দ্য কমেডি অফ এররস

উইলিয়াম শেকসপিয়র রচিত নাটক

দ্য কমেডি অফ এররস (ইংরেজি: The Comedy of Errors) হল উইলিয়াম শেকসপিয়র রচিত প্রথম নাটকগুলির অন্যতম। তাঁর কমেডিগুলির মধ্যে এটিই সংক্ষিপ্ততম এবং সর্বাধিক হাস্যরসোদ্দীপক। এই নাটকের হাস্যরসের প্রধান উৎস ভাঁড়ামি ও পরিচয়-বিভ্রান্তি এবং সেই সঙ্গে যমকশব্দক্রীড়ার ব্যবহার। শেকসপিয়র রচিত এই দ্য কমেডি অফ এররসদ্য টেম্পেস্ট নাটক দু’টিতেই কেবল অ্যাসিস্টটলীয় সময়-ঐক্যের নীতিটি (অর্থাৎ, নাটকীয় ঘটনাবস্তুর সময়কাল অনধিক চব্বিশ ঘণ্টা) অনুসৃত হয়েছে। সমগ্র বিশ্বে এই নাটকটি একাধিক অপেরা, মঞ্চ প্রযোজনা, চলচ্চিত্র ও মিউজিক্যাল থিয়েটারে অভিযোজিত হয়েছে। নাটকটির প্রথম মঞ্চায়নের পরবর্তী শতাব্দীগুলিতে নাটকটির শিরোনামটি "একের পর এক করে যাওয়া একাধিক ভুলের ফলে উদ্ভূত উপহাসাত্মক ঘটনা বা ঘটনাক্রম" ("an event or series of events made ridiculous by the number of errors that were made throughout") অর্থে জনপ্রিয় ইংরেজি শব্দকোষে একটি বাগধারা হিসাবে স্থান পায়।[]

১৮৭৯ সালে স্টুয়ার্ট রবসনউইলিয়াম এইচ. ক্রেন অভিনীত ব্রডওয়ে প্রযোজনার পোস্টার।

গ্রিক শহর ইফিসাসের প্রেক্ষাপটে রচিত দ্য কমেডি অফ এররস নাটকটিতে জন্মের পর দুর্ঘটনাচক্রে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়া দুই জোড়া অভিন্ন যমজ ভাইয়ের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। সাইরাকিউসের অ্যান্টিফোলাস তাঁর ভৃত্য সাইরাকিউসের ড্রোমিওকে নিয়ে ইফিসাসে উপস্থিত হন। এই শহরেই বাস করতেন তাঁদের যমজ ভাই ইফিসাসের অ্যান্টিফোলাস ও তাঁর ভৃত্য ইফিসাসের ড্রোমিও। সাইরাকিউসবাসীরা সেই দুই যমজ ভাইয়ের বন্ধু ও পরিবারবর্গকে আক্রমণ করলে পরিচয় বিভ্রান্তির পরিপ্রেক্ষিতে একের পর এক অঘটন ঘটতে শুরু করে। ফলে অন্যায় মারধর, একটি প্রায়-প্রলুব্ধকরণ, ইফিসাসের অ্যান্টিফোলাসের গ্রেফতারি এবং ব্যভিচার, চুরি, পাগলামি ও ভূতে পাওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনয়নের মতো ঘটনা ঘটে যায়।

১৮৬৯ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর দ্য কমেডি অফ এররস নাটকটি ভ্রান্তিবিলাস নামে বাংলায় আখ্যায়িকার আকারে অনুবাদ করেন। এই অনুবাদে তিনি মূল নাটকের পাত্রপাত্রী ও স্থাননামগুলির পরিবর্তে ভারতীয় ব্যক্তিনাম ও স্থাননাম ব্যবহার করেন। গ্রন্থটি বাংলাতেও অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৬৬ সালে এটি চলচ্চিত্রায়িতও হয়।[]

