নগাঁও জেলা
নগাঁও জেলা (অসমীয়া: নগাঁও জিলা; টেমপ্লেট:IPA-as) ভারতের আসাম রাজ্যের সাতাশটি জেলার ভিতরে একটি। ২০১১ সালের লোকগণনা অনুসারে আসামের ২৭টি জেলার ভেতরে এই জেলা সবচেয়ে বেশি জনবসতিপূর্ণ।[১] এবং আয়তনের দিক দিয়ে সর্ববৃহৎ।
নগাঁও জেলা নগাঁও জিলা | |
---|---|
জেলা | |
আসামে নগাঁও জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°২১′ উত্তর ৯২°৪১′ পূর্ব / ২৬.৩৫০° উত্তর ৯২.৬৮৩° পূর্ব | |
আয়তন | |
• মোট | ৩,৮৩১ বর্গকিমি (১,৪৭৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (2009) | |
• মোট | ২৩,১৪,৬২৯ |
• জনঘনত্ব | ৬০০/বর্গকিমি (১,৬০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | আই এস টি (ইউটিসি+৫:৩০) |
এলাকা কোড | 91-3672 |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | IN-AS-DB |
ওয়েবসাইট | http://nagaon.gov.in |
ইতিহাস
সম্পাদনাঅবস্থান
সম্পাদনাজলবায়ু
সম্পাদনাভূগোল
সম্পাদনাশিক্ষা
সম্পাদনাউল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনাবিদ্যালয় -
সম্পাদনাআসামের প্রাচীনতম বিদ্যালয় ১৮৪৬ সনে মাইল্স ব্রনসন কর্ত্তৃক প্রতিষ্ঠিত নগাঁও মিশন উচ্চ বিদ্যালয় নগাঁও শহরে অবস্থিত। এছাড়া নগাঁও শহরে রয়েছে সরকারি বালক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৮৬৫ সনে প্রতিষ্ঠিত আসামের তৃতীয় প্রাচীনতম বিদ্যালয়। আরেকটি প্রাচীনতম বিদ্যালয় হচ্ছে ডসন উচ্চ মাধ্যমিক ও বহুমুখী বিদ্যালয়। নগাঁও কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় এবং খ্রীষ্ট জ্যোতি বিদ্যালয় নগাঁও শহরের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইংরেজি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে গণ্য করা হয়। হাইবাগাঁও বাজারের নিকটস্ত মাড়ওয়ারী হিন্দি হাইস্কুল শ্রেষ্ঠ হিন্দি বিদ্যালয়।
প্রখ্যাত ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ঃ-
- কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, নগাঁও।
- খ্রীষ্ট জ্যোতি বিদ্যালয়।
- নগাঁও মিশন হাইস্কুল।
- লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল।
- নগাঁও ইংলিশ একাডেমী।
- রিভের্দালে একাডেমী।
- সেন্ট ঈগ্নতিউস লোয়োলা স্কুল।
খ্যাতি সম্পন্ন অন্যান্য শিক্ষাঃ-
- নগাঁও সরকারি বালক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- নগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- নগাঁও বাংলা বালক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- নগাঁও বাংলা বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- আরবান বেসিক হাইস্কুল
- ডসন উচ্চ মাধ্যমিক ও বহুমুখী স্কুল
- ওমপ্রকাশও জাজোদিয়া বালিকা হিন্দি হাইস্কুল
- মাড়ওয়ারী হিন্দি উচ্চবিদ্যালয়
কলেজসমূহ -
সম্পাদনাবর্তমানে প্রায় ২৫ কলেজ আছে। নিম্নে কয়েকটি খ্যাতনামা কলেজের নাম উল্লেখ করা হয়ঃ-
(১) নগাঁও কলেজ,
(২) এ.ডি.পি.কলেজ (আনন্দরাম ঢেকিয়াল ফুকনের নামানুসারে),
(৩) খাগরিজান কলেজ (নগাঁও জেলার পুরাতন প্রশাসনিক সদরের নামানুসারে),
(৪) নগাঁও বালিকা কলেজ,
(৫) নগাঁও আইন কলেজ,
(৬) নগাঁও জি.এন. ডি.জি. বাণিজ্য কলেজ,
(৭) কলেজ অব ফিশেরিস (রাহাতে অবস্থিত যোরহাটের আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ব্যবস্থাপনার অধীনে আসা উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম কলেজ ),
(৮) নগাঁও পলিটেকনিক (আসামের একটি প্রাচীনতম কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান),
(৯) হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ,
(১০)পাণিগাঁও আই.টি.আই.
(১১) কলিয়াবর কলেজ
মেডিকেল কলেজ -
সম্পাদনানগাঁও মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল হল নগাঁও-এ অবস্থিত একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। কলেজটি ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি জাতীয় মেডিকেল কমিশন দ্বারা স্বীকৃত এবং শ্রীমন্ত শঙ্করদেব স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়, গুয়াহাটির সাথে অনুমোদিত। কলেজটির ১০০ জন স্নাতক ছাত্রের অক্ষত ক্ষমতা রয়েছে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আসামের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমান তরুণ গগৈ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ তারিখে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৪ এপ্রিল, ২০২৩-এ অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস, গুয়াহাটি এবং অন্যান্য দুটি মেডিকেল কলেজের সাথে কলেজ এবং হাসপাতাল উদ্বোধন করেছিলেন। চলতি শিক্ষাবর্ষে কলেজটিতে এমবিবিএসের ১০০টি আসন রয়েছে। ডাঃ মিহির কুমার গোস্বামী নগাঁও মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ-কাম-চীফ সুপারিনটেনডেন্ট। কলেজটি শ্রীমন্ত শঙ্করদেব ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সেসের সাথে অনুমোদিত এবং ইউজি মেডিকেল কোর্সে ১০০ টি ভর্তির জন্য প্রস্তুত।
প্ৰশাসন
সম্পাদনাজনগোষ্ঠী
সম্পাদনাদৰ্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- বরদোয়া: ১৪৪৯ সালে, বরদোয়া আলিপুখুরিতে, মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শঙ্করদেব জন্মগ্রহণ করেন। মহাপুরুষ শঙ্করদেব অসমীয়া জাতি, সাহিত্য ও সংস্কৃতির স্রষ্টা। তিনি নববৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করেন এবং অসমীয়া সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করেন।
- শিলঘাট: কামাখ্যা মন্দির
- শ্রী শ্রী মাধব থান
- কন্দলি : বাদুলি খুরুং - একটি কিংবদন্তি অনুসারে, এই বাদুলি খুরুঙে একসময় একটি নারী রাজ্য ছিল। গুপ্তচর থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী সব কিছুতেই নারীরা পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।
- হাটবর : ভঁরালী নামঘর
- কলিয়াভোমোরা : কলিয়াভোমোরা সেতু
- চাপানালা : চম্পাবতী কুন্ড
- নভঙ্গা : চামুন্ডা মন্দির
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।