নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান
নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান।[১][২] ৫১৭.৬১ হেক্টর বা ১২৭৮.৪৯ একর জমি নিয়ে এই উদ্যানটি গঠিত।[৩] এই বনে শাল ছাড়াও সেগুন, গামার, কড়ই, বেত, বাঁশ, জামসহ প্রায় ২০ থেকে ৩০ প্রজাতির গাছগাছড়া রয়েছে। প্রানীদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকমের পাখি এবং ভয়ানক প্রানীর মধ্যে রয়েছে শিয়াল যা সন্ধ্যার পর ছাড়া দেখা যায় না।
নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান | |
---|---|
![]() | |
অবস্থান | নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, রংপুর বিভাগ, বাংলাদেশ |
নিকটবর্তী শহর | নবাবগঞ্জ, বিরামপুর,ফুলবাড়ী |
স্থানাঙ্ক | ২৫°২৭′০৬″ উত্তর ৮৯°০৩′১৩″ পূর্ব / ২৫.৪৫১৭৫২৪° উত্তর ৮৯.০৫৩৪৯৪১° পূর্ব |
আয়তন | ৫১৭.৬১ হেক্টর |
অবস্থান
সম্পাদনানবাবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এই জাতীয় উদ্যানের অবস্থান।[৪] তবে নবাবগঞ্জ সদরের জিরো পয়েন্ট থেকে এক কিলোমিটার দুরত্ব হলেও অনেকটা শহরের গা-ঘেষে অবস্থান করছে নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান।
জীববৈচিত্র্য
সম্পাদনাউদ্ভিদ
সম্পাদনানবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানের প্রধান বৃক্ষ শাল ও সেগুন। এছাড়াও আছে গামার, ইউক্যালিপটাস, জাম, আকাশমনি ও নানান শ্রেণির অর্কিড।[৪]
প্রাণী
সম্পাদনাএই উদ্যানের বাসিন্দা বন্যপ্রাণীর মধ্যে আছে বনবিড়াল, বাংলা খেঁকশিয়াল, মেছোবাঘ ও নানান রকম সাপ। নানান জাতের পাখিও আছে এ বনে।[৪] তবে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় খেঁকশিয়াল।
আশুড়ার বিল
সম্পাদনাএ বিলে লাল খলসেসহ বিলুপ্তপ্রায় ৮ প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে। তাছাড়াও আইড়, শোল, গজাড়, টেংরা, বাইম, মাগুর, পুঁটি, চিংড়ি, কইসহ মৌসুমে আরো কিছু বিচিত্র প্রজাতির প্রায় ১২০ মেট্রিক টন মাছ পাওয়া যায়। তবে অত্যন্ত সুস্বাদের জন্য এ বিলে বোয়াল- পাবদা বিখ্যাত।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৮-১৯" (পিডিএফ)। বন অধিদপ্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৭-১৮" (পিডিএফ)। বন অধিদপ্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "Protected Areas of Bangladesh"। Bangladesh Forest Department। ১৭ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৬, ২০১৩।
- ↑ ক খ গ মামুন, মুস্তাফিজ (২০১৫-০৪-১১)। "নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান"। বিডিনিউজ টুয়েন্টফোর ডট কম। ঢাকা: বিডিনিউজ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-০৮।