তকবাক হাকর

তকবাক হাকর বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার একটি প্রাকৃতিক গুহা।

তকবাক হাকর
তকবাক হাকর এর প্রবেশমূখ
অবস্থান	খাগড়াছড়ি জেলা,দীঘিনালা উপজেলা সদর থেকে ১৭ কিলোমিটার
স্থানাঙ্ক	২৩°০৫′১৮″ উত্তর ৯১°৫৭′২৪″ পূর্ব
গভীরতা	৩০ ফুট (প্রায়)
দৈর্ঘ্য	১৪০ ফুট (প্রায়)

বর্ণনা

তকবাক হাকর শব্দটি স্থানীয় ত্রিপুরা/ত্রিপুরী ভাষা।। খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে মেরুং ইউনিয়নের আট মাইল নামক স্থানে অবস্থিত এই গুহাটি।[১]

গুহাটি প্রথমে দেখে মনে হতে পারে প্রাগৈতিহাসিক কোনো স্থাপনা। উঁচু পাথুরে দুটো পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত তকবাক হাকরটি। আরও অবাক করা বিষয় হলো প্রায় ৩০ ফুটেরও বেশি উচ্চতার গুহাটির মাথায় রয়েছে পাথুরে ছাদ। ছাদের মতো দেখতে গুহার ওপরের অংশ দেখে মনে হবে যেন কোনো রাজমিস্ত্রীর নিপুণ নির্মাণশৈলীতে গুহাটি তৈরি হয়েছে। তাই কেউ কেউ এই গুহাটিকে ব্রিটিশ সৈন্যদের ব্যাংকার হিসেবেও মন্তব্য করেছেন। ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে আঁকা-বাঁকা গুহাটিতে যেতে ভয় অনুভূত হবে সবার। মশাল কিংবা মোবাইলের আলোর মাধ্যমেই যাওয়া যাবে গুহাটিতে।

ভিতরে একদম শুষ্ক। গুহাতে যাওয়ার সময়ের যাত্রাপথ এবং এর আশ-পাশের পরিবেশ অ্যাডভেঞ্চাপ্রেমীদের জন্য রয়েছে বাড়তি পাওনা।

যোগাযোগ

গুহাটিতে আসার জন্যে গাড়িতে করে প্রথমে খাগড়াছড়ি সদরে আসতে হবে। পরবর্তিতে আবার খাগড়াছড়ি সদর থেকে গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে গুহাটিতে। খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা মূলসড়ক মধ্যবর্তী আটমাইল এলাকা থেকে যেতে হবে এই গুহায়। মূলসড়ক থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার ইটের রাস্তা যাওয়া যাবে গাড়িতে। ইটের রাস্তা শেষ করলেই শুরু হবে দুই কিলোমিটার পায়ে হাঁটাপথ।

পাহাড়ের ভেতরের পথ ধরে হাঁটতে হবে প্রায় ২০মিনিট। এই ২০ মিনিটে কখনো পাহাড় বেয়ে নামতে হবে। কখনো আবার হিম শীতল পানির পথ ধরে হাঁটতে হবে। গুহায় শুষ্ক মৌসুমে পানি না থাকলেও ভরা বর্ষায় পাওয়া যাবে তার বুনো রূপ। তখন তার গা ঘেঁষে নামা নিশ্চিত দারুণ এক অনুভূতি পাওয়া যাবে।

তারপর মাইরুং তৈসা ছড়া দিয়ে ৫/৭মিনিট গেলেই পৌঁছে যাবেন ‘তকবাক হাকর’ গুহার মুখে।

তথ্যসূত্র

• দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় খবর [২]
• দৈনিক সমকাল পত্রিকায় খবর [৩]

আরও দেখুন

• আলুটিলা গুহা
• তৈদুছড়া ঝর্ণা
• তুয়ারি মাইরাং
• মাতাই হাকর