নিরুপম সেন
নিরুপম সেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) দলের একজন নেতা ছিলেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
নিরুপম সেন | |
|---|---|
| শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ সরকার | |
| কাজের মেয়াদ ২০০১ - ২০১১ | |
| বিধায়ক | |
| কাজের মেয়াদ ১৯৮৭ - ১৯৯১ | |
| পূর্বসূরী | কৌস্তুভ রায় |
| উত্তরসূরী | শ্যামাপ্রসাদ বোস |
| সংসদীয় এলাকা | বর্ধমান দক্ষিণ |
| বিধায়ক | |
| কাজের মেয়াদ ২০০১ - ২০১১ | |
| পূর্বসূরী | শ্যামাপ্রসাদ বোস |
| উত্তরসূরী | রবীরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় |
| সংসদীয় এলাকা | বর্ধমান দক্ষিণ |
| ব্যক্তিগত বিবরণ | |
| জন্ম | ৮ই অক্টোবর, ১৯৪৬ বর্ধমান জেলা, বাংলা প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত |
| মৃত্যু | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিধাননগর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
| রাজনৈতিক দল | ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) |
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনানিরুপম সেন ছাত্রাবস্থাতেই ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) দলের সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৬৬ সালে নিরুপম সেন তাঁর দলের ছাত্র সংগঠন ভারতের ছাত্র ফেডারেশন এর জেলা কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হন। একজন শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করলেও ১৯৬৮ সাল থেকে নিরুপম সেন দলের সর্বক্ষণের কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন।[১]
১৯৮৯ থেকে ১৯৯৫ অবধি নিরুপম সেন জেলা কমিটির সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৭ নির্বাচনে তিনি প্রথম বার বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন। তারপর ১৯৯৮ সালে তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ২০০৮ সালে পলিটব্যুরোর সদস্য হন। ২০০১, এবং ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নিরুপম সেন আবার পরপর দুবার বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন।[২]
বিতর্ক
সম্পাদনা২০০৬ সালের শেষের দিকে, সিঙ্গুর টাটা ন্যানো বিতর্ক নিয়ে হুগলিতে জমি অধিগ্রহণ আন্দোলন সরকারি শাসনের উপর প্রভাব ফেলতে শুরু করে।[৩] জোরপূর্বক জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শেষ পর্যন্ত সরকারের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। নিরুপম সেন দলের ভিতরে এবং বাইরে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হন।[৪] জমি অধিগ্রহণের সমস্যা ছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গে যুক্তফ্রন্ট সরকারের পতনের পর ১৯৭০ সালের মার্চ মাসে সাঁইবাড়ির ঘটনায়ও তার নাম উঠেছিল।[৫][৬][৭][৮][৯]
মৃত্যু
সম্পাদনা২০১৩ সাল থেকেই নিরুপম সেন বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। অসুস্থতার কারণবশত নিরুপম সেন তাঁর দলের বিশাখাপত্তনম পার্টি কংগ্রেস, ২০১৫ এর পর পলিটব্যুরো থেকে অব্যাহতি নেন। ২০১৮ সালের ২৪শে ডিসেম্বর বিধাননগরে কার্ডিয়াক অ্যাট্যাকে নিরুপম সেন মারা যান।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Nirupam Sen (1946-2018): The Mild-Mannered Communist Reformist"। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Nirupam Sen, veteran CPI(M) leader, passes away"। The Hindu। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Veteran CPI(M) Leader Nirupam Sen Passes Away"। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "CPM's Nirupam Sen, Architect Of Bengal's Industrial Drive, Dies Age 72"। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Who was Nirupam Sen?"। financialexpress.com। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Demand for justice for victims of Burdwan Sainbari"। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Victims recall Sainbari horror"। timesofindia.indiatimes.com। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Sainbari Killings Return to Haunt CPI(M)"। outlookindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ https://wikieducator.org/Burdwan_Sainbari_Case