টাঙ্গাইল কমিউটার
টাঙ্গাইল কমিউটার (ট্রেন নং টাঙ্গাইল কমিউটার ১–২) বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের একটি কমিউটার ট্রেন। এটি টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশন (বিবি ইস্ট) থেকে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে।[১]
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
---|---|
পরিষেবা ধরন | এক্সপ্রেস |
অবস্থা | চালু |
বর্তমান পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
যাত্রাপথ | |
শুরু | বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন |
বিরতি | ১৩টি |
শেষ | কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন |
পরিষেবার হার | চালু আছে |
রেল নং | টাঙ্গাইল কমিউটার ১–২ |
যাত্রাপথের সেবা | |
আসন বিন্যাস | আছে |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | নেই |
খাদ্য সুবিধা | নেই |
মালপত্রের সুবিধা | ওভারহেড রেক |
কারিগরি | |
ট্র্যাক গেজ | ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি) |
ট্র্যাকের মালিক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
রক্ষণাবেক্ষণ | ঢাকা |
সময়সূচিসম্পাদনা
- টাঙ্গাইল কমিউটার বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য ছাড়ে সকাল 6টায়, ঢাকা পৌঁছে সকাল 9 টা ৫০ মিনিটে।
- ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছাড়ে বিকেল ৬টা, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন পৌঁছাবে রাত ৮টা ৫০ মিনিটে।
যাত্রাবিরতিসম্পাদনা
ইতিহাসসম্পাদনা
ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশন-ঢাকা রুটে "টাঙ্গাইল কমিউটার" নামে এই ট্রেনটি চালু করা হয় তুরাগ এক্সপ্রেস এর রেক দিয়ে। এতে বন্ধ করে দেওয়া হয় তুরাগ এক্সপ্রেস কে। ফলে তুরাগ এক্সপ্রেস এর অনেক যাত্রী উক্ত ট্রেন পুনরায় চালু করার জন্য মানববন্ধন করেন।
এই মানববন্ধন বন্ধ করে তুরাগ এক্সপ্রেস চালুর ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অবমুক্ত ব্রডগেজ ভ্যাকুয়াম রেক দিয়ে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন এবং উক্ত ট্রেনের মিটারগেজ রেক দ্বারা পুনরায় তুরাগ এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল শুরু করে।
করোনার মহামারীর সময়ে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন বন্ধ থাকায় ২০২০ সালের ১৫ই অক্টোবর এই ট্রেনের রেক দিয়ে রাজশাহী-বি.মু.সি.ই-রাজশাহী রুটে বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস নামে একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু হয়। ফলে টাঙ্গাইল কমিউটার এর নিজস্ব কোনো রেক আপাতত না থাকলেও রেল বিভাগ জানায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ইন্দোনেশিয়ার পিটি ইনকার তৈরি নতুন আধুনিক রেক পাওয়ায় এর অবমুক্ত মিটার-গেজ ভ্যাকুয়াম রেক টাঙ্গাইল এক্সপ্রেসকে দেওয়া হবে।
অবশেষে ২০২০ সালের ১৯শে ডিসেম্বর থেকে আন্তনগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের অবমুক্ত ভ্যাকুয়াম রেক দ্বারা পরিচালনা শুরু করা হয়।
এই ট্রেনটিতে ২৩০০ শ্রেনীর লোকোমেটিড ব্যবহার করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "ঢাকা-টাঙ্গাইল-ঢাকা ব্রডগেজ ট্রেন সার্ভিস চালু"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৮।