ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে
ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে (সরকারিভাবে: ঢাকা–মাওয়া–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) বাংলাদেশের সর্বপ্রথম জাতীয় এক্সপ্রেসওয়ে। এটি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ দ্বারা পরিচালিত। এটি এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক এএইচ১-এর একটি অংশ। এই ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে দুটি সার্ভিস লেন, ৫টি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস, ২টি ইন্টারচেঞ্জ, চারটি রেলওয়ে ওভার ব্রিজ, ৪টি বড় সেতু, ২৫টি ছোট সেতু এবং ৫৪টি কালভার্ট রয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ শেষ হওয়ার পর, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে এক্সপ্রেসওয়ের দুপাশ সংযুক্ত করা হয়েছে।
নেই
ঢাকা–মাওয়া–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে | |
---|---|
পথের তথ্য | |
এএইচ১-এর অংশ | |
দৈর্ঘ্য | ৫৫ কিলোমিটার[১] (৩৪ মাইল) |
অস্তিত্বকাল | ২০২০–বর্তমান |
প্রধান সংযোগস্থল | |
থেকে: | বাংলাদেশের ঢাকায় যাত্রাবাড়ী ইন্টারচেঞ্জ![]() |
পর্যন্ত: | ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ![]() |
মহাসড়ক ব্যবস্থা | |

ইতিহাস
সম্পাদনা২০১৬ সালে এক্সপ্রেসওয়েটির কাজ শুরু হয়। এটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা থেকে মাওয়া এবং জাজিরা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটারের এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ১১ হাজার ৪ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন (পশ্চিম) সড়কটি নির্মাণ করে। মূল এক্সপ্রেসওয়েটি চার লেনের। সেতুর দুই পাশে ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য সাড়ে পাঁচ মিটার প্রশস্ত সড়ক রাখা হয়েছে।[১]
২০২২ সালে সরকারিভাবে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এর নাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক রাখা হয়।[২] ২০২৪ সালে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পরে এলাকাবাসী এক্সপ্রেসওয়ের সরকারি নামফলক ভেঙ্গে সেখানে নবী ইব্রাহিমের নামে ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেয়।[৩] ২০২৫ সালে এর সরকারি নাম পাল্টে "ঢাকা–মাওয়া–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে" করা হয়।[৪]
জংশন তালিকা
সম্পাদনাজেলা | স্থান | কি.মি | মাইল | গন্তব্য | নোট |
---|---|---|---|---|---|
ঢাকা জেলা | যাত্রাবাড়ি | এন১ | |||
মুন্সীগঞ্জ জেলা | মাওয়া | ||||
শরীয়তপুর জেলা | জাজিরা | ||||
মাদারীপুর জেলা | শিবচর | ||||
ফরিদপুর জেলা | ভাঙ্গা | এন৮০৪ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ মালাকার, দীপু। "ঢাকা থেকে ভাঙ্গা এক ঘণ্টায়"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ মাসুম, ওবায়দুর। "জাতির পিতার নামে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৮ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০২২।
- ↑ "বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের নাম পরিবর্তন করে জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আ.) এক্সপ্রেসওয়ে করলো জনতা"। dailyinqilab.com। ১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ "বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েসহ ৪ মহাসড়ক ও ৮ সেতুর নাম পরিবর্তন"। ডেইলি স্টার। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- উইকিমিডিয়া কমন্সে ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।