পাত্রপাত্রী

সম্পাদনা
 
কারমেল শেকসপিয়র উৎসবের একটি প্রযোজনায় যমজ যমজ ড্রোমিও ভ্রাতৃদ্বয়, কারমেল, ক্যালিফোর্নিয়া, ২০০৮
  • সোলিনাস – ইফিসাসের ডিউক
  • ইজিয়ন – সাইরাকিউসের বণিক, অ্যান্টিফোলাস যমজ ভ্রাতৃদ্বয়ের বাবা
  • ইমিলিয়া – অ্যান্টিফোলাস ভ্রাতৃদ্বয়ের হারানো মা, ইজিয়নের স্ত্রী
  • ইফিসাসের অ্যান্টিফোলাস ও সাইরাকিউসের অ্যান্টিফোলাস – যমজ ভ্রাতৃদ্বয়, ইজিয়ন ও এমিলিয়ার পুত্রদ্বয়
  • ইফিসাসের ড্রোমিও ও সাইরাকিউসের ড্রোমিও – যমজ ভ্রাতৃদ্বয়, ক্রীতদাস, সংশ্লিষ্ট অ্যান্টিফোলাস ভ্রাতৃদ্বয়ের ভ্রৃত্য
  • অ্যাড্রিয়ানা – ইফিসাসের অ্যান্টিফোলাসের স্ত্রী
  • লুসিয়ানা – অ্যাড্রিয়ানার বোন
  • নেল/লিউস – পাচিকা বালিকা/অ্যাড্রিয়ানার পরিচারিকা
  • বালথাজার – বণিক
  • এঞ্জেলো – স্বর্ণকার
  • রাজ-গণিকা
  • প্রথম বণিক – সাইরাকিউসের অ্যান্টিফোলাসের বন্ধু
  • দ্বিতীয় বণিক – যাঁর কাছে এঞ্জেলোর কিছু ঋণ ছিল
  • ডক্টর পিঞ্চ – ভেল্কিবাজ স্কুলশিক্ষক
  • কারাধ্যক্ষ, জল্লাদ, আধিকারিকবৃন্দ ও অন্যান্য সহচরবৃন্দ

কাহিনি-সারাংশ

সম্পাদনা

প্রথম অঙ্ক

সম্পাদনা

ইফিসাসের আইন অনুযায়ী, সাইরাকিউসের বণিকেরা সেই শহরে প্রবেশ করতে পারেন না। তাই সাইরাকিউসের প্রবীণ বণিক ইজিয়নকে শহরে পাওয়া গেলে তাঁকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়। এক হাজার মার্ক জরিমানা ধার্য হল তাঁর। তিনি ইফিসাসের ডিউক সোলিনাসের কাছে নিজের জীবনের দুঃখময় কাহিনি শোনালেন। যৌবনে ইজিয়ন বিবাহ করেছিলেন এবং তাঁর দুই যমজ পুত্রের জন্ম হয়েছিল। সেই দিনই কর্মহীনা দরিদ্র এক নারীও দুই যমজ পুত্রের জন্ম দেন। ইজিয়ন নিজের পুত্রদের জন্য ক্রীতদাস হিসাবে সেই দু’টি ছেলেকে কিনে নিলেন। এই ঘটনার কিছুদিন পরেই তিনি সপরিবারে সমুদ্রযাত্রা করেন এবং সমুদ্রে এক ঝড়ের সম্মুখীন হন। এক ছেলে ও একজন ক্রীতদাসকে নিয়ে ইজিয়ন প্রধান মাস্তুলটি জাপটে ধরলেন। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী অন্য দুই শিশুকে সঙ্গে নিলেন। এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে নিজের নৌকায় তুলে নিলেন এবং অপর এক ব্যক্তি ইজিয়নকে উদ্ধার করেন। এরপর ইজিয়ান আর স্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে থাকা ছেলেগুলিকে খুঁজে পাননি। তাঁর পুত্র অ্যান্টিফোলাস এখন প্রাপ্তবয়স্ক। তিনিও তাঁর ভৃত্য ড্রোমিওকে নিয়ে সাইরাকিউসে এসেছিলেন ভাইয়ের সন্ধানে। অ্যান্টিফোলাস ফিরছেন না দেখে ইজিয়নকেই আসতে হল তাঁদের খোঁজে।

তাঁর কথা শুনে ডিউক দুঃখ পান এবং জরিমানা দেওয়ার জন্য ইজিয়নকে এক দিন সময় দেন।

সেই দিনই ভাইয়ের সন্ধানে অ্যান্টিফোলাস ইফিসাসে উপস্থিত হলেন। তিনি ড্রোমিওকে কিছু টাকা দ্য সেন্ট্যুর নামে এক সরাইখানায় জমা রাখতে পাঠালেন। তার কিছুক্ষণ পরেই ইফিসাসের ড্রোমিও অ্যান্টিফোলাসের সামনে এসে উপস্থিত হলেন এবং টাকার কথাটা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলল যে, অ্যান্টিফোলাসের স্ত্রী অপেক্ষা করছেন; তাই তিনি যেন রাতের খাবার খেতে বাড়িতে আসেন। ভৃত্য অভব্যের মতো মজা করছে ভেবে অ্যান্টিফোলাস ইফিসাসের ড্রোমিওকে মারধর করলেন।

দ্বিতীয় অঙ্ক

সম্পাদনা

ইফিসাসের ড্রোমিও তাঁর গৃহকর্ত্রী আড্রিয়ানার কাছে ফিরে এসে জানালেন যে, তাঁর "স্বামী" বাড়ি ফিরতে অস্বীকার করেছেন, এমনকি তাঁকে চিনতেও চাননি। স্বামীর চরিত্র নিয়ে আড্রিয়ানার আগেই সন্দেহ জন্মেছিল। এই সংবাদে তিনি নিজের সন্দেহের ব্যাপারে নিশ্চিত হলেন।

