhosh ও Paleri 2021, পৃ. 565।
- ↑ Santhosh ও Paleri 2021, পৃ. 573–574।
- ↑ ক খ গ Santhosh ও Paleri 2021।
- ↑ Das, Krishna N. (২০২২-০৯-২৮)। "India bans Islamic group PFI, accuses it of 'terrorism'"। Reuters (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২৮।
- ↑ "Centre declares PFI 'unlawful association' for 5 years"। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ ক খ Kumar, Narender (২০১৯)। Politics and Religion in India (ইংরেজি ভাষায়)। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 114। আইএসবিএন 978-1-000-69147-4।
- ↑ "Popular Front of India denies role in terror attacks"। The Times of India। ২৮ মার্চ ২০১৫। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "National campaign for Muslim reservation launched in Pune"। Newswala। ২০১০-০২-০৩। ১৮ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Popular Front of India plans month-long campaign to highlight plight of jailed Muslims"। The Times of India। ২০১২-০৭-১১। ২০১৩-১০-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Popular Front's campaign starts"। The Times of India। ২০১২-১০-১৩। ২০১৩-১০-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "PFI is SIMI in another form, Kerala govt tells HC"। The Indian Express। ২০১২-০৭-২৬। ১৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১২।
- ↑ "Ban on 'Freedom Parades' by PFI activists upheld"। Zee News। ২ আগস্ট ২০১২। ১১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ "PFI is SIMI in another form, Kerala govt tells HC - Indian Express"। The Indian Express। ২০১২-০৭-২৬। ১৩ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ "popular front of india: Latest News, Videos and Photos of popular front of india | Times of India"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। ২ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-০২।
Over the past years, Kerala and Karnataka have often witnessed violent clashes between workers of the Popular Front of India and the Sangh Parivar.
- ↑ Khurshid, Salman; Luthra, Sidharth (২০২০-০৬-১১)। Judicial Review: Process, Powers and Problems: Process, Powers, and Problems (Essays in Honour of Upendra Baxi) (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-1-108-83603-6।
- ↑ "Cops manhandled women during PFI raids: NWF"। The New Indian Express। ১৬ মে ২০১২। ৩০ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৫।
- ↑ Dhar, Sujoy