নজিবুর রহমান

বাংলাদেশের সাবেক সরকারি কর্মকর্তা

নজিবুর রহমান (জন্ম ৩১ ডিসেম্বর ১৯৬০) একজন বাংলাদেশি সাবেক সরকারি কর্মকর্তা যিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ছিলেন।[] তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

নজিবুর রহমান
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
কাজের মেয়াদ
১ জানুয়ারি ২০১৮ – ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী
উত্তরসূরীআহমদ কায়কাউস
সিনিয়র সচিব ও চেয়ারম্যান
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগজাতীয় রাজস্ব বোর্ড
কাজের মেয়াদ
১ জানুয়ারি ২০১৫ – ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
উত্তরসূরীমোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1960-12-31) ৩১ ডিসেম্বর ১৯৬০ (বয়স ৬৩)
ছাতক উপজেলা, সুনামগঞ্জ জেলা
জাতীয়তাবাংলাদেশি
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাসরকারি কর্মকর্তা

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

নজিবুর ১৯৬০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার গণেশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[] তার পিতার নাম হেকিম নজাবত আলী ও মাতার নাম সামছুন্নেসা আলী। শিক্ষা জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থকে ১৯৮২ সালে স্নাতক ও ১৯৮৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[] ১৯৯৯ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন প্রশাসনে স্নাতকোত্তর অর্জন করেন।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

নজিবুর ১৯৮২ সালে প্রশাসন ক্যাডারে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন।[] কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত সিলেটে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর, সহকারী কমিশনার, সহকারী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে, ১৯৮৭-৮৮ সালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ম্যাজিস্ট্রেট, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মায়ানমার ও ভিয়েতনামের বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রথম সচিব, ১৯৯৪-৯৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের তৎকালীন স্পিকার হুমায়ূন রশীদ চৌধুরীর একান্ত সচিব, ২০০১ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব হিসেবে জাতিসংঘের অনুবিভাগে এবং ২০০৪ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ইউএনডিপির একটি প্রকল্পে লিয়েনে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে মার্চ ২০০৫ থেকে ডিসেম্বর ২০০৭ পযর্ন্ত তিনি ইউএনডিপির সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি ও সহকারী আবাসিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[]

এরপর ২০০৮ সালে নজিবুর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ও ২০০৯ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত নিউইয়র্কে জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনে ইকনমিক মিনিস্টার হিসেবেও কাজ করেছেন।[] তিনি ২০১২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ‍্য ব‍্যবস্থাপনা বিভাগ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।[]

বিতর্ক

সম্পাদনা

তিনি তার সুস্থ ছেলেকে প্রতিবন্ধী দেখিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন রেকর্ড অনুযায়ী রহমানের ছেলে ফারাবি এন এ রহমান প্রতিবন্ধী হিসেবে তার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। তার এ কাজে সহায়তা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের তৎকালীন ডিন ও বিএসইসি থেকে পদত্যাগকারী চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম।[]

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

নজিবুর রহমান ব্যক্তিগত জীবনে নাজমা রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[] এই দম্পতির দুই পুত্র রয়েছে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "নতুন মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  2. প্রতিবেদক, জ্যেষ্ঠ। "মুখ্য সচিব হচ্ছেন নজিবুর রহমান"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  3. "নজিবুর রহমান" (পিডিএফ)প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। ১৩ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