এদিকে সাইরাকিউসের অ্যান্টিফোলাসের সঙ্গে সাইরাকিউসের ড্রোমিওর দেখা হল। ড্রোমিও অভব্যতার কথা অস্বীকার করল। অ্যান্টিফোলাস তাকে মারতে শুরু করলেন। হঠাৎ আড্রিয়ানা ছুটে এলেন এবং সাইরাকিউসের অ্যান্টিফোলাসের কাছে প্রার্থনা করলেন তাঁকে ছেড়ে না যাওয়ার জন্য। সাইরাকিউসবাসীরা এই অদ্ভুত ঘটনাগুলিকে বুঝতে পারল না। তারা এটিকে জাদুটোনার ঘটনা মনে করল। সঙ্গে এও মন্তব্য করল যে, ইফিসাসে তো জাদুকরী নেই। অ্যান্টিফোলাস ও ড্রোমিও গোলমাল এড়াতে সেই অপরিচিতার সঙ্গেই চলে গেলেন। একজন রাতের খাবার খেতে বসলেন এবং অন্য জন দরজায় পাহারা দিতে লাগল।

তৃতীয় অঙ্ক

সম্পাদনা
 
বাড়ি ফেয়ার পর ইফিসাসের অ্যান্টিফোলাসকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ২০১১ সালে ওভিও থিয়েটার কোম্পানির একটি প্রযোজনা, সেন্ট আলবানস, হার্টফোর্ডশায়ার

ইফিসাসের অ্যান্টিফোলাস বাড়ি ফিরলেন। কিন্তু দরজায় পাহারায় থাকা সাইরাকিউসের ড্রোমিও তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দিলে তিনি রেগে উঠলেন। তিনি দরজা ভাঙতে গেলেন। কিন্তু তাঁর বন্ধুরা তাঁকে গোলমাল করতে বারণ করলেন। তখন তিনি ঠিক করলেন, বাড়িতে না ঢুকে এক রাজ-গণিকার বাড়িতে নৈশাহার সারবেন।

বাড়ির ভিতর সাইরাকিউসের অ্যান্টিফোলাস বুঝতে পারলেন, তিনি তাঁর "স্ত্রী"র বোন স্মিরনার লুসিয়ানার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছেন। তাঁর মনোযোগ পেয়ে লুসিয়ানাও আত্মশ্লাঘা বোধ করতেন। কিন্তু একই সঙ্গে অ্যান্টিফোলাসের কথাগুলির অনৈতিক দিকটিও তাঁকে ভাবিত করে তুলল। লুসিয়ানা বেরিয়ে যাওয়ার পর সাইরাকিউসের ড্রোমিও ঘোষণা করল যে, তিনি আবিষ্কার করেছেন তাঁর এক স্ত্রী আছে – নেল নামে এক কদাকার পাচিকা। সাইরাকিউসের অ্যান্টিফোলাস ও ড্রোমিও স্থির করলেন, যত শীঘ্র সম্ভব পালাবেন। ড্রোমিও যাত্রার পরিকল্পনা করতে গেল। এদিকে সাইরাকিউসের অ্যান্টিফোলাসের সঙ্গে দেখা হল অ্যাঞ্জেলো নামে এক স্বর্ণকারের। অ্যাঞ্জেলো দাবি করলেন অ্যান্টিফোলাস একটি হারের বায়না দিয়েছিলেন। জোর করেই অ্যান্টিফোলাসের হাতে হারটা ধরিয়ে দিয়ে অ্যাঞ্জেলো বললেন, পরে এসে তিনি দাম নিয়ে যাবেন।

চতুর্থ অঙ্ক

সম্পাদনা
 
ইফিসাসের অ্যান্টিফোলাস, জনৈক আধিকারিক ও ইফিসাসের ড্রোমিও; চতুর্থ অঙ্ক, প্রথম দৃশ্য; জলরং, ১৮১৬।

ইফিসাসের অ্যান্টিফোলাস ইফিসাসের ড্রোমিওকে একটি দড়ি কিনতে পাঠান, যাতে তিনি তাঁকে বাড়িতে না ঢুকতে দেওয়ার জন্য তাঁর স্ত্রীকে প্রহার করতে পারেন। তারপর তাঁর সঙ্গে অ্যাঞ্জেলোর দেখা হয়। অ্যাঞ্জেলো তাঁকে হারের দামটি চুকিয়ে দিতে বলেন। অ্যান্টিফোলাস হারটি পাওয়ার কথা অস্বীকার করলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন সাইরাকিউসের ড্রোমিও সেখানে উপস্থিত হয়। অ্যান্টিফোলাস ড্রোমিওকে অ্যাড্রিয়ানার কাছে পাঠান জামিনের অর্থ সংগ্রহের জন্য।

এই ঘটনার পর সাইরাকিউসের ড্রোমিও ভুল করে জামিনের জন্য আনীত অর্থ তুলে দেয় সাইরাকিউসের অ্যান্টিফোলাসের হাতে। রাজগণিকা লুকিয়ে অ্যান্টিফোলাসের উপর নজরদারি করছিল। সে এসে বলে অ্যান্টিফোলার তার আংটির বিনিময়ে হারটি তাকে দেবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। সাইরাকিউসবাসীরা তা দিতে অস্বীকার করেন ও পালিয়ে যান।

পঞ্চম অঙ্ক

সম্পাদনা

রাজগণিকা ঠিক করল, সে অ্যাড্রিয়ানাকে বলবে যে তাঁর স্বামী পাগল হয়ে গিয়েছে। ইফিসাসের ড্রোমিও দড়ি নিয়ে গ্রেফতার হওয়া ইফিসাসের অ্যান্টিফোলাসের কাছে আসে। অ্যান্টিফোলাস প্রচণ্ড রেগে যান। অ্যাড্রিয়ানা, লুসিয়ানা ও রাজগণিকা পিঞ্চ নামে এক জাদুকরকে নিয়ে আসেন। পিঞ্চ ইফিসাসবাসী অ্যান্টিফোলাস ও ড্রোমিওর ভূত তাড়ানোর চেষ্টা করে। তাঁদের বেঁধে অ্যাড্রিয়ানার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তরবারি হাতে সাইরাকিউসবাসীরা প্রবেশ করেন। সবাই তাঁদের ইফিসাসবাসী ভ্রমে মনে করেন যে, কোনওভাবে বাঁধন ছিন্ন করে তাঁরা পালিয়ে এসেছেন প্রতিশোধ নিতে। ভয় পেয়ে সবাই পালিয়ে যায়। হুকুমবরদারকে নিয়ে অ্যাড্রিয়ানা আবার উপস্থিত হন। তাঁরা সাইরাকিউসবাসীদের বেঁধে ফেলার চেষ্টা করেন। তাঁরা আশ্রয় গ্রহণ করেন স্থানীয় আশ্রমে। সেখানে আশ্রমাধ্যক্ষা দৃঢ়তার সঙ্গে তাঁদের রক্ষা করেন।

হঠাৎ আশ্রমাধ্যক্ষা সাইরাকিউসবাসী যমজদ্বয়কে নিয়ে প্রবেশ করেন। সবাই সারাদিনের বিভ্রান্তিজনক ঘটনার স্বরূপ বুঝতে শুরু করেন। শুধুমাত্র সেই যমজদ্বয়েরই মিলন ঘটে না, সেই সঙ্গে জানা যায় আশ্রমাধ্যক্ষা স্বয়ং ইজিয়নের পত্নী ব্যাবিলনের এমিলিয়া। ডিউক ইজিয়নকে ক্ষমা করে দেন। সবাই আশ্রমে প্রবেশ করেন পরিবারের পুনর্মিলন উদ্‌যাপন করতে।

বিষয়বস্তু ও রচনাকাল

সম্পাদনা
 
দ্য কমেডি অফ এররস নাটকের প্রথম পৃষ্ঠা, ১৬২৩ সালের ফার্স্ট ফোলিওতে মুদ্রিত

১৫৯৪ সালের ১০ জুন এই নাটকটি প্লটাসের মেনেকমি নাটকের একটি আধুনিকীকৃত অভিযোজনা। এই ধ্রুপদি নাটকটির উইলিয়াম ওয়ার্নার অনুবাদ স্টেশনার্স কোম্পানির রেজিস্টারের অন্তর্ভুক্ত হয়ে ১৫৯৫ সালে প্রকাশিত হয়। অনুবাদটি উৎসর্গিত হয়েছিল লর্ড চেম্বারলেইন’স মেনের পৃষ্ঠপোষক লর্ড হান্সডনের উদ্দেশ্যে। অনুমান করা হয়, শেকসপিয়র বইটি প্রকাশের আগেই অনুবাদটির পাণ্ডুলিপি দেখে থাকবেন। তবে প্লটাসের রচনা গ্রামার স্কুলের ছাত্রদের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে তাঁর পক্ষে নাটকটি মূল লাতিনে জানাও অসম্ভব নয়।

এই নাটকে ফ্রান্সে উত্তরাধিকার-সংক্রান্ত যুদ্ধের সাময়িক উল্লেখ পাওয়া যায়। যা নাটকের রচনাকাল ১৫৮৯ থেকে ১৫৯৫ সালের মধ্যবর্তী যে কোনও সময়কে নির্দেশ করে। চার্লস হুইটওয়ার্থ ঐতিহাসিক নথিপত্র ও সেই সময় শেকসপিয়র কর্তৃক রচিত অন্যান্য নাটকের পাঠগত সাদৃশ্যের ভিত্তিতে বলেছেন যে, দ্য কমেডি অফ এররস লিখিত হয়েছিল "১৫৯৪ সালের শেষার্ধ্বে"।[] তবে ১৬২৩ সালে ফার্স্ট ফোলিও প্রকাশের আগে এটি প্রকাশিত হয়নি।

