দাগি ঘাসপাখি
দাগি ঘাসপাখি (ইংরেজি: Striated Grassbird) ঘাসপাখির একটি প্রজাতি। বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে এ পাখি দেখা যায়। বাংলাদেশের হাওর এলাকা, নেপালের তেরাই এবং ভারতের পাঞ্জাব, অরুণাচল, আসাম, মণিপুর ও নাগাল্যান্ড প্রদেশের সমতলভূমিতে এদের দেখা যায়। বাংলাদেশের পূর্বে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ চীনে তো আছেই, এছাড়াও পাখিটি ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের কয়েকটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপেও বসতি করেছে। [২] দাগি ঘাসপাখির দৈর্ঘ্য প্রায় এক ফুট এবং ওজন ৫০ গ্রাম। দাগি ঘাসপাখি শুধু আকারেই বড় নয়, এর আবাসও কিছুটা বিস্তৃত।
দাগি ঘাসপাখি | |
---|---|
In Kolkata, West Bengal, India. | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | প্যাসারিফর্মিস |
পরিবার: | Locustellidae |
গণ: | Megalurus |
প্রজাতি: | M. palustris |
দ্বিপদী নাম | |
Megalurus palustris Horsfield, 1821 |
বিবরণ সম্পাদনা
দাগি ঘাসপাখি অধিকাংশ সময় ঘাসের মধ্যে লুকিয়ে থাকলেও কিছু সময় পর পর ওপরে উড়ে চড়া গলায় লম্বা ডাক দিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করাই এর স্বভাব। নানা জাতের ভূচর মাকড়সা ও অন্য পোকামাকড় খেয়েই পাখিটি বেঁচে থাকে। অগ্রহায়ণ, শীত ও বসন্তে হাওর অঞ্চলে ঘাসপাখির বিচরণ ও বসবাসযোগ্য পর্যাপ্ত ঘাসের প্রান্তর জেগে থাকে। কিন্তু পুরো হাওর এলাকা ছয় মাস পানির নিচে ডুবে থাকার ফলে বর্ষার প্রজনন-মৌসুমে এ পাখির আবাসসংকট দেখা দেয়। হাওর-বেসিন ছাড়া এ দেশে যে যৎসামান্য নল, কাশ ও লম্বা-ঘাসের জমি টিকে আছে তা দ্রুত উজাড় হয়ে যাচ্ছে বলে পাখিটির বর্ষার-আবাস আশঙ্কাজনকভাবে সংকুচিত হয়ে পড়ছে।
আবাস সম্পাদনা
এটি বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, রাশিয়া, থাইল্যান্ড, এবং ভিয়েতনামে দেখতে পাওয়া যায়।
গ্যালারি সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ BirdLife International (২০১২)। "Megalurus palustris"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.1। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১২।
- ↑ ,"দাগি ঘাসপাখি", ইনাম আল হক | তারিখ: ২৭-০৭-২০১০[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- BirdLife Internationa, ২০০৪। Megalurus palustris ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ জুন ২০১১ তারিখে. 2006 IUCN Red List of Threatened Species. ডাউনলোড ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০১০।