তুজুক-ই-জাহাঙ্গীরী

তুজুক-ই-জাহাঙ্গীরী বা তুজুক-ঈ-জাহাঙ্গীরী বা তুজুক-এ-জাহাঙ্গিরী (ফার্সি: تزک جہانگیری ) মুঘল সম্রাট নূর-উদ্দিন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের (১৫৬৯-১৬২৭) নিজের আত্মজীবনী। এই আত্মজীবনী জাহাঙ্গীরনামা নামেও পরিচিত,[] তুজুক-এ-জাহাঙ্গিরী ফারসি ভাষায় রচিত এবং তিনি তাঁর পিতামহ সম্রাট বাবরের (১৪৮৭-১৫৩০) রীতি অনুসরণ করেন, যিনি বাবুরনামা লিখেছিলেন। যদিও জাহাঙ্গীর তার রাজত্বের ইতিহাসের পাশাপাশি আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি শিল্প, রাজনীতি এবং তাঁর পরিবার সম্পর্কে তথ্যে একদম প্রতিচ্ছবিগুলোর মতো বিবরণ আকারে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

তুজুক-ই-জাহাঙ্গীরী
প্রচ্ছদ
লেখকজাহাঙ্গীর (পরবর্তীতে মুআতামাদ খান ও মুহাম্মদ হাদী)
মূল শিরোনামتزک جہانگیری
দেশভারতীয় উপমহাদেশ (মুঘল সাম্রাজ্য)
ভাষাফার্সি (মূল)
মুক্তির সংখ্যা
-
বিষয়আত্মজীবনী
প্রকাশিত১৮৬৩ (প্রথম প্রচ্ছদ মুদ্রণ)
প্রকাশকসাইয়্যেদ আহমদ
মিডিয়া ধরন
পৃষ্ঠাসংখ্যা৩১৪
ওসিএলসি৯৫৬৮৭৯৯৯৩
৯২১
ওয়েবসাইটতুজুক-ই-জাহাঙ্গীরী (Urdu)
দরবারে জাহাঙ্গীরের সাথে আবুল হাসান ও মনোহর। জাহাঙ্গীর-নামা থেকে, আনুমানিক ১৬২০ সাল। কাগজে গুয়াশ

সংক্ষিপ্ত বিবরণ

সম্পাদনা
 
জাহাঙ্গীর একটি গোলক ধরে আছেন, ১৬১৪-১৬১৮।

এই লেখাটিতে তাঁর রাজত্বের প্রথম উনিশ বছরের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছিল, তবে তাঁর রাজত্বের সতেরো বছরে তাঁর স্মৃতিচারণ রচনা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এরপরে তিনি ইকবাল-নামা লেখক মুতামাদ খানকে এই দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন, যিনি উনিশ বছরের শুরু থেকে স্মৃতিচারণ চালিয়ে গিয়েছিলেন। যেখান থেকে, মুহাম্মদ হাদী দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন, তিনি এটি জাহাঙ্গীরের মৃত্যু পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছিলেন।[] এটি তাঁর পিতা আকবরের আকবরনামাসহ যুগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স পয়েন্ট গঠন করে। জাহাঙ্গীরনামার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রিত সংস্করণ ছিল সাইয়্যেদ আহমদ, ১৮৬৩ সালে গাজীপুরে এবং ১৮৬৪ সালে আলিগড় থেকে প্রকাশ করা হয়েছিল।[]

জাহাঙ্গীরের আত্মজীবনীতেও বিভিন্ন রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক ইস্যুতে জাহাঙ্গীরের দৃষ্টিভঙ্গির রাজকীয় আদর্শ প্রতিফলিত হয়েছে। স্মৃতিসৌধের মধ্যে, তিনি তাঁর আধুনিক সাম্রাজ্যে আধুনিক স্থানীয় ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে নিয়ে গঠিত তার স্থানীয় স্তরের অনেক আইনি নীতি লক্ষ করেছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল জগিদারদের পরিচালনা ও তাদের নিয়ন্ত্রণের তাঁর ডিক্রি। জগিদারগণ সম্রাটের জমি অনুদান উপাধি জগির ধারক ছিলেন। জমিদারগণ জমির আয় গ্রহণ করতেন এবং সেই আয় প্রধানত সেনাবাহিনীর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এবং শহরের জনগনের প্রয়োজন মেটাতে এটি ব্যবহার করতেন। জাহাঙ্গীর জাগিদারদের মধ্যে দুর্নীতি বন্ধে বিভিন্ন প্রচেষ্টা শুরু করেছিলেন। তিনি জমির আয়ের সেই অংশটি হাসপাতাল ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দিতেন এবং প্রতিটি শহরকে সেই অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্ম অনুসারে প্রয়োজনীয় ধর্মীয় ভবনে সজ্জিত করার আদেশ দিয়েছিলেন। তাদের প্রত্যেককে ব্যক্তিগত লাভের জন্য অর্থ ব্যবহার করতে নিষেধ করেছিলেন। জাহাঙ্গীর জগিরদারদের পরিবারকে শাসন করেছিলেন এবং তাদের সাথে কারও সাথে বিবাহ করার আগে তাঁর অনুমোদনের আদেশ দিয়ে জমিদারদের পরিবার বা জমিজমা সম্পদে আগ্রহ অর্জন থেকে বিরত রেখেছিলেন।

গ্রন্থ-পঁজী

সম্পাদনা

আরো দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Jahangiri Intro ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ মার্চ ২০০৯ তারিখে
  2. "তুজুক-ই-জাহাঙ্গীরী - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৯ 
  3. Preface ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে The Tūzuk-i-Jahangīrī by Alexander Rogers and Henry Beveridge, Royal Asiatic Society, 1909–1914.

অনলাইন কাজ

সম্পাদনা