কোকিল কুকুলিডি (Cuculidae) গোত্রের অন্তর্গত একদল পাখি। পৃথিবীব্যাপী কোকিলের প্রায় ২৬টি প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গেছে। অধিকাংশ কোকিল লম্বা ও সরু গঠনবিশিষ্ট, এদের সামান্য বাঁকানো ঠোঁট, লম্বা লেজ এবং দীর্ঘ চোখা ডানা রয়েছে। উভয় পায়েই সামনে ও পেছনের দিকে দুটি করে আঙুল বিদ্যমান।[] অধিকাংশ কোকিল বৃক্ষচর, তবে বেশ কয়েক প্রজাতির ভূচর কোকিলের খোঁজ পাওয়া গেছে। এরা মরু ও মেরু অঞ্চল বাদে প্রায় সমগ্র পৃথিবীজুড়ে বিস্তৃত; বিষুবীয় অঞ্চলে এদের উপস্থিতি প্রকট। বেশ কিছু প্রজাতি আবার স্বভাবে পরিযায়ী। পোকামাকড়, শুককীট ইত্যাদি এদের মূল খাদ্য। এছাড়া ফলমূলও খায়।

কোকিল
পান্না কোকিল (Chrysococcyx maculatus)
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণীজগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: কুকুলিফর্মিস
পরিবার: Cuculidae
ভিগর্স, ১৮২৫
গণ

প্রায় ২৬টি, নিবন্ধ দেখুন

কোকিল বাংলার একটি সুপরিচিত পাখি। এদের চমৎকার গান বসন্তকালকে মুখরিত করে রাখে। এরা বাসা পরজীবী, অর্থাৎ পরের বাসায় ডিম পেড়ে চলে যায়, তাই এদের আরেক নাম পরভৃত। বাংলা ভাষায় কোকিল নিয়ে বেশ কিছু বাগধারা চালু আছে, যেমন কোকিলকন্ঠী মানে হল মধুর গানের গলা বিশিষ্ট, আবার বসন্তের কোকিল মানে হল সুসময়ের বন্ধু।

শ্রেণিবিন্যাস

সম্পাদনা
  • উপশ্রেণী Cuculinae – বাসা পরজীবী কোকিল
  • উপশ্রেণী Phaenicophaeinae – মালকোয়া ও কউয়া
    • গণ Ceuthmochares
    • গণ RhinorthaRaffles's Malkoha
    • গণ Phaenicophaeus – typical malkohas (১১টি প্রজাতি)
    • গণ Carpococcyx – এশীয় ভূচর-কোকিল (৩টি প্রজাতি)
    • গণ Coua – কউয়া (৯টি প্রজাতি, ১টি সম্প্রতি বিলুপ্ত)
  • উপশ্রেণী Coccyzinae[] – American cuckoos
    • গণ Coccyzus – (১৩টি প্রজাতি)
    • গণ Coccycua – (৩টি প্রজাতি)
    • গণ Piaya (২টি প্রজাতি)
  • উপশ্রেণী Neomorphinae – নতুন বিশ্বের ভূচর-কোকিল
    • গণ Taperaদাগি কোকিল
    • গণ Dromococcyx (২টি প্রজাতি)
    • গণ Morococcyx – ছোট ভূচর-কোকিল
    • গণ Geococcyx – রোডরানার (২টি প্রজাতি)
    • গণ Neomorphus – নবক্রান্তীয় ভূচর-কোকিল (৫টি প্রজাতি)
  • উপশ্রেণী Centropodinae – কুবো
    • গণ Centropus (প্রায় ৩০টি প্রজাতি)
  • উপশ্রেণী Crotophaginae – আনি
    • গণ Crotophaga – প্রকৃত আনি (৩টি প্রজাতি)
    • গণ Guira – গুইরা কোকিল

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Cuckoo"। Encyclopaedia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৩ 
  2. Notornis, পৃ. 61
  3. Hughes, Janice M. (২০০৬)। "Systematics and Biodiversity"। Systematics and Biodiversity4 (4): 483–88। ডিওআই:10.1017/S1477200006002052 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা