জোছনা ও জননীর গল্প

হুমায়ুন আহমদের উপন্যাস

জোছনা ও জননীর গল্প বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের উপর ভিত্তি করে হুমায়ুন আহমেদ রচিত একটি উপন্যাস। ফেব্রুয়ারি ২০০৪ সালে (ফাল্গুন, ১৪০০ বঙ্গাব্দ) একুশে গ্রন্থমেলায় বাংলাদেশের অন্যপ্রকাশ, ঢাকা থেকে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত তাঁর নিজ জীবনের এবং নিকট সম্পর্কিত ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন ব্যক্তির বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা তিনি উপন্যাসিক আঙ্গিকে এতে ফুটিয়ে তুলেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ তৎকালীন কিছু উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের ঘটনা তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে উঠে এসেছে এই উপন্যাসটিতে।[] প্রকাশের পর থেকে বহুবার বইটি একুশে বইমেলার সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের তালিকায় প্রথম সারিতে ছিল।[]

জোছনা ও জননীর গল্প
প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ
লেখকহুমায়ুন আহমেদ
প্রচ্ছদ শিল্পীমাসুম রহমান
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
বিষয়বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ
ধরনউপন্যাস
প্রকাশিতফেব্রুয়ারি, ২০০৪
প্রকাশকঅন্যপ্রকাশ
মিডিয়া ধরনছাপা (হার্ডকভার)
পৃষ্ঠাসংখ্যা৫২৭ (প্রথম প্রকাশ)
আইএসবিএন ৯-৮৪৮-৬৮২৭৬-৭

গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রসমূহ

সম্পাদনা

বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া চরিত্রসমূহ

সম্পাদনা

উপন্যাসের কাল্পনিক চরিত্রসমূহ

সম্পাদনা
  • শাহেদ  – এটিও বাস্তব একটি চরিত্র তবে উপন্যাসে লেখক সত্যের সাথে কল্পনা যোগ কয়েছেন
  • ইরতাজউদ্দিন  – শাহেদের বড় ভাই
  • আসমানী  – শাহেদের স্ত্রী
  • রুনি  – শাহেদের মেয়ে
  • গৌরাঙ্গ  – শাহেদের বন্ধু
  • মোবারক হোসেন  – নাইমুলের শ্বশুর এবং পুলিশ ইন্সপেক্টর
  • নাইমুল  – শাহেদের বন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধা
  • মরিয়ম  – নাইমুলের স্ত্রী ও মোবারক হোসেনের কন্যা
  • কলিমুল্লাহ  – কবি,
  • কঙ্কন  – গৌরঙ্গের মেয়ে
  • এবং অন্যান্য।

টেলিভিশন ধারাবাহিক

সম্পাদনা

২০০৮ সালে বিটিভিতে এই উপন্যাসের কাহিনী অবলম্বনে ধারাবাহিক সম্প্রচার শুরু হয়।[] হুমায়ুন আহমেদ নিজেই এই ধারাবাহিকের পরিচালক ছিলেন। কিন্তু তিন পর্ব প্রচারিত হবার পরে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকায় স্থাপিত লালন ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে তিনি এর কাজ বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে ২০১০ সালে আবারও এই ধারাবাহিকের কাজ শুরু হয়।[]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. banglanews24.com"হুমায়ূন আহমেদ : জোছনা ও জননীর গল্প"banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৬ 
  2. "সবসময়-ই বেস্টসেলারের শীর্ষে হুমায়ূন আহমেদ"চ্যানেল আই অনলাইন। ২০১৯-০৮-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "আবার 'জোছনা ও জননীর গল্প'"দৈনিক প্রথম আলো। ২০১৯-০৮-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১০ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা