নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ

নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ চট্টগ্রামের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য। তিনি বিশ্ববিদ্যলয়টির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের একজন অধ্যাপক ছিলেন। ২০১০ সালের ৬ নভেম্বর তার উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয়।[১] তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের একজন সদস্য।[২]

নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল এবং ডিন
কাজের মেয়াদ
১৯৯৬ – ২০০৬
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
কাজের মেয়াদ
২০০৬ – ২০১০
পূর্বসূরীঅফিস সৃষ্ট
উত্তরসূরীআবু সালেহ মাহফুজুল বারি
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
প্রাক্তন শিক্ষার্থী
  • বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (স্নাতক)(স্নাতকোত্তর)
  • এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় (স্নাতকোত্তর)
  • সাররে বিশ্ববিদ্যালয় (পিএইচডি)
  • পোস্ট ডক্টরাল ট্রেইনিং (জাপান)
যে জন্য পরিচিতওয়ান হেলথ বাংলাদেশের জাতীয় সমন্বয়কারী, অধ্যাপক, গবেষক
ধর্মহিন্দুধর্ম
নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ

শিক্ষা সম্পাদনা

১৯৭৬ সালে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিনের ওপর স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৭ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। এছাড়া ট্রপিকাল ভেটেরিনারি মেডিসিনের ওপর ১৯৮৩ সালে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৯২ সালে এনিম্যাল ভাইরোলজি নিয়ে সাররে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। ১৯৯২ সালে জাপান থেকে পোস্ট ডক্টরাল ট্রেইনিং করেন।[৩]

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ লাইভস্টোক সার্ভিসে তিনি যোগ দেন। সেখানে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি ভেটেরিনারি সার্জন ও সায়েন্টিফিক অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিয়ার হিসেবে বাংলাদেশ লাইভস্টোক রিসার্চ ইনস্টিটিউটে যোগ দেন। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সেখানে ছিলেন। এরপর যোগ দেন নতুন প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি কলেজে। তখন এটি ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে একটি সরকারী ভেটেরিনারি কলেজ। সেখানে তিনি প্রিন্সিপাল ও ডিন হিসেবে হিসেবে যোগ দেন। ২০০৬ সালে কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়। তিনি নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হন। এবং ভেটেরিনারি অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি ও পাবলিক হেলথ বিভাগের একজন অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি অধ্যাপক হিসেবে পড়িয়েছেন। এরপর অবসর গ্রহণ করেন। ২০১১ সাল থেকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ওয়ান হেলথ ও ভেটেরিনারি এডুকেশনের টেকনিকাল এডভাইসরের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।[৪] ওয়ান হেলথ, বাংলাদেশে শুরু হওয়ার সময় থেকেই তিনি এর সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি ওয়ান হেলথ বাংলাদেশের জাতীয় সমন্বয়কারী।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "উপাচার্যের দায়িত্ব শেষে অধ্যাপক পদে নীতিশ চন্দ্র"। BDnews24.com। ৬ নভেম্বর ২০১০। ২৭ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০২০ 
  2. "কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি"kib.org। বাংলাদেশ কৃষিবীদ ইন্সটিটিউশন। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০২০ 
  3. "CIVME Council Members"CIVME। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০২০ 
  4. "Dr Nitish Debnath"Chatham House। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২০ 
  5. "Nitish Debnath, Veterinarian and animal virologist"OneHealthPoultry। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২০