ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা হল বাংলাদেশে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইরান, জাপান, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও দেশের প্রতিষ্ঠান মেলায় নিজেদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করে। দেশি ও বিদেশি পণ্যসামগ্রী প্রদর্শন, রপ্তানি বাজার অনুসন্ধান এবং দেশি-বিদেশি ক্রেতার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে এ মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিল্পপণ্য ও ভোগ্যপণ্য উত্পাদনকারীরা একদিকে তাদের উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান, নকশা, প্যাকেজিং ইত্যাদি প্রদর্শন ও বিপণন করতে পারেন, অন্যদিকে পারস্পরিক সংযোগ স্থাপনসহ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রসারের সুযোগ লাভ করে। এ মেলা প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা | |
---|---|
অবস্থা | সক্রিয় |
ধরন | আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা |
আরম্ভ | জানুয়ারিত প্রথম সপ্তাহ |
সমাপ্তি | ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ |
পুনরাবৃত্তি | বার্ষিক |
ঘটনাস্থল |
|
অবস্থান (সমূহ) | পূর্বাচল, ঢাকা |
দেশ | বাংলাদেশ |
প্রবর্তিত | ১ ডিসেম্বর ১৯৯৫ |
আয়োজনে | বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে |
ওয়েবসাইট | |
http://www.ditf-epb.gov.bd/ |
নতুন স্থল
সম্পাদনা২০২১ পর্যন্ত এই বাণিজ্য মেলা শেরে বাংলা নগরে আয়োজিত হত। ২০২২ থেকে এই বাণিজ্য মেলা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে আয়োজিত হচ্ছে। পূর্বাচল ৪ নম্বর সেক্টরে ২০ একর জমির ওপর স্থায়ী বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করে চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর নির্মাণ কাজ শেষ করে। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা, যার মধ্যে চীন সরকারের অনুদান ৫২০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার ২৩১ কোটি ও ইপিবির নিজস্ব তহবিল থেকে ২১ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। এ প্রদর্শনী কেন্দ্রের মোট ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার বর্গমিটার। ভবনের মোট ফ্লোর স্পেস ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার। এক্সিবিশন হলের মোট আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার। দোতলা পার্কিং ভবনে ৭ হাজার ৯১২ বর্গ মিটার জায়গায় ৫০০ গাড়ি রাখা যাবে। এছাড়া প্রদর্শনী ভবনের সামনে খোলা জায়গায় আরও এক হাজার গাড়ি পার্ক করা যাবে। প্রদর্শনী হলে ৮০০টি স্টল বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথের আয়তন ৯.৬৭ বর্গমিটার।[১] এখানে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৬তম আসর শুরু হয়।[২]
বিক্রি ও রপ্তানি আদেশ
সম্পাদনা- ২০২৩ সালের বাণিজ্য মেলায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়। প্রায় ৩০০ কোটি টাকার রফতানি আদেশ পাওয়া গিয়েছিল।
- ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসর চলে ২১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত। স্টলের সংখ্যা ছিল ৩৫১টি। বাংলাদেশ ছাড়াও পাঁচটি দেশের ৯টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেয়। দেশগুলো হলো ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর। ২৮তম আসরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়। প্রায় ৩৯২ কোটি টাকার রফতানি আদেশ পাওয়া গেছে।[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "১৭ মার্চ শুরু হচ্ছে না বাণিজ্য মেলা, বিডিনিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১"। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ ঢাকার পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু, যুগান্তর, ১ জানুয়ারি ২০২২
- ↑ বাণিজ্য মেলায় বিক্রি ৪০০ কোটি, রফতানি আদেশ ৩৯২ কোটি, বাংলা ট্রিবিউন, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বহিসংযোগ
সম্পাদনাবাংলাদেশ বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |