দ্য হার্ট লকার
দ্য হার্ট লকার (ইংরেজি: The Hurt Locker) হল ক্যাথরিন বিগেলো পরিচালিত ২০০৮ সালের মার্কিন যুদ্ধভিত্তিক উত্তেজনাপূর্ণ চলচ্চিত্র। ছবিটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য রচনা করেন মার্ক বোল। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন জেরেমি রেনার, অ্যান্থনি ম্যাকি, ব্রায়ান গেরাটি, ক্রিস্টিয়ান ক্যামার্গো, রেফ ফাইঞ্জ, ডেভিড মোর্স ও গাই পিয়ার্স। ছবিতে ইরাক যুদ্ধের বিস্ফোরক অর্ডান্যান্স ডিসপোজাল দলের উপর বিদ্রোহীদের আক্রমণে তাদের মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে।
দ্য হার্ট লকার | |
---|---|
The Hurt Locker | |
পরিচালক | ক্যাথরিন বিগেলো |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা | মার্ক বোল |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার |
|
চিত্রগ্রাহক | ব্যারি অ্যাকরয়েড |
সম্পাদক |
|
প্রযোজনা কোম্পানি |
|
পরিবেশক | সামিট এন্টারটেইনমেন্ট |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৩১ মিনিট |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $১৫ মিলিয়ন[১] |
আয় | $৪৯.২ মিলিয়ন[১] |
চলচ্চিত্রটি ২০০৮ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় এবং ২০০৯ সালের ২৬শে জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায়। ছবিটি নয়টি বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ মৌলিক চিত্রনাট্যসহ ছয়টি বিভাগে পুরস্কৃত হয়। এটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত নারী পরিচালক পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র। এছাড়া ক্যাথরিন বিগেলো প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে শ্রেষ্ঠ পরিচালনার জন্য একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
কুশীলব
সম্পাদনা- জেরেমি রেনার - সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস উইলিয়াম জেমস
- অ্যান্থনি ম্যাকি - সার্জেন্ট জে. ট. সানবর্ন
- ব্রায়ান গেরাথি - বিশেষজ্ঞ ওয়েন এলরিজ
- গাই পিয়ার্স - স্টাফ সার্জেন্ট ম্যাথু থম্পসন
- ক্রিশ্চিয়ান ক্যামার্গো - লেফটেন্যান্ট কর্নেল জন ক্যামব্রিজ
- ডেভিড মোর্স - কর্নেল রিড
- রেফ ফাইঞ্জ - প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানি ইউনিটের প্রধান
- ইভাঞ্জেলিন লিলি - কনি জেমস
- ক্রিস্টোফার সায়েঘ - ব্যাকহাম
- ম্যালকম বেরেট - সার্জেন্ট ফস্টার
- স্যাম স্প্রুয়েল - কনট্রাক্টর চার্লি
নির্মাণ
সম্পাদনালেখনী
সম্পাদনাদ্য হার্ট লকার মার্ক বোলের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা ভিত্তিতে রচিত। বোল ২০০৪ সালের ইরাক যুদ্ধের সময় দুই সপ্তাহ মার্কিন বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের সাথে ছিলেন।[২] পরিচালক ক্যাথরিন বিগেলো বোলের কাজের সাথে পূর্ব থেকেই পরিচিত ছিলেন, তিনি বোলের প্লেবয় ম্যাগাজিনের একটি নিবন্ধের উপর ভিত্তি করে ২০০২ সালে দি ইনসাইড টেলিভিশন ধারাবাহিক নির্মাণ করেছিলেন। যখন বোল বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের সাথে ছিলেন তখন তিনি তাদের কাজগুলো নজর রাখতেন এবং বিগেলোকে ইমেইলের মাধ্যমে তার অভিজ্ঞতার কথা জানাতেন।[৩] বোল সত্য ঘটনা অবলম্বনে একটি কাল্পনিক নাট্যধর্মী উপস্থাপনার জন্য তার অভিজ্ঞতা ব্যবহার করেন।[৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "The Hurt Locker (2009)"। বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১৮।
- ↑ গুডউইন, ক্রিস্টোফার (১৬ আগস্ট ২০০৯)। "Kathryn Bigelow is back with The Hurt Locker"। দ্য সানডে টাইমস।
- ↑ কেওঘ, টম (৮ জুলাই ২০০৯)। "Hurt Locker goes for 'you-are-there' effect in war story"। দ্য সিয়াটল টাইমস।
- ↑ কিট, বোরিস (১৭ জুলাই ২০০৮)। "Locker lands 3 in Iraq story"। দ্য হলিউড রিপোর্টার।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে দ্য হার্ট লকার (ইংরেজি)
- মেটাক্রিটিকে দ্য হার্ট লকার (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে দ্য হার্ট লকার (ইংরেজি)