নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ বাংলাদেশের তথা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার একটি শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে অবস্থিত।

নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ
প্রাতিষ্ঠানিক লোগো
ধরনসরকারি কলেজ
স্থাপিত১৯৫৫; ৬৯ বছর আগে (1955)
ইআইআইএন১২৪৫৯৩ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
অধ্যক্ষমহা: তৌহিদুল ইসলাম
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
১৫
শিক্ষার্থী৭০৩৫জন+[]
স্নাতকবিএ (পাস), বিএসএস (পাস), বিএসসি (পাস), বিবিএস (পাস), বিএ (সম্মান), বিএসএস (সম্মান), বিএসসি (সম্মান), বিবিএস (সম্মান)
অন্যান্য শিক্ষার্থী
উচ্চ মাধ্যমিক
ঠিকানা
কাঁঠালবাগিচা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা, ৬৩০০
, ,
পোশাকের রঙ   
অধিভুক্তিজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েবসাইটnawabganjgovcollege.edu.bd
মানচিত্র

১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দ এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার এটি একটি সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ। এই কলেজ প্রতিষ্ঠাকালে জনাব মোঃ মনিমুল হককে অস্থায়ী অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাস থেকে হরিমোহন ইন্সটিটিউশনে প্রাতঃকালীন শিফটে কলেজের ক্লাস শুরু হয়। অল্প দিনেই পাওয়া যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাফিলিয়েশন। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তৎকালীন সরকার কর্তৃক মহকুমা শহরের কলেজগুলোকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মে নবাবগঞ্জ কলেজ জাতীয়করণ করা হয়। জাতীয়করণের পর নবাবগঞ্জ কলেজের নাম হয় “নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ ”। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে ৩টি বিষয়ে অনার্স খোলার মধ্য দিয়ে উন্মোচন ঘটে নতুন দিগন্তের। বর্তমানে ১৪টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু এবং ৪টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে।

ইতিহাস ও পটভূমি

সম্পাদনা

কলেজ প্রতিষ্ঠার এই মহৎ চিন্তা মাথায় নিয়ে ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসের এক শুভদিনে এলাকার বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গ তৎকালীন হরিমোহন ইন্সটিটিউশন মাঠে এক সাধারণ সভায় মিলিত হন। মহকুমা প্রশাসক জনাব মোঃ আতিকুর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেই সভাতেই নবাবগঞ্জ শহরে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং শতাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত হয় একটি ওয়ার্কিং কমিটি।

উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন এ্যাডভোকেট মোঃ নজমুল হক (প্রয়াত), (প্রয়াত) এ্যাডভোকেট মির্জা মোঃ কাইউম, (প্রয়াত) এ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, (প্রয়াত) এ্যাডভোকেট মোঃ তোবারক হোসেন, নগেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী, (প্রয়াত) বিমলরঞ্জন সিংহ, এ্যাডভোকেট বাবু অনিলেশ চন্দ্র মৌলিক ওরফে নিতু বাবু, (প্রয়াত) আব্দুল গফুর বিশ্বাস, (প্রয়াত) আব্দুল লতিফ হোসেন, (প্রয়াত) আবুল ফজল খাঁ, (প্রয়াত) রমেশ চন্দ্র বাগচী, (প্রয়াত) যোবদুল মোক্তার, (প্রয়াত) এ্যাডভোকেট সোলায়মান, (প্রয়াত) এ্যাডভোকেট রইসুদ্দীন আহম্মেদ, (প্রয়াত) কবিরাজ আলফাজ উদ্দীন, (প্রয়াত) মোঃ ফিরোজ কবির, (প্রয়াত) এ্যাডভোকেট তাহের উদ্দীন, (প্রয়াত) ডা. তারাপদ সাহা, (প্রয়াত) ডা. আইয়ুব আলী, (প্রয়াত) হাজী আব্দুর রাজ্জাক, (প্রয়াত) মোঃ আলতাফ হোসেন, (প্রয়াত) সাদমানী মণ্ডল, এ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, আব্দুস সাত্তার, সাতকড়ি বাবু এবং আরো অনেকে।

ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক নামোশংকরবাটী গ্রামের জনাব মোঃ মনিমুল হককে অস্থায়ী অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাস থেকে হরিমোহন ইন্সটিটিউশনে প্রাতঃকালীন শিফ্‌টে কলেজের ক্লাস শুরু হয়। ইংরেজি, বাংলা, যুক্তিবিদ্যা, পৌরনীতি, ইসলামের ইতিহাস ও আরবি বিষয়সহ কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। অল্প দিনেই পাওয়া যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাফিলিয়েশন।

জাতীয়করণ স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তৎকালীন সরকার কর্তৃক মহকুমা শহরের কলেজগুলোকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মে নবাবগঞ্জ কলেজ জাতীয়করণ করা হয়। জাতীয়করণের পর নবাবগঞ্জ কলেজের নাম হয় “নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ ”।

অনার্স কোর্স ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে ৩টি বিষয়ে অনার্স খোলার মধ্য দিয়ে উন্মোচন ঘটে নতুন দিগন্তের। বর্তমানে ১৪টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু এবং ৪টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু আছে, যা কলেজের সার্বিক অগ্রগতির সাক্ষর বহন করে।[]

ভবন সমূহ

সম্পাদনা
  • প্রশাসনিক ভবন-১টি
  • একাডেমিক ভবন-৪টি
  • লাইব্রেরী ভবন-১টি
  • শিক্ষক মিলনায়তন-১টি[]

আবাসিক হলসমূহ

সম্পাদনা
  • ছাত্র হোস্টেল-২টি
  • ছাত্রী হোস্টেল-২টি[]

অন্যান্য সুবিধাসমূহ

সম্পাদনা
  • গন্থাগার
  • সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার
  • টিচার্স কোয়ার্টার
  • বিএনসিসি ভবন
  • রোভার ডেন
  • ছাত্র কমনরুম
  • ছাত্রী কমনরুম
  • অডিটোরিয়াম
  • সভাকক্ষ
  • পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
  • কেন্দ্রীয় মসজিদ
  • শহীদ মিনার
  • বোটানিক্যাল গার্ডেন
  • জিমনেসিয়াম
  • গ্যাস প্লান্ট
  • সাইকেল গ্যারেজ
  • খেলার মাঠ
  • কলেজ ক্যান্টিন
  • হোস্টেল ক্যান্টিন
  • ভাণ্ডার কক্ষ
  • ছাত্র সংসদ কক্ষ[]

নথিভুক্ত শিক্ষার্থী

সম্পাদনা

অর্নাস মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা-৭০৩৫জন, ডিগ্রী মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা-২৯৫জন, একাদশ/দ্বাদশ মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা-১৭৯৭জন।[]

বর্তমান শিক্ষা পরিষদ

সম্পাদনা

সভাপতি ও অধ্যক্ষ: প্রফেসর ড. শংকর কুমার কুন্ডু, অধ্যাপক, রসায়ন

সহ-সভাপতি ও উপাধ্যক্ষ: প্রফেসর মোঃ রবিউল ইসলাম, অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান

বর্তমান অনুষদ ও বিভাগসমূহ

সম্পাদনা
নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে পঠিত বর্তমান অনুষদ ও বিভাগসমূহ -[]

কলা অনুষদ

  • বাংলা বিভাগ
  • ইংরেজি বিভাগ
  • আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ
  • ইতিহাস বিভাগ
  • ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
  • দর্শন বিভাগ

সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ

  • রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ
  • অর্থনীতি বিভাগ

বিজ্ঞান অনুষদ

  • পদার্থ বিভাগ
  • রসায়ন বিভাগ
  • গণিত বিভাগ
  • প্রাণীবিদ্যা বিভাগ
  • উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ

  • হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
  • ব্যবস্থাপনা বিভাগ

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৬ 
  2. "Brief HistoryHome"। ২৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৬ 
  3. "At a Glance"। ২৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৬ 
  4. "ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা (শ্রেণীভিত্তিক)"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৬