বিশ্লেষণ ও সমালোচনা

সম্পাদনা

কয়েক শতাব্দী ধরে গবেষকেরা দ্য কমেডি অফ এররস নাটকে বিষয়বস্তুগত গভীরতার অল্পতাই খুঁজে পেয়েছেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] যদিও হ্যারল্ড ব্লুম বলেন যে, এই নাটকটি "কমেডি শিল্পে শেকসপিয়রের অসাধারণত্বের পরিচায়ক"।[] নাটকটির প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি বলেন, "ঘটনাক্রম, উপক্রমিক চরিত্রচিত্রণ ও রচনাশৈলীর ক্ষেত্রে [এই নাটকটি] এতটাই দক্ষতা, [বা] বাস্তবিক অর্থে চমৎকারিত্বের [পরিচয় দিয়েছে] যে, এটির কাছে তিনটি হেনরি দ্য সিক্সথ নাট্যাবলি এবং তুলনামূলকভাবে দুর্বল কমেডি দ্য টু জেন্টলমেন অফ ভেরোনা অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়।"[] স্ট্যানলি ওয়েলসও বলেন যে, এটিই শেকসপিয়রের প্রথম নাটক যেটিতে "রচনাশৈলীর চমৎকারিত্ব প্রদর্শিত হয়েছে"।[] নাটকটি অষ্টাদশ শতাব্দীর মঞ্চে বিশেষ জনপ্রিয়তা পায়নি। কারণ, ডেভিড গ্যারিক প্রমুখ অভিনেতা কর্তৃক চমকপ্রদভাবে উপস্থাপিত হতে পারে, এমন কোনও চরিত্র এই নাটকে ছিল না।

একটি বিশেষ কারণে এই নাটকে উল্লেখযোগ্য। অষ্টাদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে কোনও কোনও সমালোচক সমালোচনার ফরাসি ধ্রুবক অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে অ্যারিস্টটল কর্তৃক নির্দিষ্ট ধ্রুপদি নাট্য-ঐক্যের প্রতি আলোচ্য নাটকের আনুগত্যের বিচারে নাটকের মূল্যায়ন করতেন। শেকসপিয়রের দ্য কমেডি অফ এররসদ্য টেম্পেস্ট নাটক দু’টিই কেবল এই ধ্রুবকের মানসম্মত।[]

অবশ্য আইনের অধ্যাপক এরিক হেইনজ দাবি করেন যে, এই নাটকে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য এতে ধারাবাহিকভাবে উল্লিখিত সামাজিক সম্পর্কগুলি, যা সেই সম্পর্কের সামন্ততান্ত্রিক রূপের আড়ালে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় আদি আধুনিক ইউরোপের ধনতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে সংঘাতে নেমেছিল।[]

মঞ্চায়ন

সম্পাদনা

দ্য কমেডি অফ এররস নাটকের দু’টি আদি মঞ্চায়ন নথিভুক্ত হয়েছিল। এই দু’টির মধ্যে একটির উল্লেখ পাওয়া যায় গেস্টা গ্রেয়োরাম (দ্য ডিডস অফ গ্রে) গ্রন্থে। ১৫৯৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর গ্রে’স ইন হলে "অপকৃষ্ট ও সাধারণ ব্যক্তিবর্গের একটি কোম্পানি"র ("a company of base and common fellows") দ্বারা মঞ্চস্থ হয়। দ্বিতীয়টি দশ বছর বাদে ১৬০৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর "ইনোসেন্টস” ডে" উপলক্ষ্যে রাজপ্রাসাদে অভিনীত হয়।[]

অভিযোজনা

সম্পাদনা
 
১৮৯০ সালে প্রকাশিত একটি গ্রন্থের মুখচিত্রে ড্রোমিও ভ্রাতৃদ্বয়ের ছবি

নাট্যমঞ্চ

সম্পাদনা

শেকসপিয়রের অন্যান্য অনেক নাটকের মতো দ্য কমেডি অফ এররস নাটকটিও বহুবার অভিযোজিত ও পুনর্নির্মিত হয়েছে। বিশেষত অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে এই ধরনের কাজ হয়ে আসছে। দর্শকরাও এগুলির বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

ধ্রুপদি অভিযোজনাসমূহ

সম্পাদনা
  • এভরি বডি মিসটেকেন হল কোনও অজ্ঞাতনামা লেখক কর্তৃক ১৭১৬ সালে শেকসপিয়রের নাটকটির "পুনরুজ্জীবিত" ও পরিচালনাগত অভিযোজনা।[১০]
  • সি ইফ ইউ লাইক ইট; অর, ’টিজ অল আ মিসটেক হল কভেন্ট গার্ডেনে মঞ্চস্থ একটি অনামা অভিযোজনা। প্লটাস ও শেকসপিয়রের নাটক অবলম্বনে এই দুই অঙ্কের নাটকটি উপস্থাপিত হয়েছিল। শেকসপিয়র শুদ্ধতাবাদীদের মতে, এটি শেকসপিয়রের নাটকের "নিকৃষ্টতম পরিবর্তিত রূপ"।[১১][১২]
  • ১৭৩৯ সালে কভেন্ট গার্ডেনে মঞ্চস্থ তথা টমাস হাল প্রযোজিত দ্য টুইনস ছিল এই নাটকের অপর এক অভিযোজনা। এই মঞ্চায়নে হাল নিজে ইজিয়নের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এই প্রযোজনাটি অধিকতর পরিমাণে শেকসপিয়রের মূল পাঠটির অনুসারী ছিল এবং একাধিক বছর ধরে অভিনীত হয়েছিল।[১১] ১৭৬২ সালে একবারই অভিযোজনাটি মঞ্চস্থ হয় এবং ১৭৭০ সালে প্রকাশিত হয়। হাল দ্য কমেডি অফ এররস। উইথ অল্টারেশনস ফ্রম শেকসপিয়র শিরোনামে আরেকবার নাটকটি অভিযোজিত করেন। ১৭৭৯ সালের পর থেকে নাটকটি প্রায়শই মঞ্চস্থ হত এবং সেটি প্রকাশিত হয় ১৭৯৩ সালে।[১২] হাল এই নাটকে কয়েকটি গান যোগ করেন, প্রণয়দৃশ্যগুলি আবেগমণ্ডিত করেন এবং পুনর্মিলনের দৃশ্যটি পরিবর্ধিত করেন। এছাড়া তিনি স্ত্রী চরিত্রগুলিকেও সম্প্রসারিত করেছিলেন। অ্যাড্রিয়ানার জ্ঞাতিভগিনী হার্মিয়ার চরিত্রটি যুক্ত করেন এবং তাঁর কণ্ঠে কয়েকটি গান যুক্ত করেন।[১০]
  • উইলিয়াম উডসের দ্য টুইনস; অর, হুইচ ইস হুইচ? আ ফার্স। ইন থ্রি অ্যাক্টস প্রকাশিত হয় ১৭৮০ সালে। এটি মঞ্চস্থ হয়েছিল এডিনবরার থিয়েটার-রয়্যালে[১২] এই অভিযোজনায় নাটকটিকে একটি তিন-অঙ্কের সংক্ষিপ্ত প্রহসনের রূপ দেওয়া হয়েছিল। কারণ, মনে করা হয়েছিল যে, দীর্ঘ সময় ধরে মঞ্চস্থ হলে "দর্শক বিরক্ত হতে পারেন"। মনে করা হয়, এই নাটকের ভিত্তিতেই জন ফিলিপ কেম্বেল (নিচে দেখুন) তাঁর নিজস্ব প্রযোজনাটি পরিবর্ধিত আকারে মঞ্চস্থ করেন।[১০]
  • জন ফিলিপ কেম্বেলের ওহ! ইট’স ইমপসিবল নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছিল ১৭৮০ সালে। এই মঞ্চায়নে ড্রোমিও ভ্রাতৃদ্বয়কে মুরজাতীয়দের ন্যায় কৃষ্ণাঙ্গ দেখানোয় নাটকটি বিশেষ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।[১৩] এটি ইয়র্কে মঞ্চস্থ হয়, কিন্তু মুদ্রিত হয়নি।[১৪] পরে ব্রিটিশ-শাসিত অঞ্চলগুলি থেকে দাসপ্রথা বিলুপ্ত করার প্রায় কুড়ি বছর বাদে জেমস বোডেন লেখেন, "আমার মনে হয় [কেম্বেলের] পরিণততর বিচার নিশ্চিতভাবেই সমগ্র ধারণাটির আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছিল।"[১৫]

আধুনিক অভিযোজনাসমূহ

সম্পাদনা

মিউজিক্যাল

সম্পাদনা

দ্য কমেডি অফ এররস নাটকটি একাধিকবার মিউজিক্যালে অভিযোজিত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই সেই সব ক্ষেত্রে প্রাচীন ধারার সংগীতের সঙ্গে লঘু সংগীতের মিশ্রণ ঘটেছে। এই অভিযোজনাগুলির মধ্যে রয়েছে একটি ভিক্টোরীয় মিউকিক্যাল কমেডি (আর্টস থিয়েটার, কেমব্রিজ, ইংল্যান্ড, ১৯৫১), ব্রেখটিয়ান ফোক অপেরা (আর্টস থিয়েটার, লন্ডন, ১৯৫৬), এবং একটি টু-রিং সার্কাস (ডেলাকর্ট থিয়েটার, নিউ ইয়র্ক, ১৯৬৭)।

