প্যাসারিফর্মিস

পাখির বর্গ

প্যাসারিফর্মিস (Passeriformes) বর্গটি পক্ষীশ্রেণীর মধ্যে সর্বাপেক্ষা বৃহৎ বর্গ। মোট পাখি প্রজাতির অর্ধেকই এ বর্গের অন্তর্ভুক্ত। প্রায় ৬,৩৫০টি প্রজাতির পাখি নিয়ে এ বর্গটি গঠিত।[] বর্গটি স্তন্যপায়ীদের সবচেয়ে বড় বর্গ রোডেনশিয়ার থেকে প্রায় দ্বিগুণ প্রজাতি ধারণ করে এবং মেরুদণ্ডী প্রাণীদের বর্গের মধ্যে এটাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রজাতিধারী (প্রথম পার্সিফর্মিস)। এ বর্গের পাখিদের গায়ক পাখি, বৃক্ষচর পাখি ইত্যাদি নামে অভিহিত করা হয়।

প্যাসারিফর্মিস
সময়গত পরিসীমা: Eocene-Recent, ৫.৫–০কোটি
দেশি শুমচা
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণীজগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
মহাবর্গ: Passerimorphae
বর্গ: Passeriformes
লিনিয়াস, ১৭৫৮
উপবর্গ

নিবন্ধ দেখুন।

বৈচিত্র্য
প্রায় ১২৬ গোত্রে ৬,৩৫০ প্রজাতি[]

প্যাসারিফর্মিস বর্গটি তিনটি উপবর্গে বিভক্ত। উপবর্গগুলো হল: Acanthisitti (অ্যাকানথিসিটি), Tyranni (টাইরানি) ও Passeri (প্যাসারি)। প্যাসারি উপবর্গের প্রজাতিগুলোর বেশ জটিল ভয়েস বক্স রয়েছে। সে জন্য এরা বেশ সুরেলা শিস দিতে পারে বা গান গাইতে পারে। এরাই মূলত গায়ক পাখি নামে পরিচিত। তবে সব প্যাসারিই সুন্দর গান গাইতে পারে তা নয়। পাতিকাক, হাঁড়িচাচা এরা প্যাসারি হলেও হেঁড়ে গলায় ডাকে। প্যাসারি না হলেও কিছু পাখি খুব সুন্দর গান করতে পারে, যেমন- কোকিল, বউ কথা কও ইত্যাদি। টাইরানিদেরও ভয়েস বক্স রয়েছে, কিন্তু তা গঠনগত দিক থেকে বেশ সরল।

অ্যান্টার্কটিকা বাদে পৃথিবীর সর্বত্রই প্যাসারিফর্মিস বর্গের অন্তর্ভুক্ত প্রজাতিগুলোর দেখা মেলে। তবে বিষুবীয় অঞ্চলে এদের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি।

প্যাসারিফর্মিস বর্গের পাখিদের পায়ের গঠন এমন যাতে ডালপালা, কঞ্চি, শর এমনকি ঘাস আকে ধরে থাকতে পারে। কিছু কিছু প্রজাতি খাড়া পাথর বা গাছের ডাল আকড়ে চলাফেরা করতে পারে। যেমন দাগিলেজ গাছআঁচড়া। এদের পায়ে চারটি সরু লম্বা আঙুল থাকে। তিনটি আঙুল থাকে সামনের দিকে আর একটি থাকে পেছনের দিকে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Order : Passeriformes"। Oiseaux.net। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা