জেমস হলোস

ইংরেজ ক্রিকেটার

জেমস হলোস (ইংরেজি: James Hallows; জন্ম: ১৪ নভেম্বর, ১৮৭৩ - মৃত্যু: ২০ মে, ১৯১০) বোল্টনের লিটল লেভার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে বোলিং করতেন তিনি।

জেমস হলোস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজেমস হলোস
জন্ম(১৮৭৩-১১-১৪)১৪ নভেম্বর ১৮৭৩
লিটল লেভার, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২০ মে ১৯১০(1910-05-20) (বয়স ৩৬)
ফার্নওয়ার্থ, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনশুরুতে - বামহাতি ফাস্ট, পরবর্তীতে - মিডিয়াম পেস
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
সম্পর্কচার্লস হলোস (ভাইপো)
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৮৯৮–১৯০৭ল্যাঙ্কাশায়ার
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট অভিষেক৯ মে ১৮৯৮ ল্যাঙ্কাশায়ার বনাম মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)
শেষপ্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট২৯ মে ১৯০৭ ল্যাঙ্কাশায়ার বনাম এসেক্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৩৯
রানের সংখ্যা ৫০৬৫
ব্যাটিং গড় ২৮.৭৭
১০০/৫০ ৮/২৩
সর্বোচ্চ রান ১৩৭*
বল করেছে ১৬৬৯৪
উইকেট ২৮৭
বোলিং গড় ২৩.২৬
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৪
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৯/৩৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫৭/-
উৎস: ক্রিকইনফো, ১০ আগস্ট ২০১৮

কাউন্টি ক্রিকেট সম্পাদনা

১৮৯৮ থেকে ১৯০৭ সময়কালে কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারের সদস্য ছিলেন।

বামহাতি মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ও বামহাতি বোলার হিসেবে খেলতেন জেমস হলোস। শুরুরদিকে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করলেও পরবর্তীতে মিডিয়াম পেস বোলিংয়ের দিকে ধাবিত হন তিনি।[১] ১৮৯৮ সাল থেকে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে স্বল্পকিছু খেলায় অংশ নেন। কিন্তু, ১৯০১ সালে দলের নিয়মিত সদস্যরূপে খেলেন। ঐ মৌসুমে ইনিংস প্রতি ৩১-এর অধিক গড়ে ১১৭০ রান তুলেছিলেন তিনি।[২]

পরবর্তী দুই মৌসুম তুলনামূলকভাবে তেমন সাফল্য না পেলেও ১৯০৪ সালে সিডনি বার্নসের চলে যাবার ফলে ল্যাঙ্কাশায়ারের ঘাটতি মোকাবেলায় নিজেকে ওতপ্রোতভাবে জড়ান। ১০০০ রান ও ১০০ উইকেট লাভের ন্যায় অল-রাউন্ডার ডাবল লাভে সক্ষমতা দেখান তিনি। ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয় করে। ফলশ্রুতিতে উইজডেনের ১৯০৫ সালের সংস্করণে অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন জেমস হলোস।[১]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

১৯০৫ সালে তার ব্যাটিংশৈলী কার্যকর থাকলেও বোলিংয়ের মান বেশ নিম্নমূখী হতে থাকে। ১৯০৬ সালে খুব কমই খেলায় অবদান রাখছিলেন। ১৯০৭ সালে তার স্বাস্থ্য ভাঙ্গতে থাকে। তিনি মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

১৯২০-এর দশকে ল্যাঙ্কাশায়ার ও ইংল্যান্ডের প্রথিতযশা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান চার্লি হলোস সম্পর্কে তার ভ্রাতৃস্পুত্র। ২০ মে, ১৯১০ তারিখে ৩৬ বছর বয়সে ফার্নওয়ার্থে জেমস হলোসের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "James Hallows"। www.cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০০৮ 
  2. "First-class Batting and Fielding in each Season by James Hallows"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০০৮ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা