জাহাঙ্গীর খান
জাহাঙ্গীর খান, এইচআই (গুরুমুখী: جہانگیر خان; জন্ম: ১০ ডিসেম্বর, ১৯৬৩) পাকিস্তানের[১] করাচিতে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত পেশাদার স্কোয়াশ খেলোয়াড়। স্কোয়াশ ক্রীড়ার ইতিহাসে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে অদ্যাবধি তিনি বিবেচিত হয়ে আসছেন।[২][৩][৪] তিনি প্রায় ২৫ বছর একচেটিয়াভাবে এ ক্রীড়ায় প্রাধান্য বিস্তার করেন। শেষ খেলায় অস্ট্রেলিয়ার রডনি মার্টিনকে ১৫-৫, ১৫-৮ এবং ১৫-১০ পয়েন্টের ব্যবধানে পরাভূত করেন। স্কোয়াশে তিনি বিশ্বের সাবেক ১নং খেলোয়াড় হিসেবে বৈশ্বিকভাবে পরিচিত ব্যক্তিত্ব।
জাহাঙ্গীর খান | |
---|---|
দেশ | পাকিস্তান |
বাসস্থান | করাচি, পাকিস্তান |
জন্ম | করাচি, পাকিস্তান | ১০ ডিসেম্বর ১৯৬৩
অবসর | ১৯৯৩ |
পুরুষ একক | |
সর্বোচ্চ র্যাঙ্ক | ১নং |
ওয়ার্ল্ড ওপেন | জয় (১৯৮১, ১৯৮২, ১৯৮৩, ১৯৮৪, ১৯৮৫, ১৯৮৮) |
সর্বশেষ হালনাগাদ: ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১০। |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাপেশোয়ারের নিউওয়ে কিলে এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর খানের বংশধরগণ এসেছেন।[৫] শৈশবে রোগাক্রান্ত ও শারীরিকভাবে ভীষণ দূর্বল ছিলেন তিনি। চিকিৎসকগণ পরামর্শ দিয়েছিলেন যেন তাকে কোনরূপ কায়িক শ্রমে নিযুক্ত করা না হয়। পরবর্তীকালে বেশ কয়েকবার হার্নিয়া অপারেশন করে তার বাবা তাকে খেলতে দেন ও পারিবারিক ক্রীড়া হিসেবে পরিচিত স্কোয়াশে অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা চালান। তার বাবার নাম রোশন খান। তিনি ১৯৫৭ সালের ব্রিটিশ ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাধারী ছিলেন। তিনিই জাহাঙ্গীরকে স্কোয়াশে কোচিং করান। তারপর প্রয়াত ভাই তোরসাম খান এ দায়িত্ব পান।[৬] ভাইয়ের অকাল মৃত্যুতে চাচাতো ভাই রেহমত খান জাহাঙ্গীরের খেলোয়াড়ী জীবনের অধিকাংশ সময় কোচের দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত জাহাঙ্গীর খান স্ত্রী রুবিনাকে নিয়ে নিউওয়ে কিলে এলাকায় বসবাস করছেন। তাদের সংসারে ওমর ও মরিয়ম নাম্নী দুই সন্তান রয়েছে। বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ নাতাশা খান, অভিনেত্রী সাশা আগা জাহাঙ্গীরের চাচাতো বোন।
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনাবিশ্ব ওপেন ছয়বার জয় করেন। এছাড়াও রেকর্ডসংখ্যক দশবার ব্রিটিশ ওপেন জয় করেন জাহাঙ্গীর। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত তিনি প্রতিযোগিতামূলক স্কোয়াশ খেলায় অপরাজিত ছিলেন। এ সময়ে ধারাবাহিকভাবে ৫৫৫ খেলায় বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। এ সাফল্যটি শীর্ষ পর্যায়ের যে-কোন অ্যাথলেটিক ক্রীড়াঙ্গনে দীর্ঘস্থায়ী সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে, যা গিনেস বিশ্বরেকর্ডে স্থান পেয়েছে।[৭] ১৯৯৩ সালে স্কোয়াশ খেলা থেকে অবসর নেন। এরপর ২০০২ সাল থেকে বিশ্ব স্কোয়াশ ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন জাহাঙ্গীর খান।
পুরস্কার
সম্পাদনা- ১৯৮২ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক প্রাইড অফ পারফরম্যান্স পুরস্কার প্রদান করেন ক্রীড়াতে উলেখ্যযোগ্য অবদান এর জন্য।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "When was Jahangir Khan born?"। Britannica.com। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১০।
- ↑ "Greatest player"। Squashsite। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১০।
- ↑ Jahangir injury hastens final exit, The Independent, 24 September 1992
- ↑ Jahangir Khan hopes for squash's 2016 Olympic debut ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে, Webindia123.com, 26 August 2008
- ↑ Poor Peshawar village home of squash dynasty. Central Asia Online. 15 March 2010.
- ↑ "Bat for Lashes: off the wall". The Daily Telegraph (London). 26 February 2009.
- ↑ "Beyond Sport"। beyondsport.org। ২২ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১১।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- The Incredible Khans of Squash: Part III Jahangir
- ve.org/web/20060220155422/http://squashtalk.com/pakistan/diner_khan3.htm The Khan Family, A Squash Dynasty Part III[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- Pakistan Squash - The Khan Supremacy Part VII
- Jahangir Khan page at Squashpics.com
- Details of Jahangir's rivalry with Jansher Khan
- Article on Jahangir's hardball squash rivalry with Mark Talbott
- World Squash Awards ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে
- The KhanSquash Management Group - (archived)