নরসিংহগুপ্ত
নরসিংহগুপ্ত (গুপ্ত লিপি :
না-র-সি-নহ-গু-পতা)[২] বালাদিত্য ছিলেন উত্তর ভারতের গুপ্ত সাম্রাজ্যের একজন সম্রাট। তিনি ছিলেন পুরুগুপ্তের এবং রানী পদ্মাবতীর পুত্র এবং সম্ভবত বুধগুপ্তের উত্তরসূরি।
| নরসিংহগুপ্ত | |
|---|---|
 | |
| ১২ তম গুপ্ত সাম্রাজ্য | |
| রাজত্ব | আনু. ৪৯৫ – আনু. ৫৩০ খ্রিষ্টাব্দ |
| পূর্বসূরি | বুদ্ধগুপ্ত |
| উত্তরসূরি | তৃতীয় কুমারগুপ্ত |
| দাম্পত্য সঙ্গী | শ্রীমতীদেবী |
| পিতা | পুরুগুপ্ত |
| মাতা | পদ্মাবতী (পদ্মাবতীগুপ্ত) |
| ধর্ম | হিন্দুধর্ম |
হুনদের পরাজয় সম্পাদনা
চীনা সন্ন্যাসী জুয়ানজাং এর মতে, নরসিংহগুপ্তকে হুনা রাজা মিহিরাকুলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয়েছিল।[৩][৪]
চীনা সন্ন্যাসী জুয়ানজাং -এর মতে, মালওয়ার যশোধর্মনের সাথে বালাদিত্যকে উত্তর ভারতের সমভূমি থেকে আলচন হুনদের চালানোর কৃতিত্ব দেওয়া হয়।[৫] একটি কাল্পনিক বিবরণে, জুয়ানজাং, যিনি এক শতাব্দী পরে ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে লিখেছিলেন, জানিয়েছেন যে মিহিরাকুলা একটি দ্বীপ ছাড়া সমস্ত ভারত জয় করেছিলেন যেখানে মগধের রাজা বলদিত্য (যিনি গুপ্ত শাসক নরসিংহগুপ্ত বালাদিত্য হতে পারেন) আশ্রয় নিয়েছিলেন, কিন্তু সেই মিহিরাকুলা ছিল। অবশেষে ভারতীয় রাজার হাতে বন্দী, যিনি পরে তার জীবন রক্ষা করেছিলেন। মিহিরাকুলা তখন সিংহাসন পুনরুদ্ধার করতে কাশ্মীরে ফিরে আসেন বলে জানা যায়।[৬] [৭]
মালওয়ায় নরসিংহগুপ্তের গভর্নর ভানুগুপ্তও এই সংঘর্ষে জড়িত থাকতে পারেন।
বৌদ্ধধর্ম সম্পাদনা
গুপ্তরা ঐতিহ্যগতভাবে হিন্দু রাজবংশ ছিল।[৮] নরসিংহগুপ্ত বালাদিত্য যদিও সমসাময়িক লেখক পরমার্থের মতে, মহাযান দার্শনিক, বাসুবন্ধুর প্রভাবে বড় হয়েছিলেন।[৮] তিনি নালন্দায় একটি সংহারাম এবং একটি ৩০০ feet[রূপান্তর: অনির্ধারিত একক] নির্মাণ করেছিলেন। এটি একটি বুদ্ধ মূর্তি সহ উচ্চ বিহার যার মধ্যে, "বোধিবৃক্ষের নীচে নির্মিত মহান বিহার" এর সাদৃশ্য বিদ্যমান। মঞ্জুশ্রীমুলকল্প (আনুমানিক ৮০০ খ্রি.) অনুসারে, রাজা নরসিংহগুপ্ত একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হয়েছিলেন এবং ধ্যানের মাধ্যমে পৃথিবী ত্যাগ করেছিলেন।[৮]
চীনা সন্ন্যাসী জুয়ানজাং আরও উল্লেখ করেছেন যে বালাদিত্যের পুত্র, বজ্র, যিনি একটি সংহারাম পরিচালনা করেছিলেন, "বিশ্বাসে দৃঢ় হৃদয়ের অধিকারী"।[৯]:৪৫[১০]:৩৩০
নালন্দায় তার মাটির সিলিং পাওয়া গেছে। নালন্দা সীলমোহরে উল্লিখিত তাঁর রাণীর নাম শ্রীমিত্রাদেবী। তিনি তার পুত্র তৃতীয় কুমারগুপ্তের স্থলাভিষিক্ত হন।
মুদ্রা সম্পাদনা
-
নরসিংহগুপ্ত বালাদিত্যের মুদ্রা, আনুমানিক ৪৯৫-৫৩০ খ্রিষ্টাব্দ। -
নরসিংহগুপ্তের নালন্দা মাটির মোহর। -
নরসিংহগুপ্ত বালাদিত্যের মতো সমসাময়িক গুপ্ত মুদ্রা থেকে অনুপ্রাণিত সমসাময়িক আলচন হুন রাজা তোরামনার একটি স্বর্ণমুদ্রা যার বিপরীতে লক্ষ্মী রয়েছে (প্রায় ৪৯০-৫১৫)।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ CNG Coins
- ↑ ক খ Allen, John (১৯১৪)। Catalogue of the coins of the Gupta dynasties। পৃষ্ঠা 137।
- ↑ "According to Hiuen-tsang, Narasimhagupta was forced to the humiliating position of paying tribute to Mihirakula." Sen, Sailendra Nath (১৯৯৯)। Ancient Indian History and Civilization (ইংরেজি ভাষায়)। New Age International। পৃষ্ঠা 221। আইএসবিএন 9788122411980।
- ↑ Indian History (ইংরেজি ভাষায়)। Tata McGraw-Hill Education। পৃষ্ঠা 396। আইএসবিএন 9781259063237।
- ↑ Malwa Through the Ages, from the Earliest Times to 1305 A.D, Kailash Chand Jain p.249
- ↑ Rise and Fall of the Imperial Guptas by Ashvini Agrawal p.245
- ↑ Early Buddhist Transmission and Trade Networks by Jason Neelis p.168
- ↑ ক খ গ A History of Ancient and Early Medieval India by Upinder Singh p.521
- ↑ Sankalia, Hasmukhlal Dhirajlal (১৯৩৪)। The University of Nālandā। B. G. Paul & co.।
- ↑ Sukumar Dutt (১৯৮৮)। Buddhist Monks And Monasteries of India: Their History And Contribution To Indian Culture। George Allen and Unwin Ltd, London। আইএসবিএন 81-208-0498-8।
সূত্র সম্পাদনা
- Mookerji, Radhakumud (১৯৯৫)। The Gupta Empire। Motilal Banarsidass। পৃষ্ঠা 119। আইএসবিএন 9788120804401।