জ্যাক নিউম্যান (নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার)
স্যার জ্যাক নিউম্যান, সিবিই (ইংরেজি: Jack Newman; জন্ম: ৩ জুলাই, ১৯০২ - মৃত্যু: ২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬) নেলসনের কাছাকাছি ব্রাইটওয়াটার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ব্যবসায় নির্বাহী ছিলেন।[১] নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩২ থেকে ১৯৩৩ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জ্যাক নিউম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ব্রাইটওয়াটার, নিউজিল্যান্ড | ৩ জুলাই ১৯০২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ নেলসন, নিউজিল্যান্ড | (বয়স ৯৪)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২২) | ১ মার্চ ১৯৩২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩১ মার্চ ১৯৩৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ মে ২০১৯ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি ও ওয়েলিংটনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপন করেছেন জ্যাক নিউম্যান।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯১৭ থেকে ১৯২০ সময়কালে নেলসন কলেজে অধ্যয়ন করেন।[২] ১৯২২-২৩ মৌসুম থেকে ১৯৩৫-৩৬ মৌসুম পর্যন্ত জ্যাক নিউম্যানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৫০-৫১ মৌসুমে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস গঠনের পূর্ব-পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের প্রধান চার শহরের বাইরে থেকে খেলোয়াড়েরা শহরের নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক মনোনীত হলেও প্রায়শঃই উপেক্ষিত হতেন। ফেব্রুয়ারি, ১৯২৩ সালে একটিমাত্র খেলায় অংশ নেন। পরবর্তী আট মৌসুমে তিনি কোন প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেননি। এরপর তিনি ওয়েলিংটনের পক্ষে খেলার সুযোগ পান। টেস্ট দলে মনোনীত হবার পূর্বে তিনি তার সেরা সময় পার করে এসেছিলেন। ১৯৩১-৩২ মৌসুমে দলে অন্তর্ভূক্তির এক সপ্তাহ পূর্বে ওতাগোর বিপক্ষে খেলায় ৯৬ রান খরচায় ১০ উইকেট পেয়েছিলেন। ক্রিকেটার হিসেবে জ্যাক নিউম্যান তিনবার টেস্টে অংশ নিয়েছেন। ১৯৩২ ও ১৯৩৩ সালে এ তিনটি টেস্টে বামহাতি মিডিয়াম-পেস বোলার হিসেবে খেলেছেন। এরফলে প্রথম নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার হিসেবে কান্ট্রি ক্রিকেটে অংশ না নিয়েই সরাসরি টেস্ট ক্রিকেটে খেলার সুযোগ পান। তিনি সাউথ আইল্যান্ডের নেলসন থেকে এসেছেন। ৫৩ বছর বয়সে নেলসনের পক্ষে সর্বশেষ খেলায় অংশ নেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেছিলেন জ্যাক নিউম্যান। ১ মার্চ, ১৯৩২ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। পরের বছর ৩১ মার্চ, ১৯৩৩ তারিখে অকল্যান্ডে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে খারাপ ফিল্ডিংয়ের কারণে ২/৭৬ পান। পরের মৌসুমে তিনি উইকেটশূন্য অবস্থায় থাকেন। অকল্যান্ড টেস্টে ওয়ালি হ্যামন্ডের হাতে উপর্যুপরী তিন ছক্কা দিতে বাধ্য হন। এ সময়ে ওয়ালি হ্যামন্ড অপরাজিত ৩৩৬ রান তুলে তৎকালীন টেস্ট রেকর্ড গড়েছিলেন। তিন টেস্টে ২৫৪ রান দিয়ে ২ উইকেট ও ৮.২৫ গড়ে ৩৩ রান তুলতে পেরেছিলেন।
অবসর
সম্পাদনাক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৩ সময়কালে টেস্ট দল নির্বাচকের ভূমিকায় আবির্ভূত হন। এরপর ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সময়কালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি হন।[১][৩] ক্রিকেট খেলার পাশাপাশ রাগবি ফুটবলে পারদর্শী ছিলেন জ্যাক নিউম্যান।[১]
খেলার বাইরে থেকে পারিবারিক ছোট্ট প্রতিষ্ঠান পরিবহন ব্যবসায় নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানটি টিএনএল গ্রুপ নামে পরিচিত। ১৯৮০ সালে সভাপতি হিসেবে অবসর নেন। অবসর গ্রহণের পর এয়ার চার্টার কোম্পানি নিউম্যানস এয়ার প্রতিষ্ঠা করেন। এটি নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া বিমান পরিবহনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিতি পায়। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে অ্যানসেট নিউজিল্যান্ডের সাথে একীভূত হয়ে যায়।
সম্মাননা
সম্পাদনা১৯৬৩ সালে রাণীর জন্মদিনের সম্মাননায় জ্যাক নিউম্যানকে নিউজিল্যান্ডের পর্যটন খাতে অনন্য সেবা প্রদান করায় অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার কমান্ডার উপাধিতে ভূষিত করা হয়।[৪] এরপর ১৯৭৭ সালে রজক জয়ন্তী ও রাণীর জন্মদিনের সম্মাননায় পরিবহন শিল্প, বাণিজ্য ও সম্প্রদায়ে সেবা প্রদানের প্রেক্ষিতে নাইট ব্যাচেলর হিসেবে মনোনীত হন। [৫]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনা২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬ তারিখে ৯৪ বছর বয়সে নেলসনে জ্যাক নিউম্যানের দেহাবসান ঘটে।[১] মৃত্যুকালীন তিনি বয়োঃজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটারের সম্মাননা পেয়েছিলেন। তার মৃত্যুর পর লিওনেল বার্কেট এ সম্মাননায় ভূষিত হন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন তিনি। মার্টল নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির চার কন্যা ছিল। তার অপর দুই ভাই এস নিউম্যান ও এ নিউম্যান প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ Lash, Max D.। "Newman, Jack"। ডিকশনারি অব নিউজিল্যান্ড বায়োগ্রাফি। মিনিস্ট্রি ফর কালচার এন্ড হেরিটেজ। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১০।
- ↑ Nelson College Old Boys' Register, 1856–2006, 6th edition
- ↑ ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জ্যাক নিউম্যান (ইংরেজি)
- ↑ London Gazette (supplement), No. 43012, 31 May 1963. Retrieved 11 February 2013.
- ↑ London Gazette (supplement), No. 47237, 10 June 1977 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ জুন ২০১৩ তারিখে. Retrieved 10 February 2013.
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জ্যাক নিউম্যান (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জ্যাক নিউম্যান (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
পূর্বসূরী বব ওয়াট |
বয়োঃজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটার ২০ এপ্রিল, ১৯৯৫ - ২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬ |
উত্তরসূরী লিওনেল বার্কেট |