জেমস ক্যামেরন

কানাডীয় চলচ্চিত্র পরিচালক

জেমস ফ্রান্সিস ক্যামেরন (জন্ম: ১৬ই আগস্ট, ১৯৫৪) একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী কানাডীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজকচিত্রনাট্য লেখক। মূলত অ্যাকশনধর্মী ও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীমূলক চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য তিনি বিখ্যাত। এ ধরনের ছবিগুলোতে তার উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। একই সাথে সেগুলোর ব্যবসায়িক সফলতাও লক্ষণীয়। তার চলচ্চিত্র নির্মাণের মুখ্য বিষয়বস্তু হল মানুষের সাথে প্রযুক্তির সম্পর্ক। ক্যামেরন টাইটানিক ছবিটি রচনা, পরিচালনা ও সম্পাদনা করেছেন। ১১টি বিষয়শ্রেণীতে অস্কার জয়ের পাশাপাশি এই ছবিটি বিশ্বব্যাপী বিপুল আয় করেছিল। মুদ্রাস্ফীতি বাদ দিলে এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আয় করা চলচ্চিত্র। এর মোট আয়ের পরিমাণ ছিল ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

জেমস ক্যামেরন
James Cameron October 2012.jpg
২০১২ সালে জেমস ক্যামেরন
জন্ম
জেমস ফ্রান্সিস ক্যামেরন
অন্যান্য নামজিম ক্যামেরন
আয়রন জিম
দাম্পত্য সঙ্গীশ্যারন উইলিয়াম্‌স (১৯৭৮-৮৪)
গেইল অ্যান হার্ড (১৯৮৫-৮৯)
ক্যাথরিন বিগেলাউ (১৯৮৯-৯১)
লিন্ডা হ্যামিল্টন (১৯৯৭-৯৯)
সুজি অ্যামিস (২০০০-)
পুরস্কারস্যাটার্ন পুরস্কার - সেরা রচনা
১৯৮৪ দ্য টারমিনেটর
1986 এলিয়েন্‌স
স্যাটার্ন পুরস্কার - সেরা পরিচালক
১৯৮৬ এলিয়েন্‌স
১৯৮৯ দ্য অ্যাবিস
১৯৯১ টার্মিনেটর ২: জাজমেন্ট ডে
১৯৯৪ ট্রু লাইস

এছাড়া ক্যামেরন টার্মিনেটর ফ্রানচাইজ নির্মাণ করেছেন। নিজেই দ্য টারমিনেটরটার্মিনেটর ২: জাজমেন্ট ডে ছবি দুটির পরিচালক ও লেখক ছিলেন। মুদ্রাস্ফীতির বিবেচনা না করলে সিনেমা নির্মাণ করে তিনি এখন পর্যন্ত আয় করেছেন প্রায় ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।[১] টাইটানিক-এর বিপুল সফলতার পর ক্যামেরন মূলত প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে মনোযোগ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি ত্রিমাত্রিক ক্যামেরন/পেইস ফিউশন ক্যামেরা সিস্টেমের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। অ্যাভাটর ছবি নির্মাণের মাধ্যমে তিনি পুনরায় পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি নির্মাণের ধারায় ফিরে আসবেন। এই ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে ফিউশন ক্যামেরা সিস্টেমের ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ২০০৯-এর ডিসেম্বরে এটি মুক্তি পেয়েছে।এটি এখন পর্যন্ত বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জনকারী সিনেমা।[২]

পরিচালিত চলচ্চিত্রসমূহসম্পাদনা

আরও দেখুনসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

আরও পড়ুনসম্পাদনা

বহিঃসংযোগসম্পাদনা