জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর
এই নিবন্ধটি কিংবা অনুচ্ছেদটি গণভবন নিবন্ধে একত্র করা যেতে পারে। (আলোচনা করুন) প্রস্তাবের তারিখ: সেপ্টেম্বর ২০২৪। |
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর হলো একটি প্রস্তাবিত স্মৃতি জাদুঘর যা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত ঐতিহাসিক গণভবনকে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।[১] ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের পঞ্চম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।[২][৩][৪]
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর | |
---|---|
সাধারণ তথ্যাবলী | |
ঠিকানা | শেরে বাংলা নগর |
শহর | ঢাকা |
দেশ | বাংলাদেশ |
ইতিহাস
সম্পাদনাঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অসহযোগ আন্দোলন সফল হওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হলে সেখানে অফিস শুরু করেন, যদিও তিনি নিজে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে বসবাস করতেন।[৫] ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেলে হাজার হাজার জনতা গণভবনে প্রবেশ করে উল্লাস করে এবং কিছু আসবাবপত্র নিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটিকে জনগণের স্মৃতিরক্ষার স্থান হিসেবে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করা হয়।[২][৩][৬]
অবস্থান
সম্পাদনাএটি মিরপুর সড়কের পশ্চিম পাশে ও লেকসড়কের ক্রসিং-এ অবস্থিত এবং জাতীয় সংসদ ভবন থেকে পাঁচ মিনিটের হাঁটা দূরত্বে অবস্থিত। এই অঞ্চলটি ঢাকার সবচেয়ে নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকা। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও জাতীয় সংসদের দূরত্ব সামান্য।[৭][৮]
আরও পড়ুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "গণভবনকে 'জুলাই গণ–অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর' করার সিদ্ধান্ত"। প্রথম আলো। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ ক খ "গণভবন হবে 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর'"। দ্য ডেইলি স্টার। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ ক খ "গণভবন হবে 'জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর'"। জাগোনিউজ। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২৪-১০-২৮)। "গণভবন জাদুঘরে দুঃশাসনের প্রতীক 'আয়নাঘরের' রেপ্লিকা থাকা উচিত: প্রধান উপদেষ্টা"। The Daily Star Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৮।
- ↑ "বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "গণভবনকে 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর' করার সিদ্ধান্ত সরকারের"। বণিক বার্তা। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "গণভবনের জাদুঘরে কী কী নিদর্শন থাকবে, জানালেন আসিফ ও নাহিদ"।
- ↑ "গণভবন বরাদ্দ নিয়েও শেখ হাসিনা যখন ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন"। বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৯-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৯।