সম্পূর্ণ মৌলিক মিউজিক্যাল অভিযোজনাগুলির অন্যতম:

কথাসাহিত্য

সম্পাদনা
 
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ভ্রান্তিবিলাস গ্রন্থের প্রচ্ছদ

১৮৬৯ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর শেকসপিয়রের এই নাটক অবলম্বনে ভ্রান্তিবিলাস নামে একটি আখ্যায়িকা রচনা করেন। বিদ্যাসাগরের এই রচনাটি ছিল বাংলার নবজাগরণের যুগে এদেশে শেকসপিয়র ও রোম্যান্টিক সাহিত্যিকদের রচনা প্রচারের একটি অঙ্গ।[২১][২২]

চলচ্চিত্র

সম্পাদনা

১৯৪০ সালে "দ্য কমেডি অফ এররস" নাটকের ছায়া অবলম্বনে দ্য বয়েজ ফ্রম সাইরাকিউস নামে একটি মিউজিক্যাল চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। এই ছবিতে অ্যান্টিফোলাস ও ড্রোমিও ভ্রাতৃদ্বয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন যথাক্রমে অ্যালান জোনস ও জো পেনার।[২৩]

এরপর বিগ বিজনেস (১৯৮৮) ছবিটি ছিল "দ্য কমেডি অফ এররস" নাটকের একটি আধুনিক পুনর্নির্মাণ। এই ছবিতে যমজ ভ্রাতৃদ্বয়ের পরিবর্তে শেকসপিয়রের নাটকের ধাঁচেই যমজ ভগিনীদ্বয়কে দেখানো হয়েছিল। এই যমজ ভগিনীদ্বয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন বেটে মিডলারলিলি টমলিন[২৪]

ভারতীয় চলচ্চিত্র

সম্পাদনা

ভারতে এই নাটকটি অবলম্বনে আটটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে:

টেলিভিশন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Definition of COMEDY OF ERRORS"www.merriam-webster.com 
  2. শিশিরকুমার দাশ (সংকলন ও সম্পাদনা), সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, ২০০৩ সংস্করণ, পৃ. ১৬০-১৬১
  3. Charles Walters Whitworth, ed., The Comedy of Errors, Oxford, Oxford University Press, 2003; pp. 1–10.
  4. Bloom, Harold, সম্পাদক (২০১০)। The Comedy of Errors। Infobase Publishing। আইএসবিএন 978-1438134406 
  5. Bloom, Harold। "Shakespeare: The Comedy of Errors"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ মে ৫, ২০১৮ 
  6. Billington, Michael (২০১৪-০৪-০২)। "Best Shakespeare productions: The Comedy of Errors"the Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-১৫ 
  7. Bloom, Harold (২০১০)। Marson, Janyce, সম্পাদক। The Comedy of Errors। Bloom's Literary Criticism। New York: Infobase। পৃষ্ঠা 57আইএসবিএন 978-1-60413-720-0It is noteworthy that The Comedy of Errors and Shakespeare's last play, The Tempest, are the only two plays that strictly adhere to the classical unities. 
  8. Eric Heinze, '"Were it not against our laws": Oppression and Resistance in Shakespeare's Comedy of Errors, 29 Legal Studies (2009), pp. 230–63
  9. The identical dates may not be coincidental; the Pauline and Ephesian aspect of the play, noted under Sources, may have had the effect of linking The Comedy of Errors to the holiday season – much like Twelfth Night, another play secular on its surface but linked to the Christmas holidays.
  10. Shakespeare, William (২০০৯-০৯-১৬)। The Comedy of Errors (ইংরেজি ভাষায়)। Random House Publishing Group। আইএসবিএন 978-0-307-41928-6 
  11. The Gentleman's Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। R. Newton। ১৮৫৬। 
  12. Ritchie, Fiona; Sabor, Peter (২০১২-০৪-১৯)। Shakespeare in the Eighteenth Century (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-1-107-37765-3 
  13. Galt, John (১৮৮৬)। The Lives of the Players (ইংরেজি ভাষায়)। Hamilton, Adams। 
  14. DICTIONARY OF NATIONAL BIOGRAPHY (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮৯২। 
  15. Holland, Peter (২০১৪-০৩-২৭)। Garrick, Kemble, Siddons, Kean: Great Shakespeareans: (ইংরেজি ভাষায়)। A&C Black। আইএসবিএন 978-1-4411-6296-0 
  16. Shakespeare, William (সেপ্টেম্বর ১৯৬২)। The Comedy of Errors: Second Series (ইংরেজি ভাষায়)। Cengage Learning EMEA। আইএসবিএন 978-0-416-47460-2 
  17. "Oh, Brother - The Guide to Musical Theatre"www.guidetomusicaltheatre.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১২ 
  18. Rich, Frank (১৯৮১-১১-১১)। "The Stage: 'Oh, Brother!,' a Musical"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১২ 
  19. "Michael Valenti", Wikipedia (ওলন্দাজ ভাষায়), ২০১৮-০৯-২১, সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১২ 
  20. "The Bomb-itty of Errors | Samuel French"www.samuelfrench.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১২ 
  21. Bhattacharya, Budhaditya (২ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। "The Bard in Bollywood"The Hindu। ২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  22. "Archived copy" (পিডিএফ)। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  23. Croyle, Jonathan (জুলাই ১৮, ২০১৬)। "Syracuse goes Grecian for 'Boys from Syracuse' premiere in 1940"syracuse.com 
  24. Benson, Sheila (জুন ১০, ১৯৮৮)। "Midler, Tomlin Do a Twin Turn in 'Big Business'"Los Angeles Times। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৪, ২০১৩ 
  25. Radhakrishnan, Sruthi (২৩ এপ্রিল ২০১৮)। "400 years later, Shakespeare still remains relevant in Indian cinema"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  26. Rajiva Verma, "Shakespeare in Indian Cinema: Appropriation, Assimilation and Engagement", The Shakespearean International Yearbook, 12 2012, 90
  27. Rajiva Verma (২০০৬)। "Shakespeare in Hindi Cinema"। Poonam Trivedi; Dennis Bartholomeusz। India's Shakespeare: Translation, Interpretation and Performance। New Delhi: Dorling Kindersley। পৃষ্ঠা 247–248। 
  28. Shakespeare Influenced Kannada Films
  29. "Double di Trouble – Punjabi Movie"। punjabiportal.com। ২১ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৭-২৪ 
  30. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ 

  এই নিবন্ধটি একটি প্রকাশন থেকে অন্তর্ভুক্ত পাঠ্য যা বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনেচিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Shakespeare, William"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ24 (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 772–797।  (See p. 778; section Dramas.)

দ্য কমেডি অফ এররস নাটকের সংস্করণসমূহ

সম্পাদনা
  • Bate, Jonathan and Rasmussen, Eric (eds.), The Comedy of Errors (The RSC Shakespeare; London: Macmillan, 2011)
  • Cunningham, Henry (ed.) The Comedy of Errors (The Arden Shakespeare, 1st Series; London: Arden, 1907)
  • Dolan, Francis E. (ed.) The Comedy of Errors (The Pelican Shakespeare, 2nd edition; London, Penguin, 1999)
  • Dorsch, T.S. (ed.) The Comedy of Errors (The New Cambridge Shakespeare; Cambridge: Cambridge University Press, 1988; 2nd edition 2004)
  • Dover Wilson, John (ed.) The Comedy of Errors (The New Shakespeare; Cambridge: Cambridge University Press, 1922; 2nd edition 1962)
  • Evans, G. Blakemore (ed.) The Riverside Shakespeare (Boston: Houghton Mifflin, 1974; 2nd edn., 1997)
  • Foakes, R.A. (ed.) The Comedy of Errors (The Arden Shakespeare, 2nd Series; London: Arden, 1962)
  • Greenblatt, Stephen; Cohen, Walter; Howard, Jean E., and Maus, Katharine Eisaman (eds.) The Norton Shakespeare: Based on the Oxford Shakespeare (London: Norton, 1997)
  • Jorgensen, Paul A. (ed.) The Comedy of Errors (The Pelican Shakespeare; London, Penguin, 1969; revised edition 1972)
  • Levin, Harry (ed.) The Comedy of Errors (Signet Classic Shakespeare; New York: Signet, 1965; revised edition, 1989; 2nd revised edition 2002)
  • Martin, Randall (ed.) The Comedy of Errors (The New Penguin Shakespeare, 2nd edition; London: Penguin, 2005)
  • Wells, Stanley (ed.) The Comedy of Errors (The New Penguin Shakespeare; London: Penguin, 1972)
  • SwipeSpeare The Comedy of Errors (Golgotha Press, Inc., 2011)
  • Wells, Stanley; Taylor, Gary; Jowett, John and Montgomery, William (eds.) The Oxford Shakespeare: The Complete Works (Oxford: Oxford University Press, 1986; 2nd edn., 2005)
  • Werstine, Paul and Mowat, Barbara A. (eds.) The Comedy of Errors (Folger Shakespeare Library; Washington: Simon & Schuster, 1996)
  • Whitworth, Charles (ed.) The Comedy of Errors (The Oxford Shakespeare: Oxford: Oxford University Press, 2002)

আরও পড়ুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা