দ্য ট্রায়ালস অফ অ্যাপোলো
দ্য ট্রায়ালস অফ অ্যাপোলো (ইংরেজি: The Trials of Apollo) হল মার্কিন লেখক রিক রিঅর্ড্যানের লেখা পাঁচটি ফ্যান্টাসি অ্যাডভেঞ্চার পৌরাণিক উপন্যাসের একটি ধারাবাহিক। সামগ্রিকভাবে এই ধারাবাহিকটি দ্য হিরোজ অফ অলিম্পাস ধারাবাহিকের সিক্যোয়েল। এই ধারাবাহিকের প্রেক্ষাপট রিঅর্ড্যান রচিত পার্সি জ্যাকসন অ্যান্ড দি অলিম্পিয়ানস ও দ্য হিরোজ অফ অলিম্পাস ধারাবাহিকেরই কাল্পনিক জগৎ এবং এই ধারাবাহিকেও পূর্ববর্তী ধারাবাহিকগুলির চরিত্র ও ঘটনাপ্রসঙ্গ উল্লিখিত হয়েছে।[৪] প্রধান ধারাবাহিকটির সঙ্গে ক্যাম্প জুপিটার ক্লাসিফায়েড নামে একটি অনুপূরক গ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে।[৫]
| |
লেখক | রিক রিঅর্ড্যান |
---|---|
প্রচ্ছদশিল্পী | জন রোকো |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
বর্গ | পুরাণ পৌরাণিক কথাসাহিত্য, ফ্যান্টাসি, অ্যাডভেঞ্চার ও শিশুসাহিত্য |
প্রকাশক | হাইপেরিয়ন (যুক্তরাষ্ট্র) পেঙ্গুইন বুকস/পাফিন (যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড)[১][২][৩] |
প্রকাশকাল | ২০১৬–২০২০ |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রণ (হার্ডকভার ও পেপারব্যাক), অডিওবুক, ই-বই |
বইয়ের সংখ্যা | ৫ |
পূর্ববর্তী বই/সিরিজ | দ্য হিরোজ অফ অলিম্পাস (ধারাবাহিক)
|
এই ধারাবাহিকের প্রথম উপন্যাস দ্য হিডেন ওর্যাকল প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৬ সালের ৩ মে।[৬] দ্বিতীয় উপন্যাস দ্য ডার্ক প্রফেসি প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ২ মে।[৭] তৃতীয় উপন্যাস দ্য বার্নিং মেজ প্রকাশিত হয় ২০১৮ সালের ১ মে।[৮] চতুর্থ উপন্যাস দ্য টাইর্যান্ট’স টুম প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর।[৯] পঞ্চম তথা ধারাবাহিকের শেষ উপন্যাস দ্য টাওয়ার অফ নিরো প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর।[১০]
কাহিনির প্রেক্ষাপট সম্পাদনা
দ্য ট্রায়ালস অফ অ্যাপোলো উপন্যাস ধারাবাহিকে দেখা যায়, গ্রিক দেবতা অ্যাপোলো তাঁর পিতা তথা দেবরাজ জিউসের অভিশাপে লেস্টার প্যাপাডোপলোস নামে এক নশ্বরে রূপান্তরিত হয়েছেন। জিউস একাধিক কারণে অ্যাপোলোর উপর ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন। তার মধ্যে প্রধান কারণটি ছিল দ্য হিরোজ অফ অলিম্পাস উপন্যাস ধারাবাহিকের কাহিনি প্রসঙ্গে অ্যাপোলো কর্তৃক তাঁর রোমান বংশধর অক্টাভিয়ানকে বরদান ও সেই বরের সূত্রে অক্টাভিয়ানের ক্ষমতায় আরোহণ। দ্য হিরোজ অফ অলিম্পাস ধারাবাহিকের শেষ উপন্যাস দ্য ব্লাড অফ অলিম্পাস-এর ঘটনাকাল দ্য ট্রায়ালস অফ অ্যাপোলো-র সূত্রপাতের ছয় মাস পূর্বে।
উপন্যাস পঞ্চক সম্পাদনা
দ্য হিডেন ওর্যাকল সম্পাদনা
দ্য হিডেন ওর্যাকল হল এই ধারাবাহিকের প্রথম উপন্যাস। প্রধান চরিত্র অ্যাপোলোর জবানিতে বর্ণিত এই উপন্যাসের প্রতিটি অধ্যায়ের শিরোনামে হাইকু ব্যবহৃত হয়েছে। বইটি প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালের ৩ মে।[৬]
বইটির শুরুতে দেখা যায়, বইটির শুরুতে দেখা যায়, অ্যাপোলো লেস্টার প্যাপাডোপলোস নামে এক নশ্বর কিশোরের রূপে নিউ ইয়র্ক সিটির একটি গলিতে একটি অতিবৃহৎ আবর্জনা পাত্রে অবতরণ করেন। যে ঘটনাগুলির ফলে গ্রিক ও রোমানদের মধ্যে যুদ্ধ বেধেছিল, তারই ফলশ্রুতিতে অ্যাপোলোর এই পতন ঘটে। কিছু অপকর্ম সংঘঠিত হওয়ার পর তার সঙ্গে মেগ ম্যাককাফ্রির দেখা হয়। প্রথমে সে ভেবেছিল যে অমরত্ব ফিরে পেতে তাকে সামান্য একটা অভিযানে যেতে হবে। তাই অ্যাপোলো ও মেগ পার্সি জ্যাকসনের সাহায্যে ক্যাম্প হাফ-ব্লাডে উপস্থিত হয়। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারে যে বিশ্বের অধিকাংশ ওর্যাকল কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। অ্যাপোলো ও মেগ ডোডোনা নামে একটি অবশিষ্ট ওর্যাকলের অনুসন্ধানে বেরিয়ে পড়ে সেটিকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে। তারা আশা করেছিল যে, অন্যান্য ওর্যাকলগুলির খবরও পাবে এবং সেই সঙ্গে অ্যাপোলোর অমরত্ব ফিরে পাওয়ার উপায়ের কথাও জানতে পারবে। অ্যাপোলো আরও জানতে পারে, যে ওর্যাকলটিকে তাকে প্রথম রক্ষা করতে হবে সেটি রহস্যময় ‘জন্তু’র দ্বারা সুরক্ষিত। এই জন্তুটি হল যে তিন দুষ্ট রোমান সম্রাট দেবতায় পরিণত হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে প্রথম জন অর্থাৎ রোমান সম্রাট নিরো, যিনি আবার সম্পর্কে মেগ ম্যাককাফ্রির সৎ-বাবা।[১১] মাউন্ট অলিম্পাসের পূর্বতন মহিমা পুনরুদ্ধারের জন্য অ্যাপোলোকে তার ওর্যাকলের পিছনে ধাবমান সকল জন্তুকে পরাজিত করতে হয়।
দ্য ডার্ক প্রফেসি সম্পাদনা
দ্য ডার্ক প্রফেসি হল এই ধারাবাহিকের দ্বিতীয় উপন্যাস। এটি প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৭ সালের ২ মে।
এই উপন্যাসে নশ্বর লেস্টারের রূপে অ্যাপোলোর কাহিনি এগিয়ে চলে। সে ক্যাম্প হাফ-ব্লাডের নিরাপদ আশ্রয় ত্যাগ করে অবশিষ্ট চারটি ওর্যাকলকে পুনরায় কর্মক্ষম করে তোলার জন্য সারা উত্তর আমেরিকা ঘুরতে শুরু করে এবং দেবতায় পরিণত হওয়া তিন রোমান সম্রাটকে কীভাবে পরাজিত করা যেতে পারে তা জানতে পারে। এই উপন্যাসে তাকে সাহায্য করে লিও ভ্যালডেজ, ক্যালিপসো ও ব্রোঞ্জ ড্রাগন ফেস্টাস, আর্তেমিসের শিকারীবৃন্দ ও কয়েকটি নতুন চরিত্র।[১২] ত্রয়ী সম্রাটের দ্বিতীয় জন অর্থাৎ কমোডাসের সম্মুখীন হয়ে তাকে পরাজিত করতে হয় অ্যাপোলোকে। স্মৃতির সিংহাসন অর্জন করতে পরবর্তী ভবিষ্যদ্বাণীটি পেতে কমোডাসের সঙ্গে তাকে একটি বিব্রতকর ও অনুশোচনামূলক অতীত ভাগ করে নিতে হয়। অ্যাপোলো ওর্যাকলের গুহায় উপস্থিত হয়ে নিজের ভবিষ্যদ্বাণীটি পেয়ে যায় এবং নিজেকে এবং নিজের বন্ধুদের কমোডাসের হাত থেকে রখা করতে ফিরে আসে।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "The Trials of Apollo"। www.penguin.co.uk।
- ↑ "Rick Riordan"। www.penguin.co.nz (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Rick Riordan"। www.penguin.com.au (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Rick Riordan announces 'Trials of Apollo' series set in Percy Jackson's world"। Hypable। অক্টোবর ৬, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৬।
- ↑ https://www.barnesandnoble.com/w/the-trials-of-apollo-camp-jupiter-classified-rick-riordan/1133344208
- ↑ ক খ Riordan, Rick (মে ১১, ২০১৬)। "The Hidden Oracle!"। RickRiordan.com। Rick Riordan। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৬, ২০১৭।
- ↑ "'Trials of Apollo' book 2 info revealed on heels of 'Hidden Oracle' release"। Hypable। মে ৫, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬।
- ↑ http://rickriordan.com/series/the-trials-of-apollo/ The Rick Riordan official website
- ↑ https://rickriordan.com/book/the-tyrants-tomb/
- ↑ https://rickriordan.com/book/the-tower-of-nero/
- ↑ Riordan, Rick (২০১৬)। The Hidden Oracle। Los Angeles: Disney-Hyperion। আইএসবিএন 9781484732748।
- ↑ "The Dark Prophecy – Rick Riordan"। rickriordan.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৭।