জামাই মেলা, জামালপুর
জামাই মেলা বাংলাদেশের জামালপুর জেলার সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ ইউনিয়নের গোপালপুর বাজারে অনুষ্ঠিত বার্ষিক গ্রাম্য মেলা। ৩ দিন স্থায়ী এই মেলাটি বাংলা চৈত্র মাসের ১ তারিখে শুরু হয়ে ৩ তারিখে শেষ হয়।[১]
জামাই মেলা, জামালপুর | |
---|---|
অবস্থা | বাৎসরিক |
ধরন | গ্রামীণ মেলা |
অবস্থান (সমূহ) | গোপালপুর বাজার, সদর উপজেলা, জামালপুর জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
প্রবর্তিত | ১৮০০-এর দশক |
অতি সাম্প্রতিক | ২০১৯ |
ইতিহাস
সম্পাদনাব্রিটিশ শাসনামলে ১৮০০-এর দশকে গোপালপুর বাজারে একটি বটবৃক্ষের নিচে বারুনি স্নান উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায় সেখানে জমায়েত হতো।[২] সেখান থেকে চৈত্র মেলার উৎপত্তি।[২] এক সময় মুসলমানরাও মেলাটিকে ইসলামি মেলা নাম দিয়ে পালন করতে শুরু করে। পরবর্তীতে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের কাছে মেলাটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে এবং এটি জামাই মেলা নামে পরিচিতি লাভ করে।[৩]
প্রতি বছর মেলা উপলক্ষে এ অঞ্চলের কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ তাদের মেয়ের জামাতাকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানায়। মেয়েরা তাদের স্বামীদের নিয়ে মেলা উপলক্ষে তাদের পিতা-মাতার বাড়িতে আসেন। যার ফলে মেলাটির নাম জামাই মেলা নামে পরিচিতি পায়।
মেলার সামগ্রী
সম্পাদনামেলা উপলক্ষে স্থানীয় বিক্রেতাগণ বিভিন্ন মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার যেমন, চমচম, রসগোল্লা, সন্দেশ ইত্যাদি বিক্রি করেন। এছাড়া মেলায় নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য্য পণ্য যেমন, তৈজসপত্র, আসবাপত্র, বিভিন্ন প্রকার ফার্নিচার ও লোহার সামগ্রী ইত্যাদি পাওয়া যায়।[৪]
মেলায় কেনাকাটার পাশাপাশি গ্রামীণ ঐতিহ্য অনুসারে বিনোদনের জন্য পুতুল নাচ, নাগর দোলা ও লাঠি খেলা ইত্যাদির আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "জামালপুরে ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলা"। বাংলা ট্রিবিউন। ১৯ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৯।
- ↑ ক খ "জামালপুরে জামাই মেলা শুরু"। এনটিভি। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "জামালপুরে শুরু হয়েছে ৩দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলা"। ঢাকা ট্রিবিউন। ১৬ মার্চ ২০১৯। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "জামালপুরের জামাই মেলা"। জাগোনিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৯।